ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

ইলিশ এখন শুধুই বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : ১০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০১৭
  • / ১৫৬২ টাইম ভিউ

রুপালি ঝিলিক। জাদুকরি স্বাদ। নাম তার ইলিশ। সরষে ইলিশ, ইলিশ পাতুড়ি, ইলিশ ভাজা আরও কত কি! জামদানির পর এবার জাতীয় মাছ ইলিশ বাংলাদেশের মাছ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে ইলিশ বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে সারাবিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। এখন থেকে রুপালি ইলিশের একক মালিকানা বাংলাদেশের।
২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে ইলিশের একক মালিকানা পাওয়ার লক্ষ্যে জিআই নিবন্ধনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে মৎস্য অধিদফতর। এটি করা হয় আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব বিষয়ক সংস্থা ‘ওয়াইপিও’র পুরো শর্ত মেনে। বাংলাদেশে ইলিশের জন্ম ও বিস্তারসহ যাবতীয় তথ্য প্রমাণাদি পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এরপর তথ্য প্রমাণাদি যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ শেষে চলতি বছরের ১ জুন নিজস্ব জার্নালে ৪৯ পৃষ্ঠার একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতর। পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতরের রেজিস্ট্রার সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আইন অনুসারে গেজেট প্রকাশিত হওয়ার দুই মাসের মধ্যে দেশে বা বিদেশ থেকে এ বিষয়ে আপত্তি জানাতে হয়। কিন্তু কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে কোনো আপত্তি জানায়নি। সে অনুসারে এ পণ্য এখন বাংলাদেশের স্বত্ব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন এটি চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধনের প্রক্রিয়াধীন আছে। এক সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এর স্বত্ব মৎস্য অধিদফতরের কাছে তুলে দেওয়া হবে।’
বাংলাদেশের ইলিশের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। বর্তমানে ইলিশ পাওয়া যায় বিশ্বের এমন ১১টি দেশের মধ্যে ১০টিতেই উৎপাদন কমছে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিবছর উৎপাদন বাড়ছে প্রায় ১০ শতাংশ হারে। শুধু তাই নয়, এখন দেশের অনেক স্থানে অভয়াশ্রম ছাড়াও ইলিশে মাছ ধরা পড়ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, বিশ্বে প্রতিবছর ৫ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ আহরিত হয়। এর ৬০ শতাংশই বাংলাদেশে। অন্যদিকে, দেশে মোট মৎস্য উৎপাদনে এককভাবে ইলিশের অবদানই প্রায় ১৫ শতাংশ। আর মোট দেশজ উৎপাদনেও (জিডিপি) এ খাতের অবদান ১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় একটি বাধা দূর হলো। জিআই পণ্য হিসেবে ইলিশ নিবন্ধিত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী এর কদর আরও বাড়বে ।
এ বিষয়ে মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ায় ইলিশ বিপণনের ক্ষেত্রে স্বত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকে। এর ফলে বর্তমানের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি দাম পাবেন জেলেরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইলিশ বাংলাদেশের সস্পদ ও আমাদের জাতীয় মাছ।’

পোস্ট শেয়ার করুন

ইলিশ এখন শুধুই বাংলাদেশের

আপডেটের সময় : ১০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০১৭

রুপালি ঝিলিক। জাদুকরি স্বাদ। নাম তার ইলিশ। সরষে ইলিশ, ইলিশ পাতুড়ি, ইলিশ ভাজা আরও কত কি! জামদানির পর এবার জাতীয় মাছ ইলিশ বাংলাদেশের মাছ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে ইলিশ বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে সারাবিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। এখন থেকে রুপালি ইলিশের একক মালিকানা বাংলাদেশের।
২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে ইলিশের একক মালিকানা পাওয়ার লক্ষ্যে জিআই নিবন্ধনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে মৎস্য অধিদফতর। এটি করা হয় আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব বিষয়ক সংস্থা ‘ওয়াইপিও’র পুরো শর্ত মেনে। বাংলাদেশে ইলিশের জন্ম ও বিস্তারসহ যাবতীয় তথ্য প্রমাণাদি পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এরপর তথ্য প্রমাণাদি যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ শেষে চলতি বছরের ১ জুন নিজস্ব জার্নালে ৪৯ পৃষ্ঠার একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতর। পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতরের রেজিস্ট্রার সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আইন অনুসারে গেজেট প্রকাশিত হওয়ার দুই মাসের মধ্যে দেশে বা বিদেশ থেকে এ বিষয়ে আপত্তি জানাতে হয়। কিন্তু কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে কোনো আপত্তি জানায়নি। সে অনুসারে এ পণ্য এখন বাংলাদেশের স্বত্ব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন এটি চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধনের প্রক্রিয়াধীন আছে। এক সপ্তাহের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এর স্বত্ব মৎস্য অধিদফতরের কাছে তুলে দেওয়া হবে।’
বাংলাদেশের ইলিশের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। বর্তমানে ইলিশ পাওয়া যায় বিশ্বের এমন ১১টি দেশের মধ্যে ১০টিতেই উৎপাদন কমছে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিবছর উৎপাদন বাড়ছে প্রায় ১০ শতাংশ হারে। শুধু তাই নয়, এখন দেশের অনেক স্থানে অভয়াশ্রম ছাড়াও ইলিশে মাছ ধরা পড়ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, বিশ্বে প্রতিবছর ৫ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ আহরিত হয়। এর ৬০ শতাংশই বাংলাদেশে। অন্যদিকে, দেশে মোট মৎস্য উৎপাদনে এককভাবে ইলিশের অবদানই প্রায় ১৫ শতাংশ। আর মোট দেশজ উৎপাদনেও (জিডিপি) এ খাতের অবদান ১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় একটি বাধা দূর হলো। জিআই পণ্য হিসেবে ইলিশ নিবন্ধিত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী এর কদর আরও বাড়বে ।
এ বিষয়ে মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ায় ইলিশ বিপণনের ক্ষেত্রে স্বত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকে। এর ফলে বর্তমানের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি দাম পাবেন জেলেরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইলিশ বাংলাদেশের সস্পদ ও আমাদের জাতীয় মাছ।’