ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

আমি এক হতভাগী আমার নিজেস্ব কোন পিতৃ পরিচয় নেই,আপনাদের সহযোগিতা চাই।

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০১৯
  • / ১০৯৯ টাইম ভিউ

প্রিয় দেশবাসী,আসসালামু আলাইকুম,আমি এক হতভাগী আমার নিজেস্ব কোন পরিচয় নেই। আমার সব চেয়ে বড় পরিচয় আমি এদেশের নাগরিক।হয় তোবা আপনাদের কারো না কারো সন্তান,বা বোন।আপনাদের মতো স্বাভাবিক ভাবে জন্ম হয়েছিলো আমার,কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই হয়ে যাই পরিচয় হীন মানুষ।

আমার বয়স যখন ৩ থেকে সাড়ে তিন বছর হবে তখন আমাকে ঢাকার রামপুরা এলাকা থেকে পাচার করে নিয়ে যায়। শরিয়ত পুর জেলার ড্যামুডা থানার সিঁদুল কুড়া ইউনিয়ানের আদাশন গ্রামের আব্দুল হক সরদ্দার পিতাঃমৃত মকফর আলী সরদার,ও তার স্ত্রী মাহামুদা বেগম,এর পর একই এলাকার হায়দার শিকদার পিতাঃমৃত আকফর আলী শিকদার ছেলে ও তার স্ত্রী আসমা বেগম।সেই সমায়ের নিঃসন্তান দম্পতীর ছিলো।তাদের কাছে বিপুল অর্থের বিনিময় বিক্রি করে দেয় আমাকে।যখন আমি বুঝতে শিখি তখন মানুষের মুখে শুনতে পারি হায়দার শিকদার ও আসমা বেগম আমার বাবা মা নয়।এমন কি যে নামে আমি বড় হয়েছি সেই নাম আমার আসল নাম নয়।সেই সমায়ের সৃতি বলতে আমার কিছু মনে নাই।তবে তারা বলেছে ছোট বেলায় আমার নাম নাকি সুমাইয়া ছিলো।নিজের অতিথ জানার পর -জানার খুব আগ্রহ জাগে আমার আসল পরিচয়পালিত বাবা মার কাছে আমার আসল পরিচয় জানতে চাইলে আমার উপর শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করা হতো।আমার বয়স যখন ১০-১১ হবে নিঃসন্তান হায়দার শিকদার ও আসমা বেগমের কোল জুড়ে একটি সন্তান আসে তখন আমার প্রতি নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।আমাকে এতোটাই নির্যাতন করা হতো এলাকার লোকজন ও সইতে পারতো না।আমাকে কিডন্যাপ কারী আব্দুল হক সরদার ও তার স্ত্রী মাহমুদা আমার কথিত পিতা মাতার সম্পর্কে খালা খালু।আমার কথিত বাবা মা ও তার খালা খালুর নিকট আমার পরিচয় জানার অনেক চেষ্টা করেছি।উল্টা তারা আমাকে শরীরির ও মানুসিক ভাবে কষ্ট দিয়েছে।এমন কি ১১ বছর বয়সে তাদের বাড়ি থেকে আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছে।পরর্বতী সমায় শরিয়তপুর গোসাইর হাটে আরেক প্রভাব শালী ব্যক্তির বাড়িতে কেটে যায় আমার জীবনের ৪ টি বছর। কিন্তু সেখানেও এই হতভাগীর জায়গা হয়নি,তাই আমার আসল বাবা মা কে খুজার জন্য ঢাকায় চলে এসেছি। এবং অজানা পরিচয় জানার চেষ্টা করছি।ভাগ্যচক্রে একটি ছেলে কে বিয়ে করে তার সাথে আছি।নিজের পরিচয় জানার জন্য বিভিন্ন থানা পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়েছি বিষয়টা পুরনো বলে কেহ গুরুত্ব দেয়নি।অনেকে হাসি ঠাট্টা করে উড়িয়ে দেয় আমার আকুতি।যারা আমাকে কিডন্যাপ করেছিলো ও আমার পালিত বাবা মা দাবী করে তারা আমাকে পালক হিসাবে নিয়েছে, কিন্তু এরম এরকম কোন ডকুমেন্টস বা প্রমান তারা দেখাতে পারেনি।কিডন্যাপ কিংবা পালক যাই ঘটে থাক আমার জীবনে আমি চাই আমার নিজস্ব একটি পরিচয়,তাই এই দেশের নাগরিক হিসাবে প্রধানমন্ত্রী কাছে আমার একটাই চাওয়া আমার সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করে আমার বাবা মা নিকট ফিরে দিবনে।সেই সাথে দেশের সকল মিডিয়া পুলিশ প্রশাসন ও সুশীল সমাজ সহ দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করি।

