ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

আজ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী জন্মদিন

ছয়ফুল আলম সাইফুলঃ
  • আপডেটের সময় : ০২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ১৩৩৯ টাইম ভিউ

আজ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী জন্মদিন ১৯৪২ সালের ২১শে ডিসেম্বর মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানাধীন হাজীপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের (কানিহাটি পরগনা) সম্ভ্রান্ত চৌধুরী পরিবারের আব্দুল বারী চৌধুরী ও আজিজুন্নেছা চৌধুরীর কোলে জন্ম নেওয়া আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী আজ ৭৭ বছর বয়সে ছয় সন্তানের জনক আর পঁনেরো নাতি-নাতনির দাদা ও নানা।

হাজীপুর পাঠশালা থেকে শিক্ষা জীবন শুরু করে ১৯৫৫ সালে তিনি ক্লাশ সিক্সে কানিহাটি এম.ই মাদ্রাসা (বর্তমান কানিহাটি হাই স্কুল) থেকে চট্টগ্রাম ডিভিশনের (জালালাবাদ রেঞ্জ) মেধা তালিকায় প্রথম হন। নয়াবাজার কে. সি. হাই স্কুলে থেকে অষ্টম শ্রেণি পাশের পর তিনি ভর্তি হন ঢাকার সেন্ট্রাল গভঃ হাই স্কুলে (যা বর্তমানে মতিঝিল বালক উচ্চ বিদ্যালয়) এবং সেখান থেকে ১৯৬০ সালে তিনি মেট্রিক পাশ করেন।

পরবর্তীতে তিনি ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টার মেডিএইট পাশের পর অর্থনৈতিক ও অন্যান্য কারনে জীবন সংগ্রামে যোগ দিতে বাধ্য হন। বস্তুত, তিনি বিভিন্ন শ্রেণিতে প্রাপ্ত বৃত্তি ও লেখাপড়ার পাশাপাশি স্বল্প আয়ের চাকুরির মাধ্যমে নিজের লেখা-পড়া ও থাকা-খাওয়ার পাশাপাশি গ্রামের বাড়িতে অর্থনৈতিক যোগান দিয়ে আসছিলেন সেই সেন্ট্রাল গভঃ হাই স্কুলে ভর্তির পর থেকেই। ছাত্র জীবনে তিনি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে যেমন পেয়েছিলেন সাহায্য ও সহযোগিতা তেমনি পেয়েছিলেন লাঞ্ছনা ও বঞ্ছনা।

তাঁর প্রথম চাকরি বি.এফ.আই.ডি.সি. ঢাকাতে। কিছুদিন পর তিনি পদোন্নতি সহ বদলি নিয়ে চলে আসেন সিলেটের ছাতক পাল্প এন্ড পেপার মিলে। ছাতকে থাকাকালিন সতেরো বছর তিনি ছিলেন বি.এফ.আই.ডি.সি. শ্রমিক ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট, ছাতক পাল্প এন্ড পেপার মিল শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়নের সেক্রেটারি এবং বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

জীবনের ১৭টি বছর শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনে নেতৃত্বদানের কারনে বিভিন্ন সময় তাকে মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়। তাঁকে খুন করার জন্য নিয়োগ করা হয় ভাড়াটে খুনি। কিন্তু, মহান আল্লাহর রহমতে এবং সকলের দোয়ায় মৃত্যুর দুয়ার থেকেও তিনি জীবন ফিরে পান বেশ কয়েকবার।

ছাতকে থাকাকালিন ১৯৭১ সালে তিনি দেশ ও সার্বভৌম রক্ষায় ঝাপিয়ে পড়েন মহান মুক্তিযুদ্ধে, নাম লিখান বীর মুক্তিযোদ্ধার খাতায়। ১৯৭৭ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সিলেটের স্বনামধন্য পরিবার রেঙ্গা দাউদপুরের শফিকুর রহমান চৌধুরী (দলু মিয়া মাস্টার) ও আশরাফুন্নেছা চৌধুরীর ২য় মেয়ে আজিজা মওলা চৌধুরীর সাথে। অতঃপর ১৯৭৮ সালে বড়মেয়ে রায়হানা বেগম চৌধুরী (চুন্নি) ও ১৯৮০ সালে ২য় মেয়ে ফারহানা বেগম চৌধুরী (গিনি)’র জন্ম হয়।

কিন্তু, মুক্তিযুদ্ধের দশ বছর পর ১৯৮১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের ছাতক পাল্প এন্ড পেপার মিলও শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে ছাড়তে হয় তাকে। অতঃপর তিনি ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করেন রশিদাবাদ চা বাগানে। ১৭ বছর যে মানুষটি শ্রমিকদের জন্য আন্দোলন করে এসেছিলেন তার পক্ষে অন্তত চা বাগানের ম্যানেজারি করা সম্ভব না।

