ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

‘আমি আর নাসের রহমানের সাথে রাজনীতি করবোনা’ আবেগ আপ্লুত অ্যাড. আবেদ রাজা

নাজমুল বারী সোহেলঃ
  • আপডেটের সময় : ১১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯
  • / ২১৪২ টাইম ভিউ

নাজমুল বারী সোহেল ঃ কুলাউড়া বিএনপির কাউন্সিল আয়োজনের পূর্ব মুহূর্তে হঠাৎ স্থগিতের নির্দেশ দেওয়ায় অ্যাড. এএনএম আবেদ রাজা আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমানের অনেক অন্যায় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলাম একমাত্র দলের স্বার্থের কথা চিন্তা করে। অথচ তাঁর অগণতান্ত্রিক ও হঠকারী সিদ্বান্তের কারণে প্রায় এক দশক পর গণতান্ত্রিক ধারায় আয়োজিত কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল স্থগিত হয়ে গেলো। বারবার জেলা সভাপতির এমন অগণতান্ত্রিক আচরণ আমাকে ও আমার নেতাকর্মীদের ব্যাথিত করেছে। আমি আর জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমানের সাথে রাজনীতি করবোনা। তাই আমি পদত্যাগ করবো।’
তিনি শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার স্কুল চৌমুহনীস্থ পালকী কমিউনিটি সেন্টারে পূর্বনির্ধারিত উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নিজের বক্তব্যে প্রদান কালে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাড. এএনএম আবেদ রাজা এ ক্ষুদ্ব প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘কুলাউড়া উপজেলায় বিএনপির রাজনীতি ছিলো অনেকটা খাঁদের কিনারায়। স্ইে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করেছি। রাজনীতি থেকে আমার আর কিছু পাওয়ার নেই, চাওয়ারও নেই। গত ৩০ মার্চে জেলা বিএনপি কর্তৃক কুলাউড়া উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর এই কাউন্সিলকে ঘিরে গত ২ মাস শত কষ্ট উপেক্ষা করে পৌর ও উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়। অথচ একজনের মিথ্যাচারে বিএনপির নেতাকর্মীদের আবেগকে উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ অপমানিত করে শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছায় অগণতান্ত্রিকভাবে কাউন্সিল স্থগিতের ঘোষণা দিলেন জেলার সভাপতি এম নাসের রহমান। আমি জেলা সভাপতির পদত্যাগ দাবি করছি। পাশাপাশি উনার পদত্যাগের ব্যাপারে কেন্দ্রিয় বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন করবো।’
তিনি এম নাসের রহমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি পদত্যাগ করলেও দলের নেতাকর্মী ও প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের প্রতি এবং আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকবে। আপনি (নাসের রহমান) আপনার পিতার (এম সাইফুর রহমানের) আদর্শ ধরে রাখতে পারেননি। আপনার শরীরে যে রক্ত বইছে তার প্রতি আমার আজীবন শ্রদ্ধা থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পড়াশুনা করতেন তখন সম্ভবত আমি আপনাকে রাজনীতিতে আসার আহ্বান করেছিলাম। আপনি তখন না করেছিলেন। দীর্ঘদিন আপনার অন্যায় মেনে নিয়েছি, নিজের সব চাওয়া পাওয়া বিসর্জন দিয়ে পাশে থেকেছি কারণ কেউ আপনাকে রক্তাক্ত করুক সেটা চাইনি। কিন্তু আপনার এমন অগণতান্ত্রিক আচরণে আর মনে হয় আপনার পাশে থাকতে পারলামনা। আমি আর আপনার সাথে সাথে রাজনীতি করবোনা।
এছাড়াও তিনি ‘এই কাউন্সিল পণ্ড করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদকে দায়ী করে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন।’
এসময় আবেদ রাজা পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দিলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা জেলা উল্টো ক্ষুদ্ব হয়ে সভাপতি এম নাসের র হমানের পদত্যাগ ও কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদকে বহিস্কারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

