ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
মহান স্বাধীনতা দিবস ও রমাদান উপলক্ষ্যে সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে পর্তুগাল বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইতালির ভেনিসে আব্দুল্লাপুর আঞ্চলিক সমিতির ষষ্ঠ বর্ষে পর্দাপন কেক কেটে উদযাপন ইতালির মিলানে ফেনী জেলা সমিতির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোজাদারদের সম্মানে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ভারেজ প্রভিন্সের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল স্বেচ্ছাসেবক দল ইতালি উত্তরের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রায় ২৮ হাজার ৯০০ জন অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) স্কুল শিক্ষিকা কে নির্যাতনের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামী গ্রেফতার ইতালির বলোনিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল

অস্ট্রেলিয়াকে হারানো অসম্ভব কিছু না: মুশফিক

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : ০১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০১৭
  • / ১১৩২ টাইম ভিউ

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন প্রতিষ্ঠিত শক্তি। টেস্ট ক্রিকেটেও উন্নতির রথে আছে বাংলাদেশ। শক্তিমত্তার সীমাবদ্ধতার চ্যালেঞ্জ জয় করেই টেস্টে গত ছয় বছর ধরে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই ক্যারিয়ারে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। যার রোমাঞ্চটাও অনুভব করছেন তিনি। হোম কন্ডিশনের সঠিক ব্যবহার ও নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে ইংল্যান্ডের মতোই ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো অসম্ভব কিছু নয় বলেই মনে করেন টেস্ট অধিনায়ক।
নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চারটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। সবকটিতেই জিতেছে অজিরা। সর্বশেষ টেস্ট ২০০৬ সালে বাংলাদেশের মাটিতে। বর্তমান বাংলাদেশ টেস্ট দলের কারোই অভিজ্ঞতা নেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ বছর পার করে দেওয়া মুশফিক, সাকিব, তামিম, মাহমুদউল্লাহরাও এবারই প্রথম টেস্ট খেলবেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেই যার রোমাঞ্চটা উপভোগ করতে চান মুশফিক। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলা হোক। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে জীবনে প্রথমবার টেস্ট খেলা হবে, যদি খেলতে পারি আল্লাহর রহমতে। শুধু আমি না আমাদের দলে অনেকেই আছে অনেক বছর খেলেও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রথম টেস্ট খেলবে। আমরা ওয়ানডে খেলেছি কয়েকটা। খুব কম। টেস্ট খেলিনি। এটা অনেক বড় রোমাঞ্চ হবে। সবসময় শুনেছি অস্ট্রেলিয়া অনেক আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে। আমাদের কন্ডিশনে আমরাও চেষ্টা করব আমাদের যে আক্রমণাত্মক মাইন্ডসেট সেটা বজায় রাখতে।’
মুশফিকের আশা সব সংশয় কাটিয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী ১৮ আগস্ট বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়া। যার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতিও থাকছে সর্বোচ্চ। টেস্ট অধিনায়কের আশা দেশের মাটিতে হারাবেন স্টিভেন স্মিথের দলকে। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘ইংল্যান্ড আসার আগেও কিন্তু কেউ আমাদের হাতেগোনায় ধরেনি যে অন্তত জেতা তো দূরের কথা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব কিনা। কারণ ইংল্যান্ড যতই স্পিনে দুর্বল হোক ওদের কিন্তু উপমহাদেশে রেকর্ড অনেক ভালো। শেষ ২-৩ বছরে আমাদের দলে বেশকিছু প্রতিভাবান খেলোয়াড় এসেছে, যেটা কিনা স্বপ্ন দেখায় যে কোনো দলের সঙ্গে টেস্ট জেতার। আমি মনে করি আমাদের হোমের সুবিধা নিতে পারি, আমার মনে হয় অস্ট্রেলিয়াকে হারানো অসম্ভব কিছু না। এবং সেটার জন্যই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
ওয়ানডেতে বিশ্বমানের বোলার, ব্যাটসম্যান আছে বাংলাদেশের। কিন্তু টেস্টে ভালো মানের লেগ স্পিনার, দ্রুতগতির অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার নেই। মুশফিকের আশা, দলের বর্তমান ক্রিকেটাররা আরো ২-৩ বছর ধারাবাহিকভাবে খেলতে পারলেই টেস্টে ভালো অবস্থানে যাবে বাংলাদেশ।
মুশফিক বলেন, ‘যতই আপনি ভালো খেলেন না কেন, আপনাকে ২০ উইকেট নিতে হবে একটা টেস্ট জিততে হলে। যেটা আপনি জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড যার সঙ্গে খেলেন। এদিক থেকে আমরা একটু পিছিয়ে। কারণ আমাদের ভালো লেগ স্পিনার নেই, জেনুইন কুইক পেসার নেই। আমাদের শক্তি একটু কম। গত ২-৩ বছরে আমাদের কিছু বোলার বের হয়েছে। এরা যদি আরো ১-২টা বছর ধারাবাহিকভাবে খেলতে পারে তাহলে বাংলাদেশ টেস্ট দল আরো ভালো হবে।’
গত বছর বাংলাদেশের স্পিনারদের কাছে নাকানি-চুবানি খেয়ে গেছে ইংল্যান্ড। মুশফিক বলছেন, সাকিব-তাইজুল-মিরাজরা দেখিয়েছে হোম কন্ডিশনে কতটা ভয়ংকর হতে পারে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘আমাদের দুইটা বিশ্বমানের স্পিনার আছে আমি মনে করি। তাইজুল এবং সাকিব। তার সঙ্গে মিরাজ যুক্ত হয়েছে। তাদের যে কোনো দলের ২০টা উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য আছে। আর উইকেট থেকে এখানে অনেক সাহায্য পাবে। সেটাকে কাজে লাগিয়ে কতটা ভয়ংকর হতে পারে সেটা ইংল্যান্ডের সঙ্গেই গোটা বিশ্বকে দেখিয়েছে বাংলাদেশ।