১৯৮৩ সালে জন্ম হয় একমাত্র ছেলে রুহুল কুদ্দুছ চৌধুরীর। সাত মাসের রুহুল এবং চুন্নি ও গিনিকে সঙ্গে নিয়ে বাগানের চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি ফিরে আসেন পৈত্রিক নিবাস কানিহাটিতে এবং নিজ জমিতে শুরু করেন চাষাবাদ, গড়ে তুলেন ফল, বাঁশ, কাঠ ও ঔষধি গাছের বাগান সহ মাছের ফিশারিজ। ১৯৮৪ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজ্ঞ প্রতিপক্ষকে হারিয়ে তিনি হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সেই সময় তিনি রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের কাছ থেকে কৃষি উন্নয়নে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার (রৌপ্য পদক) পান।

১৯৮৭ সালে তৃতীয় মেয়ে মারজানা বেগম চৌধুরী (মুন্নি), ১৯৯০ সালে সুলতানা বেগম চৌধুরী (ঊর্মি) এবং ১৯৯৬ সালে আফসানা বেগম চৌধুরী (সূর্মি)’র জন্ম হয়। পরপর তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান থাকাকালিন ২য় মেয়াদে তিনি প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সময় মৌলভীবাজার জেলার শ্রেষ্ট চেয়ারম্যান হিসেবে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন এবং শেষ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় তিনি আবারও মৌলভীবাজার জেলার শ্রেষ্ট চেয়ারম্যান হিসেবে স্বর্ণপদক প্রাপ্তির পাশাপাশি সরকারি খরচে ভারত ও নেপাল ভ্রমনে যান।

১৯৯৮ সালে তিনি পুনরায় হামদর্দ টি কোম্পানিতে যোগদান করেন এবং ২০০৬ সালে হামদর্দ টি কোম্পানির সুপারিয়েটেনডেন্ট থাকাকালিন অভিবাসন ভিসায় স্ব-পরিবারে কানাডায় চলে আসেন। কানাডায় আসার পূর্ব পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে কুলাউড়া উপজেলা ও মৌলভীবাজার জেলায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।

২০০৬ সাল থেকে ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে কানাডার অন্টারিও প্রদেশের টরন্টো শহরের একটি সিকিউরিটি কোম্পানিতে চাকুরির পর বর্তমানে তিনি ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনি নিয়ে অবসর জীবন অতিবাহিত করছেন। মহান রাব্বুল আ’লামিন উনাকে দীর্ঘায়ূ দান করুন।তিনির জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ জনপ্রত্যাশা ও দেশদিগন্ত অনলাইন নিউজ পোর্টালের পরিবার এবং হাজীপুর সোসাইটির সভাপতিসহ সকল সদস্য বৃন্দ।

পোস্ট শেয়ার করুন

আজ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী জন্মদিন

আপডেটের সময় : ০২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

আজ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী জন্মদিন ১৯৪২ সালের ২১শে ডিসেম্বর মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানাধীন হাজীপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের (কানিহাটি পরগনা) সম্ভ্রান্ত চৌধুরী পরিবারের আব্দুল বারী চৌধুরী ও আজিজুন্নেছা চৌধুরীর কোলে জন্ম নেওয়া আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী আজ ৭৭ বছর বয়সে ছয় সন্তানের জনক আর পঁনেরো নাতি-নাতনির দাদা ও নানা।

হাজীপুর পাঠশালা থেকে শিক্ষা জীবন শুরু করে ১৯৫৫ সালে তিনি ক্লাশ সিক্সে কানিহাটি এম.ই মাদ্রাসা (বর্তমান কানিহাটি হাই স্কুল) থেকে চট্টগ্রাম ডিভিশনের (জালালাবাদ রেঞ্জ) মেধা তালিকায় প্রথম হন। নয়াবাজার কে. সি. হাই স্কুলে থেকে অষ্টম শ্রেণি পাশের পর তিনি ভর্তি হন ঢাকার সেন্ট্রাল গভঃ হাই স্কুলে (যা বর্তমানে মতিঝিল বালক উচ্চ বিদ্যালয়) এবং সেখান থেকে ১৯৬০ সালে তিনি মেট্রিক পাশ করেন।

পরবর্তীতে তিনি ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টার মেডিএইট পাশের পর অর্থনৈতিক ও অন্যান্য কারনে জীবন সংগ্রামে যোগ দিতে বাধ্য হন। বস্তুত, তিনি বিভিন্ন শ্রেণিতে প্রাপ্ত বৃত্তি ও লেখাপড়ার পাশাপাশি স্বল্প আয়ের চাকুরির মাধ্যমে নিজের লেখা-পড়া ও থাকা-খাওয়ার পাশাপাশি গ্রামের বাড়িতে অর্থনৈতিক যোগান দিয়ে আসছিলেন সেই সেন্ট্রাল গভঃ হাই স্কুলে ভর্তির পর থেকেই। ছাত্র জীবনে তিনি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে যেমন পেয়েছিলেন সাহায্য ও সহযোগিতা তেমনি পেয়েছিলেন লাঞ্ছনা ও বঞ্ছনা।

