ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব লন্ডনে বড়লেখার সোয়েব আহমেদের সমর্থনে মতবিনিময় সভা ইতালির ভেনিসে গ্রিন সিলেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে এনটিভির ইউরোপের ডিরেক্টর সাবরিনা হোসাইন কে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব পর্তুগালে বেজা আওয়ামীলীগের কর্মি সভা পর্তুগাল এ ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবের জার্সি উন্মোচন লিসবনে আত্মপ্রকাশ হয় সামাজিক সংগঠন “গোলাপগঞ্জ কমিউনিটি কেয়ারর্স পর্তুগাল “ উচ্ছ্বাস আর আনন্দে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের উদযাপন করেছে পর্তুগাল যথাযথ গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পরিবেশে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালন করেছে ভেনিস প্রবাসীরা ভেনিসে বৃহত্তর সিলেট সমিতির আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত এক অসুস্থ প্রজন্ম কে সাথি করে এগুচ্ছি আমরা

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদ থেকে আবেদ রাজাকে অপসারণ, কিছুই জানেন না ডা. জাহিদ!

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯
  • / ৯২০ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদ থেকে অ্যাড. আবেদ রাজাকে অব্যাহতির বিষয়ে কিছুই জানেন না বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। আবেদ রাজা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সহ-সভাপতি, গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্তি আইনজীবী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কো- চেয়ারম্যান, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সিলেট বিভাগ বাস্তবায়ন কমিটির নেতা। ডা. জাহিদ বলেন, আবেদ রাজার বিষয়ে প্রেস রিলিজে কি লেখা হয়েছে, সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। জেলার প্রেস রিলিজে আমার যে রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে সেটা আমি অবগত নই। এমনকি আমাকে কিছুই বলা হয়নি। সাংগঠনিক হিসেবে জেলার কার্যক্রম দেখভালো করি। আমার কাছে এখন পর্যন্ত প্রেস রিলিজের চিঠি কেউ পাঠায়নি। দলের নেতাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে, তাই বলে কোনো দূরত্ব বাড়ানোর সুযোগ নেই। সাংগঠনিকভাবে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের ভুল বোঝাবুঝির মীমাংসা করতে হবে। ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মুঠোফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, আবেদ রাজার অব্যাহতির বিষয়ে শুক্রবার জেলা সাধারণ সম্পাদক ও কুলাউড়া বিএনপির আহ্বায়ক আবেদ রাজা আমাকে জানিয়েছেন। কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির স্থগিত কাউন্সিল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে কুলাউড়া বিএনপির কাউন্সিল খুব শিগগির অনুষ্ঠিত হবে। কাউন্সিল যত তাড়াতাড়ি করা যায় সেজন্য আমি জেলা সভাপতি নাসের রহমান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান ও কুলাউড়া বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. আবেদ রাজাকে মুঠোফোনে বলেছি। ঐক্যবদ্ধভাবে সম্মেলনের মাধ্যমে কুলাউড়া বিএনপি সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। এদিকে, ২০ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে গণমাধ্যমে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাড. আবেদ রাজাকে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক থেকে অপসারণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। জেলা বিএনপির প্রেস রিলিজে উল্লেখ করা হয়, সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন আবেদ রাজাকে আহ্বাক কমিটির সভা অবিলম্বে ডেকে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তার কটূক্তি ও আপত্তিজনক বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ ও রেজুলেশন নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। পরে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতির বাসভবনে বৈঠকে আবেদ রাজার গর্হিত আচরণের জন্য কোনো দুঃখপ্রকাশ অনুশোচনা ও রেজুলেশন নেওয়ার অপারগতা প্রকাশ করেন। আবেদ রাজা আহ্বায়ক হিসেবে বিতর্কিত হওয়ায় তাঁকে কুলাউড়া কমিটির আহ্বায়ক পদ থেকে অপসারণ করা হলো। দলীয় শৃঙ্খলার স্বার্থে জেলা কমিটি একজন নতুন আহ্বায়ক দিয়ে সুবিধাজনক সময় নতুন কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে প্রেস রিলিজে উল্লেখ করা হয়েছে। আবেদ রাজার অব্যাহতির বিষয়টি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে কুলাউড়া বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ ও নিন্দার ঝড় বইছে। জেলা বিএনপির প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে অনেকই ফেসবুকে জেলা নেতৃবৃন্দের এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন। সাবেক ছাত্রনেতা ও উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে (স্থগিত হওয়া) সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী সুফিয়ান আহমদ তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, বুঝলেন? সবসময় তো মন্দ কথা আমাদেরকে শুনতে হয়েছে। আর আপনারাই বলতেন অনেক কথা, ব্যক্তি বিশেষের কথা, এ টিম-বিটিমের কথা, কুলাউড়ায় যেই মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন তাঁকেই কুপোকাত করা হয়েছে সর্বশেষ বিএনপির রাজা আবেদ রাজাকে..! জেলা তুষ্ট নীতির জন্য আজ এই অবস্থা, যেন তেন নেতা হওয়ার জন্য এই অবস্থা, দোষারোপের রাজনীতির জন্য এই অবস্থা, অযোগ্যদের যোগ্য করার জন্য এই অবস্থা। জেলা বিএনপির সদস্য, কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বদরুজ্জামান সজল ও উপজেলা বিএনপি নেতা মইনুল হক বকুল লিখেছেন, এই মুহূর্তে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি। সাবেক ছাত্রনেতা মান্না বখশ লিখেছেন, আমার মনে হয় সকল থানা এক হয়ে নাসের রহমানকে প্রতিহত করতে হবে। না হলে কুলাউড়া বিএনপির আরো ক্ষতি হবে। কুলাউড়া বিএনপি ধ্বংস করার মূল কারিগর নাসের রহমান। উপজেলা বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, রাজনীতি একটা নিয়মের মধ্যে চলে। উপজেলাকে জেলা, জেলাকে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করবে। দুঃখজনক বিষয় হলো ছোট্ট একটা বিষয় নিয়ে এ অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। জেলা বিএনপি না পেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবেদ রাজা তাঁর কথায় অটল রয়েছেন। এ কারণে এই সিদ্ধান্ত। তিনি দুঃখ প্রকাশ করলে আজ এমন পরিস্থিতির স্বীকার হতে হতো না। অব্যাহতি প্রসঙ্গে অ্যাড. আবেদ রাজা বলেন, এটা সম্পূর্ণ অগতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। যারা এইসব স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তাঁরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আমি আমার নীতিতে অটল থাকবো। আমি আমার জাতীয়তাবাদী আদর্শের নেতাকর্মীদের পাশে থেকে আমৃত্যু রাজনীতি করেই যাবো। যাঁরা অগতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁদেরকে ক্ষমা চাইতে হবে। গত ৩০ মার্চ জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করে দুটি পৃথক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেন। অতঃপর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি ১৩টি ইউনিয়ন

