ঢাকা , শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কানাডার প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্ট ইলেকশন ডলি’র হ্যাটট্রিক জয় ১৭ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তন লন্ডন বিএনপি নেতা শরফুকে শ্রীমঙ্গলে গণ সংবর্ধনা ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব

একসঙ্গে এইচএসসি পাস করলেন মা-মেয়ে

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ১০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯
  • / ৫০৫ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ লেখাপড়া করার এক অদম্য ইচ্ছা কুরে কুরে খেয়েছে মাসুমা খাতুনকে। সেই ইচ্ছা বুকের ভেতর চাপা রেখেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তিনি। ১৯৯৭ সালে তিনি এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু পরীক্ষার আগেই পরিবার থেকে তার বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়। এরপর আর পরীক্ষা দিতে পারেননি মাসুমা খাতুন। কিন্তু বুকের ভেতরের সেই ইচ্ছা পূরণে অবশেষে তিনি নতুন করে শুরু করেন লেখাপড়া। চলতি বছর নিজের মেয়ের সঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন নাটোরের বাগাতিপাড়ার মাসুমা খাতুন।

তিনি চলতি বছর কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পেয়েছেন জিপিএ-৪ দশমিক ১৩। আর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

মাসুমা খাতুনের বাবার বাড়ি বাগাতিপাড়া উপজেলার বারইপাড়া গ্রামে। বিয়ে হয় বাগাতিপাড়া উপজেলা সদরে। স্বামী আব্দুল মজিদ আনসার ব্যাটালিয়নে সিপাহী (প্রশিক্ষক) পদে চাকরি করেন। তার কর্মস্থল গাজীপুরে। তাদের দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে বনি আমিন বাগাতিপাড়া সরকারি ডিগ্রি কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্র।

মাসুমা খাতুন বলেন, বিয়ের ১৮ বছর পেরিয়ে গেছে। পরপর দুই ছেলে-মেয়েকে মানুষ করতে গিয়ে নিজের পড়ার কথা ভাবারই সময় পাইনি। অবশেষে ছোট মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে নতুন করে পড়ালেখা শুরু করেছি। সমাজের আর দশটা মানুষের মতো নিজেকেও একজন শিক্ষিত মানুষ হিসেবে যাতে পরিচয় দিতে পারি, সে কারণেই এই বয়সে কষ্ট করে লেখাপড়া করছি।

মাসুমা খাতুনের স্বামী আব্দুল মজিদ বলেন, আমার জন্য একটু কষ্ট হলেও আমি তার ইচ্ছার মর্যাদা দিয়েছি। সে যতদূর পড়াশোনা করতে পারে, আমি চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করব।

পোস্ট শেয়ার করুন

একসঙ্গে এইচএসসি পাস করলেন মা-মেয়ে

আপডেটের সময় : ১০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ লেখাপড়া করার এক অদম্য ইচ্ছা কুরে কুরে খেয়েছে মাসুমা খাতুনকে। সেই ইচ্ছা বুকের ভেতর চাপা রেখেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তিনি। ১৯৯৭ সালে তিনি এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু পরীক্ষার আগেই পরিবার থেকে তার বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়। এরপর আর পরীক্ষা দিতে পারেননি মাসুমা খাতুন। কিন্তু বুকের ভেতরের সেই ইচ্ছা পূরণে অবশেষে তিনি নতুন করে শুরু করেন লেখাপড়া। চলতি বছর নিজের মেয়ের সঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন নাটোরের বাগাতিপাড়ার মাসুমা খাতুন।

তিনি চলতি বছর কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পেয়েছেন জিপিএ-৪ দশমিক ১৩। আর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

মাসুমা খাতুনের বাবার বাড়ি বাগাতিপাড়া উপজেলার বারইপাড়া গ্রামে। বিয়ে হয় বাগাতিপাড়া উপজেলা সদরে। স্বামী আব্দুল মজিদ আনসার ব্যাটালিয়নে সিপাহী (প্রশিক্ষক) পদে চাকরি করেন। তার কর্মস্থল গাজীপুরে। তাদের দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে বনি আমিন বাগাতিপাড়া সরকারি ডিগ্রি কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্র।

মাসুমা খাতুন বলেন, বিয়ের ১৮ বছর পেরিয়ে গেছে। পরপর দুই ছেলে-মেয়েকে মানুষ করতে গিয়ে নিজের পড়ার কথা ভাবারই সময় পাইনি। অবশেষে ছোট মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে নতুন করে পড়ালেখা শুরু করেছি। সমাজের আর দশটা মানুষের মতো নিজেকেও একজন শিক্ষিত মানুষ হিসেবে যাতে পরিচয় দিতে পারি, সে কারণেই এই বয়সে কষ্ট করে লেখাপড়া করছি।

মাসুমা খাতুনের স্বামী আব্দুল মজিদ বলেন, আমার জন্য একটু কষ্ট হলেও আমি তার ইচ্ছার মর্যাদা দিয়েছি। সে যতদূর পড়াশোনা করতে পারে, আমি চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করব।