তাঁর প্রথম চাকরি বি.এফ.আই.ডি.সি. ঢাকাতে। কিছুদিন পর তিনি পদোন্নতি সহ বদলি নিয়ে চলে আসেন সিলেটের ছাতক পাল্প এন্ড পেপার মিলে। ছাতকে থাকাকালিন সতেরো বছর তিনি ছিলেন বি.এফ.আই.ডি.সি. শ্রমিক ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট, ছাতক পাল্প এন্ড পেপার মিল শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়নের সেক্রেটারি এবং বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

জীবনের ১৭টি বছর শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনে নেতৃত্বদানের কারনে বিভিন্ন সময় তাকে মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়। তাঁকে খুন করার জন্য নিয়োগ করা হয় ভাড়াটে খুনি। কিন্তু, মহান আল্লাহর রহমতে এবং সকলের দোয়ায় মৃত্যুর দুয়ার থেকেও তিনি জীবন ফিরে পান বেশ কয়েকবার।

ছাতকে থাকাকালিন ১৯৭১ সালে তিনি দেশ ও সার্বভৌম রক্ষায় ঝাপিয়ে পড়েন মহান মুক্তিযুদ্ধে, নাম লিখান বীর মুক্তিযোদ্ধার খাতায়। ১৯৭৭ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সিলেটের স্বনামধন্য পরিবার রেঙ্গা দাউদপুরের শফিকুর রহমান চৌধুরী (দলু মিয়া মাস্টার) ও আশরাফুন্নেছা চৌধুরীর ২য় মেয়ে আজিজা মওলা চৌধুরীর সাথে। অতঃপর ১৯৭৮ সালে বড়মেয়ে রায়হানা বেগম চৌধুরী (চুন্নি) ও ১৯৮০ সালে ২য় মেয়ে ফারহানা বেগম চৌধুরী (গিনি)’র জন্ম হয়।

কিন্তু, মুক্তিযুদ্ধের দশ বছর পর ১৯৮১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের ছাতক পাল্প এন্ড পেপার মিলও শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে ছাড়তে হয় তাকে। অতঃপর তিনি ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করেন রশিদাবাদ চা বাগানে। ১৭ বছর যে মানুষটি শ্রমিকদের জন্য আন্দোলন করে এসেছিলেন তার পক্ষে অন্তত চা বাগানের ম্যানেজারি করা সম্ভব না।

১৯৮৩ সালে জন্ম হয় একমাত্র ছেলে রুহুল কুদ্দুছ চৌধুরীর। সাত মাসের রুহুল এবং চুন্নি ও গিনিকে সঙ্গে নিয়ে বাগানের চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি ফিরে আসেন পৈত্রিক নিবাস কানিহাটিতে এবং নিজ জমিতে শুরু করেন চাষাবাদ, গড়ে তুলেন ফল, বাঁশ, কাঠ ও ঔষধি গাছের বাগান সহ মাছের ফিশারিজ। ১৯৮৪ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজ্ঞ প্রতিপক্ষকে হারিয়ে তিনি হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সেই সময় তিনি রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের কাছ থেকে কৃষি উন্নয়নে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার (রৌপ্য পদক) পান।

১৯৮৭ সালে তৃতীয় মেয়ে মারজানা বেগম চৌধুরী (মুন্নি), ১৯৯০ সালে সুলতানা বেগম চৌধুরী (ঊর্মি) এবং ১৯৯৬ সালে আফসানা বেগম চৌধুরী (সূর্মি)’র জন্ম হয়। পরপর তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান থাকাকালিন ২য় মেয়াদে তিনি প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সময় মৌলভীবাজার জেলার শ্রেষ্ট চেয়ারম্যান হিসেবে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন এবং শেষ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় তিনি আবারও মৌলভীবাজার জেলার শ্রেষ্ট চেয়ারম্যান হিসেবে স্বর্ণপদক প্রাপ্তির পাশাপাশি সরকারি খরচে ভারত ও নেপাল ভ্রমনে যান।

১৯৯৮ সালে তিনি পুনরায় হামদর্দ টি কোম্পানিতে যোগদান করেন এবং ২০০৬ সালে হামদর্দ টি কোম্পানির সুপারিয়েটেনডেন্ট থাকাকালিন অভিবাসন ভিসায় স্ব-পরিবারে কানাডায় চলে আসেন। কানাডায় আসার পূর্ব পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে কুলাউড়া উপজেলা ও মৌলভীবাজার জেলায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন।

২০০৬ সাল থেকে ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে কানাডার অন্টারিও প্রদেশের টরন্টো শহরের একটি সিকিউরিটি কোম্পানিতে চাকুরির পর বর্তমানে তিনি ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনি নিয়ে অবসর জীবন অতিবাহিত করছেন। মহান রাব্বুল আ’লামিন উনাকে দীর্ঘায়ূ দান করুন।তিনির জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ জনপ্রত্যাশা ও দেশদিগন্ত অনলাইন নিউজ পোর্টালের পরিবার এবং হাজীপুর সোসাইটির সভাপতিসহ সকল সদস্য বৃন্দ।