ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নই, আদালতকে মিন্নি, পাঁচ দিনের রিমান্ডে

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০৬:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯
  • / ৫৫৯ টাইম ভিউ

প্রায় ১৫ মিনিট তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্য শেষে বিচারক জানতে চান আসামির পক্ষে কোনও আইনজীবী আছেন কিনা? উপস্থিত আইনজীবীরা এসময় নীরব ছিলেন। পরে বিচারক কাঠগড়ায় দাঁড়ানো মিন্নিকে উদ্দেশ্য করে জানতে চান তার কোনো বক্তব্য আছে কিনা? মিন্নি এসময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, স্যার আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত নই, ঐ দিন যে এই ঘটনা ঘটবে তা আমি জানতাম না।

বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে আটকের ১৮ ঘন্টা পরে আজ বুধবার বেলা ৩টা ১৩ মিনিটে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করা হলে তিনি এ দাবি করেন।

জানা গেছে, বুধবার ৩টা ১৮ মিনিটে বিচারক তার এসলাসে আসন গ্রহণ করেন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. হুমায়ন কবির বিচারকের অনুমতি নিয়ে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এসময় তদন্তকারী কর্মকর্তা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে মিন্নির সম্পৃত্তা আছে দাবি করে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্য শেষে মিন্নি আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, বিভিন্ন সময় আসামিরা তাকে ফোনে বিরক্ত করতো ও ভয় ভীতি দেখাতো। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দিতো। তিনি আরও বলেন, ‘আমি বা আমার পরিবার আসামিদের ভয়ে কোথাও মুখ খুলতে পারিনি। আমার স্বামী রিফাত শরীফ হত্যাকারীদের বিচার চাই। আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে।’ বক্তব্যের একপর্যায়ে বিচারক হত্যাকারীর কল লিস্টে তার নম্বর কিভাবে এলো জানতে চাইলে মিন্নি নিরব থাকেন।

এরপরে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিকে আরও অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করলে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের পুলিশ পরিদর্শকের বক্তব্য শুনে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে, বুধবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডেকে এনে মিন্নিকে গ্রেফতার দেখানো ও আদালতে নেওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মিন্নির পরিবার ।

মিন্নির পরিবারের দাবি মিন্নি প্রায় দুই মাস যাবত মানসিক চিকিৎসাধীন রয়েছে। মানসিকভাবে অসুস্থ আমাদের মেয়েকে আসামি সনাক্ত করার নামে একটানা ১২ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদে, সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মুন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বুববার বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের জানান, আমার মেয়েকে কি কারণে সাক্ষী থেকে আসামি করা হয়েছে আমি তার সঠিক তদন্ত চাই। তিনি অভিযোগ করেন; খুনিদের সহযোগীরা নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের মামলা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য নাটক সাজিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি আইনগত ভাবে লড়াই করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।

পোস্ট শেয়ার করুন

আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নই, আদালতকে মিন্নি, পাঁচ দিনের রিমান্ডে

আপডেটের সময় : ০৬:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯

প্রায় ১৫ মিনিট তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্য শেষে বিচারক জানতে চান আসামির পক্ষে কোনও আইনজীবী আছেন কিনা? উপস্থিত আইনজীবীরা এসময় নীরব ছিলেন। পরে বিচারক কাঠগড়ায় দাঁড়ানো মিন্নিকে উদ্দেশ্য করে জানতে চান তার কোনো বক্তব্য আছে কিনা? মিন্নি এসময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, স্যার আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত নই, ঐ দিন যে এই ঘটনা ঘটবে তা আমি জানতাম না।

বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে আটকের ১৮ ঘন্টা পরে আজ বুধবার বেলা ৩টা ১৩ মিনিটে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করা হলে তিনি এ দাবি করেন।

জানা গেছে, বুধবার ৩টা ১৮ মিনিটে বিচারক তার এসলাসে আসন গ্রহণ করেন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. হুমায়ন কবির বিচারকের অনুমতি নিয়ে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এসময় তদন্তকারী কর্মকর্তা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে মিন্নির সম্পৃত্তা আছে দাবি করে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্য শেষে মিন্নি আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, বিভিন্ন সময় আসামিরা তাকে ফোনে বিরক্ত করতো ও ভয় ভীতি দেখাতো। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দিতো। তিনি আরও বলেন, ‘আমি বা আমার পরিবার আসামিদের ভয়ে কোথাও মুখ খুলতে পারিনি। আমার স্বামী রিফাত শরীফ হত্যাকারীদের বিচার চাই। আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে।’ বক্তব্যের একপর্যায়ে বিচারক হত্যাকারীর কল লিস্টে তার নম্বর কিভাবে এলো জানতে চাইলে মিন্নি নিরব থাকেন।

এরপরে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিকে আরও অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করলে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের পুলিশ পরিদর্শকের বক্তব্য শুনে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে, বুধবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ডেকে এনে মিন্নিকে গ্রেফতার দেখানো ও আদালতে নেওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মিন্নির পরিবার ।

মিন্নির পরিবারের দাবি মিন্নি প্রায় দুই মাস যাবত মানসিক চিকিৎসাধীন রয়েছে। মানসিকভাবে অসুস্থ আমাদের মেয়েকে আসামি সনাক্ত করার নামে একটানা ১২ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদে, সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মুন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বুববার বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের জানান, আমার মেয়েকে কি কারণে সাক্ষী থেকে আসামি করা হয়েছে আমি তার সঠিক তদন্ত চাই। তিনি অভিযোগ করেন; খুনিদের সহযোগীরা নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের মামলা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য নাটক সাজিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি আইনগত ভাবে লড়াই করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।