ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
মৌলভীবাজারে সংবর্ধিত মুসলিম কমিউনিটি আহবায়ক শায়খ নূরে আলম হামিদী মহান স্বাধীনতা দিবস ও রমাদান উপলক্ষ্যে সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে পর্তুগাল বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে আব্দুল্লাপুর আঞ্চলিক সমিতির ষষ্ঠ বর্ষে পর্দাপন কেক কেটে উদযাপন ইতালির মিলানে ফেনী জেলা সমিতির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোজাদারদের সম্মানে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ভারেজ প্রভিন্সের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল স্বেচ্ছাসেবক দল ইতালি উত্তরের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রায় ২৮ হাজার ৯০০ জন অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) স্কুল শিক্ষিকা কে নির্যাতনের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামী গ্রেফতার

আমরা বঙ্গবন্ধুর কর্মী : সুলতান মনসুর

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ০৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৭৩৬ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:  “জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমে আমাকে এই এলাকায় পাঠানো হয়েছে। যতদিন বেঁচে থাকবো ঘুষ না দিয়ে আর ঘুষ না খেয়ে কতদূর যাওয়া যায় আমি দেখতে চাই। আমরা বঙ্গবন্ধুর কর্মী। আমরা মুক্তি সংগ্রামের কর্মী। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে বীর উত্তম মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

সোমবার বিকালে ঐতিহ্যবাহী কুলাউড়া ডাকবাংলা মাঠে আয়োজিত প্রথম নির্বাচনী জনসভায় মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর পরে এই প্রথম আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছি।

ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বলেন, নানা ষড়যন্ত্র করে আমাকে রাজনৈতিক নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সব ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে আমি আপনাদের সামনে হাজির হতে পেরেছি। জাতির এই ক্রান্তি লগ্নে আমি আপনাদের সঙ্গে একাত্ম হয়েছি। আপনাদের সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটের মাধ্যমে এই জালিম সরকারকে বিদায় জানাতে চাই, এই দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে চাই।

সুলতান মনসুর বলেন, বঙ্গবন্ধুর পিঠের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে চাওয়া সেই তেলকন্যা এখন বর্তমান সরকারে। যে বঙ্গবন্ধুকে হিটলার বলে গালি দিতো সেই সমাজতান্ত্রিক নেতা এখন মন্ত্রী হিসেবে এই সরকারে আছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর যে ব্যক্তি ট্যাংকের ওপর উঠে উল্লাস করেছিলেন তিনি এখন মন্ত্রিসভায়। এই সরকার লুটেরার সরকার। কিছু সুবিধাবাদী, কালোবাজারি, টাকাওয়ালা, ভণ্ড, দরবেশ এই সরকারে আছে। এই সরকারের পরিবর্তন প্রয়োজন।

বিজয়ের মাসে মহান মুক্তিযুদ্ধের আত্মদানকারী শহীদ ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে মৃত্যুবরণকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করে ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, আসন্ন নির্বাচন অনেক গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। ২০১৪ সালের সার্কাস মার্কা ভোটারবিহীন সরকার এদেশের জনগণ আর দেখতে চায় না। জনগনে ভোট দেয়নি তারপরও এমপি-মন্ত্রী। আমাকে ওই নির্বাচনে এমপি হতে অনেকেই বলেছেন আমি রাজি হইনি। আমি এমপি-মন্ত্রী হতে রাজনীতিতে আসিনি। আমি বাড়ি, গাড়ি, ধন, সম্পদ চাই না। আমি তার বড়াইও করি না। আমার সম্পদ আমার অনুপ্রেরণা আপনারাই।

সুলতান মনসুর আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। উনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশের সংবিধান যদি কেউ মানেন তবে এই সত্যগুলোকে অস্বীকার করতে পারবেন না। জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন। তিনি আমাদের সিলেটের কৃতি সন্তান। তার জন্মদিন বা মৃত্যুবার্ষিকীতে একটা অনুষ্ঠানও এই সরকার করে না। আবার বলে এরা নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার।

তিনি বলেন, আমি রাজনীতিকে জনগণের এই সেবাকে ঈমানের অংশ ও ইবাদত মনে করি। আমাকে রাজনীতি থেকে নির্বাসনে রাখার কারন আমি সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলি। বাংলাদেশে মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি ও লুটপাট করছে সরকার। বাংলাদেশে মেগা প্রকল্প যতটুকু নেওয়া হয়েছে পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোন নজির নেই এরকম তিনগুণ, চারগুণ বেশি অর্থ দিয়ে এসব এ প্রকল্প হয়েছে। এসব প্রকল্পের নামে সরকার মেগা দুর্নীতি অর্থ কেলেংকারী করছে। দেশে এখন গণতন্ত্র আইনের শাসন বাকস্বাধীনতা নেই বললেই চলে। জনগণের অধিকার আজ ভূ-লুন্ঠিত। গত ৫ বছর ধরে ভোটারবিহীন নির্বাচনের সরকার দেশ চালাচ্ছে।

