ইতালীতে ঢাকা বিভাগ সমিতির আয়োজনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে সংবর্ধনা ও মত বিনিময় সভা
- আপডেটের সময় : ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৯
- / ৬৬৫ টাইম ভিউ
গণপ্রজাতন্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ইউরোপ সফরে আসলে গত সোমবার ইতালীর রাজধানী রোম পরিদর্শন করতে আসেন। তার রোমে আসাকে স্বাগত জানিয়ে গত মঙ্গলবার ঢাকা বিভাগ সমিতির উদ্যোগে বাংলা অধ্যুষিত এলাকা তরপিনাত্তারা রসই রেস্টুরেন্টে এক মত বিনিময় ও সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
এতে ঢাকা বিভাগ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ লিটনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েছের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার, প্রথম সচিব সালেহ আহমেদ, ফ্রান্স থেকে আগত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সামাজিক ব্যাক্তিত মোঃ আতিকুজ্জামান, ইতালী আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোঃ ইদ্রিস ফরাজী, সাধারন সম্পাদক হাসান ইকবাল, সহ সভাপতি হাবিব চৌধুরী, মোঃ শাহ আলম, মাইন উদ্দিন লিটন, উপদেষ্টা আইয়ুব খান প্রিন্স, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, হাদিউল ইসলাম হাদি, আফতাব বেপারী, সুহেব দেওয়ান, আবু তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক দিন মোহাম্মদ, দপ্তর সম্পাদক হাবিব মকদম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বাবু ঢালী, আইন বিষয়ক সম্পাদক ফারুক খালাশি, সম্মানিত সদস্য মুজিবুর সিকদার, মোঃ জহিরুল ইসলাম, ফারুক ফরাজী, ইতালী মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি উম্মেহানি প্রিন্স, নিলুফা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিমা আক্তার পপি, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেনাস তাব্বাসুম শেলি, তাহমিনা আক্তার, আক্তার শাহনাজ, প্রচার সম্পাদক শিমু অনন্যা, সদস্য রুপালী গোমেজ, যুবলীগ ইতালী শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উজ্জ্বল মৃধা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এনায়েত করিম, সদস্য মহি উদ্দিন, রাশেদ আহমেদ, রোম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মামুন, সহ সভাপতি রফিক আল মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামিল আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক সরোয়ার হোসেন, স্চ্ছোসেবক লীগের অন্যতম নেতা মাসুদ রানা, ইকবাল ঢালী, কাতানিয়া আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি নাবাব সৌজন আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ, যুবনেতা কবির হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা ইতালী সাধারন সম্পাদক আব্দুর রশিদ, বৃহত্তর ঢাকা সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জুবায়ের আহমেদ রিপন, সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সেলিম আহমেদ, নুরুজ্জামান লাকি, গাজীপুর জেলা সমাজ কল্যাণ সমিতি প্রধান উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান, বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সাবেক সভাপতি দিদারুল আবেদিন, সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ময়মনসিংহ জেলা সমিতি, চট্টগ্রাম সমিতি সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রিকন, বরিশাল বিভাগ সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক সুজন সিকদার, নরসিংদী জেলা সমিতি, কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতি, ঢাকা বিভাগ সমিতির নেতৃবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ জাহিদ, আফজাল হোসেন রোমান, আহসান উল্লাহ, মোঃ রাসেল এছাড়াও রোমের আঞ্চলিক সামাজিক ও রাজনৈতিক শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল তার বক্তব্যে বলেন, ক্রীড়ার মাধ্যমে স্বল্প সময়ে দেশকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করা সম্ভব। বিশ্বের অনেক দেশ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে সমৃদ্ধ না হলেও ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশ্বদরবারে স্থান করে নিয়েছে। তিনি ডেনমার্ক প্রবাসী বর্তমান বাংলাদেশের জাতীয় টিমের কেপ্টেন জামাল ভূইয়াকে উল্লেখ করে বলেন সে ডেনমার্ক থেকেও বাংলাদেশকে মাতিয়ে রেখেছে। তাই তিনি ইতালীতেও যদি এরকম খেলা প্রেমি জামাল ভূইয়া পাওয়া যায় তাহলে জাতীয় টিমে খেলার সুযোগ করে দেওয়া যাবে বলে আশ্বাস দেন। বাংলাদেশের যুবকদের জন্য প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ইনডোর স্টেডিয়াম করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বাংলাদেশের কয়েক কোটি বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্হান প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছেন। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত বেকারত্বের হার ২৮% এ আছে, প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩% এ নিয়ে আসার জন্য দায়িত্ব দেন।
বিশেষ অতিথি রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার বলেন, ক্রীড়াই পারে দেশের যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে ও সক্ষম জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে। যার মাধ্যমে প্রবাসে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।ক্রীড়ার মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গন অনেক দূর এগিয়েছে। ক্রীড়ার উন্নয়নের জন্য আরো বেশি জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। বর্তমান সরকার ক্রীড়া উন্নয়নের জন্য আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি সকল যুবকদের মাদকদ্রব্য থেকে দূরে থেকে খেলার প্রতি এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শেষে ইতালীস্হ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। এবং ঢাকা বিভাগ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ লিটন সমাপনী বক্তব্য এর মাধ্যমে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।