পোস্ট শেয়ার করুন

আমি এক হতভাগী আমার নিজেস্ব কোন পিতৃ পরিচয় নেই,আপনাদের সহযোগিতা চাই।

আপডেটের সময় : ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০১৯

প্রিয় দেশবাসী,আসসালামু আলাইকুম,আমি এক হতভাগী আমার নিজেস্ব কোন পরিচয় নেই। আমার সব চেয়ে বড় পরিচয় আমি এদেশের নাগরিক।হয় তোবা আপনাদের কারো না কারো সন্তান,বা বোন।আপনাদের মতো স্বাভাবিক ভাবে জন্ম হয়েছিলো আমার,কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই হয়ে যাই পরিচয় হীন মানুষ।

আমার বয়স যখন ৩ থেকে সাড়ে তিন বছর হবে তখন আমাকে ঢাকার রামপুরা এলাকা থেকে পাচার করে নিয়ে যায়। শরিয়ত পুর জেলার ড্যামুডা থানার সিঁদুল কুড়া ইউনিয়ানের আদাশন গ্রামের আব্দুল হক সরদ্দার পিতাঃমৃত মকফর আলী সরদার,ও তার স্ত্রী মাহামুদা বেগম,এর পর একই এলাকার হায়দার শিকদার পিতাঃমৃত আকফর আলী শিকদার ছেলে ও তার স্ত্রী আসমা বেগম।সেই সমায়ের নিঃসন্তান দম্পতীর ছিলো।তাদের কাছে বিপুল অর্থের বিনিময় বিক্রি করে দেয় আমাকে।যখন আমি বুঝতে শিখি তখন মানুষের মুখে শুনতে পারি হায়দার শিকদার ও আসমা বেগম আমার বাবা মা নয়।এমন কি যে নামে আমি বড় হয়েছি সেই নাম আমার আসল নাম নয়।সেই সমায়ের সৃতি বলতে আমার কিছু মনে নাই।তবে তারা বলেছে ছোট বেলায় আমার নাম নাকি সুমাইয়া ছিলো।নিজের অতিথ জানার পর -জানার খুব আগ্রহ জাগে আমার আসল পরিচয়পালিত বাবা মার কাছে আমার আসল পরিচয় জানতে চাইলে আমার উপর শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করা হতো।আমার বয়স যখন ১০-১১ হবে নিঃসন্তান হায়দার শিকদার ও আসমা বেগমের কোল জুড়ে একটি সন্তান আসে তখন আমার প্রতি নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।আমাকে এতোটাই নির্যাতন করা হতো এলাকার লোকজন ও সইতে পারতো না।আমাকে কিডন্যাপ কারী আব্দুল হক সরদার ও তার স্ত্রী মাহমুদা আমার কথিত পিতা মাতার সম্পর্কে খালা খালু।আমার কথিত বাবা মা ও তার খালা খালুর নিকট আমার পরিচয় জানার অনেক চেষ্টা করেছি।উল্টা তারা আমাকে শরীরির ও মানুসিক ভাবে কষ্ট দিয়েছে।এমন কি ১১ বছর বয়সে তাদের বাড়ি থেকে আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছে।পরর্বতী সমায় শরিয়তপুর গোসাইর হাটে আরেক প্রভাব শালী ব্যক্তির বাড়িতে কেটে যায় আমার জীবনের ৪ টি বছর। কিন্তু সেখানেও এই হতভাগীর জায়গা হয়নি,তাই আমার আসল বাবা মা কে খুজার জন্য ঢাকায় চলে এসেছি। এবং অজানা পরিচয় জানার চেষ্টা করছি।ভাগ্যচক্রে একটি ছেলে কে বিয়ে করে তার সাথে আছি।নিজের পরিচয় জানার জন্য বিভিন্ন থানা পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়েছি বিষয়টা পুরনো বলে কেহ গুরুত্ব দেয়নি।অনেকে হাসি ঠাট্টা করে উড়িয়ে দেয় আমার আকুতি।যারা আমাকে কিডন্যাপ করেছিলো ও আমার পালিত বাবা মা দাবী করে তারা আমাকে পালক হিসাবে নিয়েছে, কিন্তু এরম এরকম কোন ডকুমেন্টস বা প্রমান তারা দেখাতে পারেনি।কিডন্যাপ কিংবা পালক যাই ঘটে থাক আমার জীবনে আমি চাই আমার নিজস্ব একটি পরিচয়,তাই এই দেশের নাগরিক হিসাবে প্রধানমন্ত্রী কাছে আমার একটাই চাওয়া আমার সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করে আমার বাবা মা নিকট ফিরে দিবনে।সেই সাথে দেশের সকল মিডিয়া পুলিশ প্রশাসন ও সুশীল সমাজ সহ দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করি।