পোস্ট শেয়ার করুন

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদ থেকে আবেদ রাজাকে অপসারণ, কিছুই জানেন না ডা. জাহিদ!

আপডেটের সময় : ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদ থেকে অ্যাড. আবেদ রাজাকে অব্যাহতির বিষয়ে কিছুই জানেন না বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। আবেদ রাজা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সহ-সভাপতি, গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্তি আইনজীবী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কো- চেয়ারম্যান, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সিলেট বিভাগ বাস্তবায়ন কমিটির নেতা। ডা. জাহিদ বলেন, আবেদ রাজার বিষয়ে প্রেস রিলিজে কি লেখা হয়েছে, সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। জেলার প্রেস রিলিজে আমার যে রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে সেটা আমি অবগত নই। এমনকি আমাকে কিছুই বলা হয়নি। সাংগঠনিক হিসেবে জেলার কার্যক্রম দেখভালো করি। আমার কাছে এখন পর্যন্ত প্রেস রিলিজের চিঠি কেউ পাঠায়নি। দলের নেতাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে, তাই বলে কোনো দূরত্ব বাড়ানোর সুযোগ নেই। সাংগঠনিকভাবে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের ভুল বোঝাবুঝির মীমাংসা করতে হবে। ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মুঠোফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, আবেদ রাজার অব্যাহতির বিষয়ে শুক্রবার জেলা সাধারণ সম্পাদক ও কুলাউড়া বিএনপির আহ্বায়ক আবেদ রাজা আমাকে জানিয়েছেন। কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির স্থগিত কাউন্সিল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে কুলাউড়া বিএনপির কাউন্সিল খুব শিগগির অনুষ্ঠিত হবে। কাউন্সিল যত তাড়াতাড়ি করা যায় সেজন্য আমি জেলা সভাপতি নাসের রহমান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান ও কুলাউড়া বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. আবেদ রাজাকে মুঠোফোনে বলেছি। ঐক্যবদ্ধভাবে সম্মেলনের মাধ্যমে কুলাউড়া বিএনপি সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। এদিকে, ২০ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে গণমাধ্যমে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাড. আবেদ রাজাকে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক থেকে অপসারণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। জেলা বিএনপির প্রেস রিলিজে উল্লেখ করা হয়, সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন আবেদ রাজাকে আহ্বাক কমিটির সভা অবিলম্বে ডেকে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তার কটূক্তি ও আপত্তিজনক বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ ও রেজুলেশন নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। পরে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতির বাসভবনে বৈঠকে আবেদ রাজার গর্হিত আচরণের জন্য কোনো দুঃখপ্রকাশ অনুশোচনা ও রেজুলেশন নেওয়ার অপারগতা প্রকাশ করেন। আবেদ রাজা আহ্বায়ক হিসেবে বিতর্কিত হওয়ায় তাঁকে কুলাউড়া কমিটির আহ্বায়ক পদ থেকে অপসারণ করা হলো। দলীয় শৃঙ্খলার স্বার্থে জেলা কমিটি একজন নতুন আহ্বায়ক দিয়ে সুবিধাজনক সময় নতুন কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে প্রেস রিলিজে উল্লেখ করা হয়েছে। আবেদ রাজার অব্যাহতির বিষয়টি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে কুলাউড়া বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ ও নিন্দার ঝড় বইছে। জেলা বিএনপির প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে অনেকই ফেসবুকে জেলা নেতৃবৃন্দের এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন। সাবেক ছাত্রনেতা ও উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে (স্থগিত হওয়া) সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী সুফিয়ান আহমদ তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, বুঝলেন? সবসময় তো মন্দ কথা আমাদেরকে শুনতে হয়েছে। আর আপনারাই বলতেন অনেক কথা, ব্যক্তি বিশেষের কথা, এ টিম-বিটিমের কথা, কুলাউড়ায় যেই মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন তাঁকেই কুপোকাত করা হয়েছে সর্বশেষ বিএনপির রাজা আবেদ রাজাকে..! জেলা তুষ্ট নীতির জন্য আজ এই অবস্থা, যেন তেন নেতা হওয়ার জন্য এই অবস্থা, দোষারোপের রাজনীতির জন্য এই অবস্থা, অযোগ্যদের যোগ্য করার জন্য এই অবস্থা। জেলা বিএনপির সদস্য, কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বদরুজ্জামান সজল ও উপজেলা বিএনপি নেতা মইনুল হক বকুল লিখেছেন, এই মুহূর্তে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি। সাবেক ছাত্রনেতা মান্না বখশ লিখেছেন, আমার মনে হয় সকল থানা এক হয়ে নাসের রহমানকে প্রতিহত করতে হবে। না হলে কুলাউড়া বিএনপির আরো ক্ষতি হবে। কুলাউড়া বিএনপি ধ্বংস করার মূল কারিগর নাসের রহমান। উপজেলা বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, রাজনীতি একটা নিয়মের মধ্যে চলে। উপজেলাকে জেলা, জেলাকে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করবে। দুঃখজনক বিষয় হলো ছোট্ট একটা বিষয় নিয়ে এ অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। জেলা বিএনপি না পেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবেদ রাজা তাঁর কথায় অটল রয়েছেন। এ কারণে এই সিদ্ধান্ত। তিনি দুঃখ প্রকাশ করলে আজ এমন পরিস্থিতির স্বীকার হতে হতো না। অব্যাহতি প্রসঙ্গে অ্যাড. আবেদ রাজা বলেন, এটা সম্পূর্ণ অগতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। যারা এইসব স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তাঁরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আমি আমার নীতিতে অটল থাকবো। আমি আমার জাতীয়তাবাদী আদর্শের নেতাকর্মীদের পাশে থেকে আমৃত্যু রাজনীতি করেই যাবো। যাঁরা অগতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁদেরকে ক্ষমা চাইতে হবে। গত ৩০ মার্চ জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করে দুটি পৃথক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেন। অতঃপর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি ১৩টি ইউনিয়ন