আমারাও চাই আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক : প্রধানমন্ত্রী
- আপডেটের সময় : ০২:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৭
- / ১৩৫৪ টাইম ভিউ
আওয়ামী লীগের একটাই কথা যে মানুষ স্বাধীনভাবে, নিরপেক্ষভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে মানুষের পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আগামীতে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক সেটা আমরা চাই। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের ভোটাধিকার যেন ভবিষ্যতে কেউ কখনো আর কেড়ে নিতে না পারে, সেটাকে সুরক্ষিত করা এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ায় আমাদের লক্ষ্য। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমরা আলোচনায় যাব এবং আমাদের মতামত দেব। আজকের সভায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপের জন্য আমাদের প্রস্তাব গুলো চূড়ান্ত করা হবে।তিনি বলেন, আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও আমরা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখারে চেষ্টা করেছি। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যতক্ষণ শ্বাস আছে, ততক্ষণ দেশের ও গণতন্ত্রের জন্য কাজ করে যাব।তিনি আরো বলেন, জিয়ার আমল থেকে বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ শুরু হয়েছিল। এছাড়া বিএনপির আমলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ একজন বিচারপতিকে ডেকে কাপ চা খাইয়ে বললেন আপনি পদত্যাগ করেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। দেশের বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। ‘৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছিল। জাতিকে বিশ্ব দরবারে ছোট করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, রাজনীতি নিজের জন্য নয়, রাজনীতি করি মানুষের জন্য। ২০১৪ সালে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারিনি। আমি নিজে খালেদা জিয়াকে ফোন করেছি। তাকে বলেছিলাম সর্বদলীয় সরকার করে নির্বাচন করি। যে মন্ত্রণালয় চাইবেন সেটাই দেয়া হবে। তারপরও তিনি নির্বাচনে না এসে আগুন দিয়ে এবং পেট্রল বোমা মেরে মানুষ হত্যার পথ বেছে নিলেন।যৌথসভায় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।