‘আমি আর নাসের রহমানের সাথে রাজনীতি করবোনা’ আবেগ আপ্লুত অ্যাড. আবেদ রাজা

আপডেটের সময় : ১১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯

নাজমুল বারী সোহেল ঃ কুলাউড়া বিএনপির কাউন্সিল আয়োজনের পূর্ব মুহূর্তে হঠাৎ স্থগিতের নির্দেশ দেওয়ায় অ্যাড. এএনএম আবেদ রাজা আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমানের অনেক অন্যায় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলাম একমাত্র দলের স্বার্থের কথা চিন্তা করে। অথচ তাঁর অগণতান্ত্রিক ও হঠকারী সিদ্বান্তের কারণে প্রায় এক দশক পর গণতান্ত্রিক ধারায় আয়োজিত কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল স্থগিত হয়ে গেলো। বারবার জেলা সভাপতির এমন অগণতান্ত্রিক আচরণ আমাকে ও আমার নেতাকর্মীদের ব্যাথিত করেছে। আমি আর জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমানের সাথে রাজনীতি করবোনা। তাই আমি পদত্যাগ করবো।’
তিনি শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার স্কুল চৌমুহনীস্থ পালকী কমিউনিটি সেন্টারে পূর্বনির্ধারিত উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নিজের বক্তব্যে প্রদান কালে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাড. এএনএম আবেদ রাজা এ ক্ষুদ্ব প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘কুলাউড়া উপজেলায় বিএনপির রাজনীতি ছিলো অনেকটা খাঁদের কিনারায়। স্ইে বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করেছি। রাজনীতি থেকে আমার আর কিছু পাওয়ার নেই, চাওয়ারও নেই। গত ৩০ মার্চে জেলা বিএনপি কর্তৃক কুলাউড়া উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর এই কাউন্সিলকে ঘিরে গত ২ মাস শত কষ্ট উপেক্ষা করে পৌর ও উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়। অথচ একজনের মিথ্যাচারে বিএনপির নেতাকর্মীদের আবেগকে উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ অপমানিত করে শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছায় অগণতান্ত্রিকভাবে কাউন্সিল স্থগিতের ঘোষণা দিলেন জেলার সভাপতি এম নাসের রহমান। আমি জেলা সভাপতির পদত্যাগ দাবি করছি। পাশাপাশি উনার পদত্যাগের ব্যাপারে কেন্দ্রিয় বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন করবো।’
তিনি এম নাসের রহমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি পদত্যাগ করলেও দলের নেতাকর্মী ও প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের প্রতি এবং আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকবে। আপনি (নাসের রহমান) আপনার পিতার (এম সাইফুর রহমানের) আদর্শ ধরে রাখতে পারেননি। আপনার শরীরে যে রক্ত বইছে তার প্রতি আমার আজীবন শ্রদ্ধা থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পড়াশুনা করতেন তখন সম্ভবত আমি আপনাকে রাজনীতিতে আসার আহ্বান করেছিলাম। আপনি তখন না করেছিলেন। দীর্ঘদিন আপনার অন্যায় মেনে নিয়েছি, নিজের সব চাওয়া পাওয়া বিসর্জন দিয়ে পাশে থেকেছি কারণ কেউ আপনাকে রক্তাক্ত করুক সেটা চাইনি। কিন্তু আপনার এমন অগণতান্ত্রিক আচরণে আর মনে হয় আপনার পাশে থাকতে পারলামনা। আমি আর আপনার সাথে সাথে রাজনীতি করবোনা।
এছাড়াও তিনি ‘এই কাউন্সিল পণ্ড করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদকে দায়ী করে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন।’
এসময় আবেদ রাজা পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দিলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা জেলা উল্টো ক্ষুদ্ব হয়ে সভাপতি এম নাসের র হমানের পদত্যাগ ও কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদকে বহিস্কারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।