আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক কারাগারে
- আপডেটের সময় : ১১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৭
- / ১০৫০ টাইম ভিউ
আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দিলদার হোসেন গুলশান থানার দুটি ও রমনা থানার একটি মামলায় আদালতে হাজির হন। তার অপর দুই ভাই ধানমন্ডি ও উত্তরা থানার দুটি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ‘অবৈধ সম্পদ’ খুঁজতে তার প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি বিক্রয়কেন্দ্রে গত ১৪ ও ১৫ মে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
প্রতিষ্ঠানটির গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান এভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকের পাঁচটি শোরুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম হীরা সাময়িকভাবে জব্দ করা হয়।
পরে ৪ জুন তিন দফা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় আপন জুয়েলার্সের জব্দ করা স্বর্ণ ও হীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মুদ্রাপাচারের অভিযোগে মামলা করে কাস্টমস।
পরে ৮ জুন ঢাকার সিএমএম আদালতে সাফাতসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এ্যানি। পরে ঢাকার নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ০২-এর বিচারক শফিউল আজম তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
অন্য আসামিরা হলেন- আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলের বন্ধু নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় মামলা করেন এক ছাত্রী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী ও তার বান্ধবীকে আটকে রাখেন। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। বাদী ও তার বান্ধবীকে জোর করে ঘরে নিয়ে যান আসামিরা। বাদীকে সাফাত আহমেদ ও বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ ধর্ষণ করেন। আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তার মাধ্যমেই ঘটনার ১০ থেকে ১৫ দিন আগে সাফাতের সাথে দুই ছাত্রীর পরিচয় হয়। এ মামলার পাঁচ আসামির সবাই বর্তমানে কারাগারে আছেন।