ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা

এক সিগারেটের সর্বনিম্ন দাম ৯ টাকার প্রস্তাব

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০১৯
  • / ৭৩৪ টাইম ভিউ

বাজারে ৯ টাকার নিচে কোনো সিগারেটের দাম রাখতে চায় না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আসন্ন বাজেট সামনে রেখে সিগারেটসহ সব ধরনের তামাকজাত পণ্যের ওপর বিদ্যমান কর কাঠামোতে আমূল পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। এতে বাজারে চলমান প্রতিটি কম দামের সিগারেটে কমপক্ষে ৪ টাকা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে বেনসন ও গোল্ডলিফসহ সমমানের ব্র্যান্ডের প্রতিটি সিগারেটের দাম বাড়বে অতিরিক্ত ৮ টাকা। বর্তমানে বাজারে সর্বনিম্ন প্রতি সিগারেটের দাম ৫ টাকা ও উচ্চস্তরে প্রতি সিগারেট  ১২ টাকা খুচরা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। বাজেট সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে ১০ এপ্রিল লেখা এক চিঠিতে এসব প্রস্তাব করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

চিঠিতে তিনি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কর আরোপের ক্ষেত্রে এসব প্রস্তাব বিবেচনার জন্য অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশে গড়তে তামাকের কর কাঠামো পরিবর্তন করে বিশেষ করে সিগারেটের মূল্যস্তর চারটি থেকে কমিয়ে দুটি করার পাশাপাশি ১০ শলাকা সিগারেটের ওপর সুনির্দিষ্ট অতিরিক্ত পাঁচ টাকা কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবে সিগারেটে করারোপের ক্ষেত্রে বর্তমান নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে একটি এবং উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরকে একত্রিত করে আরেকটি স্তর করতে বলা হয়েছে। নিম্নস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক্ক এবং উচ্চস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য কমপক্ষে ১০৫ টাকা নির্ধারণ করে ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক্ক আরোপ করার পাশাপাশি সব সিগারেটের প্রতি শলাকার ওপর পাঁচ টাকা হারে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে।

এই প্রস্তাবে বিড়ির ক্ষেত্রে মূল্য বিভাজন তুলে দিয়ে ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার খুচরা মূল্য ৩৫ টাকা নির্ধারণের পাশাপাশি ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৮ টাকা করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক্ক এবং ৪ টাকা ৮০ পয়সা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের ক্ষেত্রে প্রস্তাবে ট্যারিফ ভ্যালু প্রথা বিলুপ্ত করে সিগারেট ও বিড়ির মতোই খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে করারোপ, প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার মূল্য ৩৫ টাকা এবং গুলের মূল্য ২০ টাকা করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া জর্দার ওপর পাঁচ টাকা এবং গুলের ওপর তিন টাকা সুনির্দিষ্ট শুল্প আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে লেখা স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার চিঠিতে বলেছেন, তামাকজাত দ্রব্যের ওপর বর্তমান কর কাঠামো অত্যন্ত জটিল ও তামাকের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে এ ধরনের কর কাঠামো কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। সিগারেটে বহুস্তর বিশিষ্ট করকাঠামো চালু থাকায় বাজারে অত্যন্ত সস্তা ও সহজলভ্য সিগারেট পাওয়া যাচ্ছে। ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে ভোক্তা কমদামি সিগারেট বেছে নিচ্ছে। করের ভিত্তি এবং হার খুবই কম হওয়ায় বিড়ি এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য জর্দা ও গুল সহজলভ্য থেকে যাচ্ছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি তামাক ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ।

এ ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জাতীয় কর নীতিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য সব তামাকজাত পণ্যে খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে করারোপ, সুনির্দিষ্ট শুল্ক্ক পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি, সব তামাক পণ্য অভিন্ন পরিমাণে প্যাকেট বা কৌটায় বাজারজাত করা, পৃথক তামাক কর নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন (পাঁচ বছর মেয়াদি) তামাকের ব্যবহার হ্রাস ও রাজস্ব বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করা হয়।

