আরব আমিরাতে ‘গোল্ডেন রেসিডেন্স ভিসা’ পেয়েছেন হাজীপুরের দুই যময বোন | দেশদিগন্ত
- আপডেটের সময় : ০৯:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩
- / ৫০৩ টাইম ভিউ
শিক্ষাক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘গোল্ডেন রেসিডেন্স ভিসা’ পেয়েছেন হাজিপুরের দুই যময বোন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই প্রথম মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলাধীন ১০ নং হাজিপুর ইউনিয়নের দুই জময বোন মেধা তালিকায় সাক্ষর রেখেছেন।
তারা হলেন রাহমা মুক্তার প্রমী ও রাহিমা মুক্তার হিমি। বাংলাদেশে তাদের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার হাজীপুর ইউনিয়নের পলকি গ্রামে।
বুধবার আমিরাতের ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটির সিটিজেনশিপ অ্যান্ড পোর্ট সিকিউরিটি বিভাগ তাদের কাছে ভিসার দলিল পাঠায়। নবায়নযোগ্য এ ভিসার মেয়াদ দশ বছর।
রাহমা ও রাহিমার বাবা মোহাম্মদ মুক্তার মিয়া ৪২ বছর ধরে এমিরেটস ট্রান্সপোর্টে কাজ করেন, মা উম্মে আসমা একজন গৃহিণী।
আরব আমিরাতের ফুজাইরা প্রবাসী মুক্তার মিয়া জানান, আবুধাবিতে জন্ম নেওয়া তার দুই মেয়ে রাহমা ও রাহিমা ফুজাইরা প্রদেশের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাসাফি গার্লস স্কুল ফর বেসিক অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন থেকে এবছর অনুষ্ঠিত স্থানীয় অ্যাডভান্স এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। আরবি ভার্সনে তারা যথাক্রমে ৯৭.৫১% ও ৯৭% নাম্বারসহ জিপিএ প্লাস পান। এর আগে এসএসসিতেও তারা ভালো ফলাফল করেন।
তাদের মা উম্মে আসমা বলেন, “আশপাশে অন্য কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় আরবি কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি দুই মেয়ের। তারপর বর্তমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ১৪ বছর পড়াশোনার পর তারা গ্র্যাজুয়েশন শেষ করল। আমার কাছে কিছু বাংলা শেখা ছাড়া তাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আরবি মাধ্যমেই হয়েছে।”
রাহমা ও রহিমা জানান, দুজনই ভবিষ্যতে চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করে দেশে এসে সেবা দিতে চান।
দুবাইয়ের শাসক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম ২০১৯ সালে গোল্ডেন রেসিডেন্স ভিসা চালু করেন। এর আওতায় প্রাথমিকভাবে ছিলেন করোনাভাইরাস মহামারীর সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা ফ্রন্টলাইনার স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসক।
পরবর্তীতে বিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাক্ষেত্রে ভালো ফল করা শিক্ষার্থী, ক্রীড়াতারকাসহ বিভিন্ন পেশাদারদের এ ভিসার মাধ্যমে আমিরাতে দশ বছর বসবাসের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। নবায়নযোগ্য এ ভিসা পাওয়া যে কেউ চাইলে তাদের অভিভাবক ও পরিবারের সদস্যদের সংযুক্ত আমিরাতে এনে রাখতে পারবেন। গোল্ডেন রেসিডেন্স ভিসাধারী কোন ব্যক্তির মৃত্যু হলেও তার পরিবারের সদস্যরা এখানে বসবাসের বৈধতা পাবেন ।