ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবেঃ মির্জা ফখরুল

দেশদিগন্ত ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৯:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ২২১ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত ডেস্কঃ- সরকার পতনের আন্দোলনে তৃণমূলের জনগনকে সম্পৃক্ত করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপি সারাদেশে ইউনিয়নে ইউনিয়নে পদযাত্রা করবে।

শনিবার বিকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশ থেকে বিএনপি মহাসচিব এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ‘ আমাদের এবারের কর্মসূচি হবে একেবারে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে। গ্যাস-বিদ্যুত-চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যুগপত আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।”

ইউনিয়ন পর্যায় থেকে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ এবার ইউনিয়ন পর্যায় থেকে আমরা পদযাত্রা শুরু করব। এরপরে ধীরে ধীরে আমরা উপজেলা-জেলা-মহানগর এবং এরপরে সেই তাদের যে ক্ষমতার মসনদ সেই মসনদ জনগন দখল করে নেবে, জনগনের সরকার গঠন করবে।”‘‘ আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, আমরা ধীরে ধীরে চলছি, আমরা মানুষের অধিকারকে রক্ষা করার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে চলছি। আপনারা দেখেছেন যে, ঢাকায় ইতিমধ্যে পদযাত্রার মধ্য দিয়ে আমরা সকল মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছি এবং মানুষকে নিয়ে এগিয়ে চলার মধ্য দিয়ে যে একটা লং মার্চ সেই লং মার্চের মধ্য দিয়ে আমরা এদেরকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থেই জনগনের একটা রাষ্ট্র বানাতে চাই।”

 

ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মসূচি সফল করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান রেখে তিনি বলেন, ‘‘ আসুন আজকে গ্রামের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ইউনিয়নের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা-জেলার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একসাথে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানোর জন্য আমরা এগিয়ে চলি, এগিয়ে চলা হবে আমাদের বিজয় ইনশাল্লাহ।”

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের একপাশের সড়কে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবিতে এই সমাবেশ হয় ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিনের আয়োজনে। ঢাকা ছাড়াও অন্য ৯টি বিভাগীয় শহরে একযোগে এই কর্মসূচি হয়েছে।

 

১০ দফা দাবিতে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যে যুগপত আন্দোলন শুরু করেছে এটি তার চতুর্থ কর্মসূচি। গত ২৪ ডিসেম্বর ৯ বিভাগীয় শহরে এবং ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল, ১১ জানুয়ারি সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচি এবং ২৫ জানুয়ারি সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো ।

শনিবার ঢাকায় গণতন্ত্র মঞ্চ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম-পিপলস পার্টি আলাদা আলাদা সমাবেশ করে।তারাও ১১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রার অভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে।

বেলা ১২টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে নয়া পল্টনে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু সমাবেশের কার্যক্রম বেলা ২টায় শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল সাড়ে ৫টায়।

কাকরাইলের নাইটেঙ্গল রেষ্টুরেন্ট মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর উপস্থিতি সমাবেশ জনসমুদ্রে রুপ নেয়। নেতা-কর্মীরা লাল-হলুদ-নীল-সবুজ টুপি পড়ে, তাদের কারো কারো হাতে ছিলো জাতীয় ও বিএনপির পতাকা।

পোস্ট শেয়ার করুন

আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবেঃ মির্জা ফখরুল

আপডেটের সময় : ০৯:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

দেশদিগন্ত ডেস্কঃ- সরকার পতনের আন্দোলনে তৃণমূলের জনগনকে সম্পৃক্ত করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপি সারাদেশে ইউনিয়নে ইউনিয়নে পদযাত্রা করবে।

শনিবার বিকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশ থেকে বিএনপি মহাসচিব এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ‘ আমাদের এবারের কর্মসূচি হবে একেবারে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে। গ্যাস-বিদ্যুত-চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যুগপত আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।”

ইউনিয়ন পর্যায় থেকে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ এবার ইউনিয়ন পর্যায় থেকে আমরা পদযাত্রা শুরু করব। এরপরে ধীরে ধীরে আমরা উপজেলা-জেলা-মহানগর এবং এরপরে সেই তাদের যে ক্ষমতার মসনদ সেই মসনদ জনগন দখল করে নেবে, জনগনের সরকার গঠন করবে।”‘‘ আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, আমরা ধীরে ধীরে চলছি, আমরা মানুষের অধিকারকে রক্ষা করার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে চলছি। আপনারা দেখেছেন যে, ঢাকায় ইতিমধ্যে পদযাত্রার মধ্য দিয়ে আমরা সকল মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছি এবং মানুষকে নিয়ে এগিয়ে চলার মধ্য দিয়ে যে একটা লং মার্চ সেই লং মার্চের মধ্য দিয়ে আমরা এদেরকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থেই জনগনের একটা রাষ্ট্র বানাতে চাই।”

 

ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মসূচি সফল করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান রেখে তিনি বলেন, ‘‘ আসুন আজকে গ্রামের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ইউনিয়নের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা-জেলার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একসাথে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানোর জন্য আমরা এগিয়ে চলি, এগিয়ে চলা হবে আমাদের বিজয় ইনশাল্লাহ।”

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের একপাশের সড়কে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবিতে এই সমাবেশ হয় ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিনের আয়োজনে। ঢাকা ছাড়াও অন্য ৯টি বিভাগীয় শহরে একযোগে এই কর্মসূচি হয়েছে।

 

১০ দফা দাবিতে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যে যুগপত আন্দোলন শুরু করেছে এটি তার চতুর্থ কর্মসূচি। গত ২৪ ডিসেম্বর ৯ বিভাগীয় শহরে এবং ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল, ১১ জানুয়ারি সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচি এবং ২৫ জানুয়ারি সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো ।

শনিবার ঢাকায় গণতন্ত্র মঞ্চ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম-পিপলস পার্টি আলাদা আলাদা সমাবেশ করে।তারাও ১১ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রার অভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে।

বেলা ১২টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে নয়া পল্টনে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু সমাবেশের কার্যক্রম বেলা ২টায় শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল সাড়ে ৫টায়।

কাকরাইলের নাইটেঙ্গল রেষ্টুরেন্ট মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর উপস্থিতি সমাবেশ জনসমুদ্রে রুপ নেয়। নেতা-কর্মীরা লাল-হলুদ-নীল-সবুজ টুপি পড়ে, তাদের কারো কারো হাতে ছিলো জাতীয় ও বিএনপির পতাকা।