পোস্ট শেয়ার করুন

আমরা বঙ্গবন্ধুর কর্মী : সুলতান মনসুর

আপডেটের সময় : ০৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:  “জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমে আমাকে এই এলাকায় পাঠানো হয়েছে। যতদিন বেঁচে থাকবো ঘুষ না দিয়ে আর ঘুষ না খেয়ে কতদূর যাওয়া যায় আমি দেখতে চাই। আমরা বঙ্গবন্ধুর কর্মী। আমরা মুক্তি সংগ্রামের কর্মী। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে বীর উত্তম মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

সোমবার বিকালে ঐতিহ্যবাহী কুলাউড়া ডাকবাংলা মাঠে আয়োজিত প্রথম নির্বাচনী জনসভায় মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর পরে এই প্রথম আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছি।

ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বলেন, নানা ষড়যন্ত্র করে আমাকে রাজনৈতিক নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সব ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে আমি আপনাদের সামনে হাজির হতে পেরেছি। জাতির এই ক্রান্তি লগ্নে আমি আপনাদের সঙ্গে একাত্ম হয়েছি। আপনাদের সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটের মাধ্যমে এই জালিম সরকারকে বিদায় জানাতে চাই, এই দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে চাই।

সুলতান মনসুর বলেন, বঙ্গবন্ধুর পিঠের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে চাওয়া সেই তেলকন্যা এখন বর্তমান সরকারে। যে বঙ্গবন্ধুকে হিটলার বলে গালি দিতো সেই সমাজতান্ত্রিক নেতা এখন মন্ত্রী হিসেবে এই সরকারে আছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর যে ব্যক্তি ট্যাংকের ওপর উঠে উল্লাস করেছিলেন তিনি এখন মন্ত্রিসভায়। এই সরকার লুটেরার সরকার। কিছু সুবিধাবাদী, কালোবাজারি, টাকাওয়ালা, ভণ্ড, দরবেশ এই সরকারে আছে। এই সরকারের পরিবর্তন প্রয়োজন।

বিজয়ের মাসে মহান মুক্তিযুদ্ধের আত্মদানকারী শহীদ ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে মৃত্যুবরণকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করে ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, আসন্ন নির্বাচন অনেক গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। ২০১৪ সালের সার্কাস মার্কা ভোটারবিহীন সরকার এদেশের জনগণ আর দেখতে চায় না। জনগনে ভোট দেয়নি তারপরও এমপি-মন্ত্রী। আমাকে ওই নির্বাচনে এমপি হতে অনেকেই বলেছেন আমি রাজি হইনি। আমি এমপি-মন্ত্রী হতে রাজনীতিতে আসিনি। আমি বাড়ি, গাড়ি, ধন, সম্পদ চাই না। আমি তার বড়াইও করি না। আমার সম্পদ আমার অনুপ্রেরণা আপনারাই।

সুলতান মনসুর আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। উনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশের সংবিধান যদি কেউ মানেন তবে এই সত্যগুলোকে অস্বীকার করতে পারবেন না। জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন। তিনি আমাদের সিলেটের কৃতি সন্তান। তার জন্মদিন বা মৃত্যুবার্ষিকীতে একটা অনুষ্ঠানও এই সরকার করে না। আবার বলে এরা নাকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার।

তিনি বলেন, আমি রাজনীতিকে জনগণের এই সেবাকে ঈমানের অংশ ও ইবাদত মনে করি। আমাকে রাজনীতি থেকে নির্বাসনে রাখার কারন আমি সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলি। বাংলাদেশে মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি ও লুটপাট করছে সরকার। বাংলাদেশে মেগা প্রকল্প যতটুকু নেওয়া হয়েছে পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোন নজির নেই এরকম তিনগুণ, চারগুণ বেশি অর্থ দিয়ে এসব এ প্রকল্প হয়েছে। এসব প্রকল্পের নামে সরকার মেগা দুর্নীতি অর্থ কেলেংকারী করছে। দেশে এখন গণতন্ত্র আইনের শাসন বাকস্বাধীনতা নেই বললেই চলে। জনগণের অধিকার আজ ভূ-লুন্ঠিত। গত ৫ বছর ধরে ভোটারবিহীন নির্বাচনের সরকার দেশ চালাচ্ছে।