ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

আম পাড়া নিয়ে সংঘর্ষে বিয়ানীবাজারে একজনের মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৪:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুন ২০২০
  • / ৪৯৭ টাইম ভিউ

সিলেটের বিয়ানীবাজারের পল্লীতে গাছের আম পাড়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশীদের হামলায় গুরুতর আহত এক ব্যক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের খাসা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গত ১ জুন এ ঘটনা ঘটলে শনিবার রাতে আকদ্দস আলী (৫৫) নামের ওই ব্যক্তি মারা যান। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মারজান (২৩) নামের এক যুবককে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবণী শংকর কর। ময়না তদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ সিলেট ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহতের ভাই হাফিজ কামিল আহমদ জানান, গত ১ লা জুন তামজিদ (১৫) নামের এক প্রতিবেশীকে আম পাড়তে নিষেধ করেন আকদ্দস আলী। এর জের ধরে কিছুক্ষণ পরই দলবলসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাহের, তামজিদ, মারজান, মাসুকসহ ১০-১২জন আকদ্দস আলীর বসতঘরে এসে হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীরা ঘরে থাকা আকদ্দস আলীকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বেদড়ক মারধর করে তারা। একপর্যায়ে মূমূর্ষ অবস্থায় আকদ্দস আলীকে নিয়ে ঘরে আসলে পুণরায় তারা বসতঘরে ঢুকে তার উপর হামলা করে। হামলার পর থেকে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। শনিবার রাতে সেখানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে এ ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানায় মামলা দায়ের করা হলে আসামীরা পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে আকদ্দস আলীর মৃত্যুর খবরে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে এবং মারজান নামের ওই যুবককে তার মামার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত ব্যক্তি মৃত কাছিম আলীর ছেলে।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবনী শংকর কর বলেন, নিহতের পরিবারের দায়ের করা আগের মামলাই এখন হত্যা মামলা হিসেবে তদন্ত করবে পুলিশ ।

পোস্ট শেয়ার করুন

আম পাড়া নিয়ে সংঘর্ষে বিয়ানীবাজারে একজনের মৃত্যু

আপডেটের সময় : ০৪:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুন ২০২০

সিলেটের বিয়ানীবাজারের পল্লীতে গাছের আম পাড়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশীদের হামলায় গুরুতর আহত এক ব্যক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের খাসা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গত ১ জুন এ ঘটনা ঘটলে শনিবার রাতে আকদ্দস আলী (৫৫) নামের ওই ব্যক্তি মারা যান। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মারজান (২৩) নামের এক যুবককে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবণী শংকর কর। ময়না তদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ সিলেট ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহতের ভাই হাফিজ কামিল আহমদ জানান, গত ১ লা জুন তামজিদ (১৫) নামের এক প্রতিবেশীকে আম পাড়তে নিষেধ করেন আকদ্দস আলী। এর জের ধরে কিছুক্ষণ পরই দলবলসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাহের, তামজিদ, মারজান, মাসুকসহ ১০-১২জন আকদ্দস আলীর বসতঘরে এসে হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীরা ঘরে থাকা আকদ্দস আলীকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বেদড়ক মারধর করে তারা। একপর্যায়ে মূমূর্ষ অবস্থায় আকদ্দস আলীকে নিয়ে ঘরে আসলে পুণরায় তারা বসতঘরে ঢুকে তার উপর হামলা করে। হামলার পর থেকে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। শনিবার রাতে সেখানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে এ ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানায় মামলা দায়ের করা হলে আসামীরা পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে আকদ্দস আলীর মৃত্যুর খবরে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে এবং মারজান নামের ওই যুবককে তার মামার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত ব্যক্তি মৃত কাছিম আলীর ছেলে।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অবনী শংকর কর বলেন, নিহতের পরিবারের দায়ের করা আগের মামলাই এখন হত্যা মামলা হিসেবে তদন্ত করবে পুলিশ ।