পোস্ট শেয়ার করুন

অস্ট্রেলিয়াকে হারানো অসম্ভব কিছু না: মুশফিক

আপডেটের সময় : ০১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০১৭

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন প্রতিষ্ঠিত শক্তি। টেস্ট ক্রিকেটেও উন্নতির রথে আছে বাংলাদেশ। শক্তিমত্তার সীমাবদ্ধতার চ্যালেঞ্জ জয় করেই টেস্টে গত ছয় বছর ধরে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই ক্যারিয়ারে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। যার রোমাঞ্চটাও অনুভব করছেন তিনি। হোম কন্ডিশনের সঠিক ব্যবহার ও নিজেদের সেরাটা খেলতে পারলে ইংল্যান্ডের মতোই ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো অসম্ভব কিছু নয় বলেই মনে করেন টেস্ট অধিনায়ক।
নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চারটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। সবকটিতেই জিতেছে অজিরা। সর্বশেষ টেস্ট ২০০৬ সালে বাংলাদেশের মাটিতে। বর্তমান বাংলাদেশ টেস্ট দলের কারোই অভিজ্ঞতা নেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ বছর পার করে দেওয়া মুশফিক, সাকিব, তামিম, মাহমুদউল্লাহরাও এবারই প্রথম টেস্ট খেলবেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেই যার রোমাঞ্চটা উপভোগ করতে চান মুশফিক। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলা হোক। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে জীবনে প্রথমবার টেস্ট খেলা হবে, যদি খেলতে পারি আল্লাহর রহমতে। শুধু আমি না আমাদের দলে অনেকেই আছে অনেক বছর খেলেও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রথম টেস্ট খেলবে। আমরা ওয়ানডে খেলেছি কয়েকটা। খুব কম। টেস্ট খেলিনি। এটা অনেক বড় রোমাঞ্চ হবে। সবসময় শুনেছি অস্ট্রেলিয়া অনেক আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে। আমাদের কন্ডিশনে আমরাও চেষ্টা করব আমাদের যে আক্রমণাত্মক মাইন্ডসেট সেটা বজায় রাখতে।’
মুশফিকের আশা সব সংশয় কাটিয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী ১৮ আগস্ট বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়া। যার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতিও থাকছে সর্বোচ্চ। টেস্ট অধিনায়কের আশা দেশের মাটিতে হারাবেন স্টিভেন স্মিথের দলকে। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘ইংল্যান্ড আসার আগেও কিন্তু কেউ আমাদের হাতেগোনায় ধরেনি যে অন্তত জেতা তো দূরের কথা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব কিনা। কারণ ইংল্যান্ড যতই স্পিনে দুর্বল হোক ওদের কিন্তু উপমহাদেশে রেকর্ড অনেক ভালো। শেষ ২-৩ বছরে আমাদের দলে বেশকিছু প্রতিভাবান খেলোয়াড় এসেছে, যেটা কিনা স্বপ্ন দেখায় যে কোনো দলের সঙ্গে টেস্ট জেতার। আমি মনে করি আমাদের হোমের সুবিধা নিতে পারি, আমার মনে হয় অস্ট্রেলিয়াকে হারানো অসম্ভব কিছু না। এবং সেটার জন্যই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
ওয়ানডেতে বিশ্বমানের বোলার, ব্যাটসম্যান আছে বাংলাদেশের। কিন্তু টেস্টে ভালো মানের লেগ স্পিনার, দ্রুতগতির অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার নেই। মুশফিকের আশা, দলের বর্তমান ক্রিকেটাররা আরো ২-৩ বছর ধারাবাহিকভাবে খেলতে পারলেই টেস্টে ভালো অবস্থানে যাবে বাংলাদেশ।
মুশফিক বলেন, ‘যতই আপনি ভালো খেলেন না কেন, আপনাকে ২০ উইকেট নিতে হবে একটা টেস্ট জিততে হলে। যেটা আপনি জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড যার সঙ্গে খেলেন। এদিক থেকে আমরা একটু পিছিয়ে। কারণ আমাদের ভালো লেগ স্পিনার নেই, জেনুইন কুইক পেসার নেই। আমাদের শক্তি একটু কম। গত ২-৩ বছরে আমাদের কিছু বোলার বের হয়েছে। এরা যদি আরো ১-২টা বছর ধারাবাহিকভাবে খেলতে পারে তাহলে বাংলাদেশ টেস্ট দল আরো ভালো হবে।’
গত বছর বাংলাদেশের স্পিনারদের কাছে নাকানি-চুবানি খেয়ে গেছে ইংল্যান্ড। মুশফিক বলছেন, সাকিব-তাইজুল-মিরাজরা দেখিয়েছে হোম কন্ডিশনে কতটা ভয়ংকর হতে পারে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘আমাদের দুইটা বিশ্বমানের স্পিনার আছে আমি মনে করি। তাইজুল এবং সাকিব। তার সঙ্গে মিরাজ যুক্ত হয়েছে। তাদের যে কোনো দলের ২০টা উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য আছে। আর উইকেট থেকে এখানে অনেক সাহায্য পাবে। সেটাকে কাজে লাগিয়ে কতটা ভয়ংকর হতে পারে সেটা ইংল্যান্ডের সঙ্গেই গোটা বিশ্বকে দেখিয়েছে বাংলাদেশ।