পোস্ট শেয়ার করুন

এক সিগারেটের সর্বনিম্ন দাম ৯ টাকার প্রস্তাব

আপডেটের সময় : ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০১৯

বাজারে ৯ টাকার নিচে কোনো সিগারেটের দাম রাখতে চায় না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আসন্ন বাজেট সামনে রেখে সিগারেটসহ সব ধরনের তামাকজাত পণ্যের ওপর বিদ্যমান কর কাঠামোতে আমূল পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। এতে বাজারে চলমান প্রতিটি কম দামের সিগারেটে কমপক্ষে ৪ টাকা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে বেনসন ও গোল্ডলিফসহ সমমানের ব্র্যান্ডের প্রতিটি সিগারেটের দাম বাড়বে অতিরিক্ত ৮ টাকা। বর্তমানে বাজারে সর্বনিম্ন প্রতি সিগারেটের দাম ৫ টাকা ও উচ্চস্তরে প্রতি সিগারেট  ১২ টাকা খুচরা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। বাজেট সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে ১০ এপ্রিল লেখা এক চিঠিতে এসব প্রস্তাব করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

চিঠিতে তিনি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কর আরোপের ক্ষেত্রে এসব প্রস্তাব বিবেচনার জন্য অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশে গড়তে তামাকের কর কাঠামো পরিবর্তন করে বিশেষ করে সিগারেটের মূল্যস্তর চারটি থেকে কমিয়ে দুটি করার পাশাপাশি ১০ শলাকা সিগারেটের ওপর সুনির্দিষ্ট অতিরিক্ত পাঁচ টাকা কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবে সিগারেটে করারোপের ক্ষেত্রে বর্তমান নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে একটি এবং উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরকে একত্রিত করে আরেকটি স্তর করতে বলা হয়েছে। নিম্নস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক্ক এবং উচ্চস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য কমপক্ষে ১০৫ টাকা নির্ধারণ করে ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক্ক আরোপ করার পাশাপাশি সব সিগারেটের প্রতি শলাকার ওপর পাঁচ টাকা হারে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে।

এই প্রস্তাবে বিড়ির ক্ষেত্রে মূল্য বিভাজন তুলে দিয়ে ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার খুচরা মূল্য ৩৫ টাকা নির্ধারণের পাশাপাশি ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৮ টাকা করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক্ক এবং ৪ টাকা ৮০ পয়সা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের ক্ষেত্রে প্রস্তাবে ট্যারিফ ভ্যালু প্রথা বিলুপ্ত করে সিগারেট ও বিড়ির মতোই খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে করারোপ, প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার মূল্য ৩৫ টাকা এবং গুলের মূল্য ২০ টাকা করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া জর্দার ওপর পাঁচ টাকা এবং গুলের ওপর তিন টাকা সুনির্দিষ্ট শুল্প আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে লেখা স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার চিঠিতে বলেছেন, তামাকজাত দ্রব্যের ওপর বর্তমান কর কাঠামো অত্যন্ত জটিল ও তামাকের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে এ ধরনের কর কাঠামো কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। সিগারেটে বহুস্তর বিশিষ্ট করকাঠামো চালু থাকায় বাজারে অত্যন্ত সস্তা ও সহজলভ্য সিগারেট পাওয়া যাচ্ছে। ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে ভোক্তা কমদামি সিগারেট বেছে নিচ্ছে। করের ভিত্তি এবং হার খুবই কম হওয়ায় বিড়ি এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য জর্দা ও গুল সহজলভ্য থেকে যাচ্ছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি তামাক ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ।

এ ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জাতীয় কর নীতিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য সব তামাকজাত পণ্যে খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে করারোপ, সুনির্দিষ্ট শুল্ক্ক পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি, সব তামাক পণ্য অভিন্ন পরিমাণে প্যাকেট বা কৌটায় বাজারজাত করা, পৃথক তামাক কর নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন (পাঁচ বছর মেয়াদি) তামাকের ব্যবহার হ্রাস ও রাজস্ব বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করা হয়।