অল্পের জন্য বেঁচে পেলেন ট্রাম্প
- আপডেটের সময় : ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / ৫১২ টাইম ভিউ
অল্পের জন্য রেহাই পাওয়ায় প্রেসিডেন্ট পদে টিকে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে অভিশংসন বিচারে ট্রাম্পে বিরুদ্ধে আনা দুটি অভিযোগ থেকে মুক্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে চূড়ান্ত বিচারে ট্রাম্পের পক্ষে রায় যায়। ক্ষমতার অপব্যবহার ও কংগ্রেসের কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের জন্য ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ অভিশংসনের এ প্রস্তাব সিনেটে পাঠিয়েছিল।- খবর গার্ডিয়ান, রয়টার্স ও বিবিসির।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বুধবার এক ধরনের দলীয় ভিত্তিতে এ ভোটাভুটি হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ থেকে ৫২-৪৮ ভোটে রেহাই পান তিনি। আর কংগ্রেসের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ থেকেও ৫৩-৪৭ ভোটে তিনি নিরপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হওয়ার পর সিনেটে নিষ্কৃতি পাওয়া তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হলেন ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিতে আসা ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আর তাকে অফিস থেকে সরাতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ অর্থাৎ ৬৭ ভোট দরকার ছিল। রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেটে যে সেটা সম্ভব হবে না, তা অনুমিতই ছিল। মার্কিন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের সভাপতিত্বে সিনেট চত্বরে সদস্যরা একেক করে দাঁড়িয়ে তাদের ভোট দেন।
এদিকে, নিজের ব্যক্তিগত পড়াশোনার জন্য ব্যবহার করা হোয়াইট হাউসের ডাইনিং রুমে শীর্ষ সহযোগীদের নিয়ে এই ভোট অনুষ্ঠান দেখেন ট্রাম্প। অভিশংসনকে তামাশা আখ্যায়িত করেন তিনি। বিচারে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বক্তৃতা দেয়ার কথা রয়েছে এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের।
এ সময় ট্রাম্পের প্রচার ব্যবস্থাপক বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। কাজেই এখন মার্কিন জনগণের সেবা করতে নিজের দায়িত্বে ফেরার সময় হয়েছে তার।
এ রায়ের পর বরাবরের মতো টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একে ’দেশের বিজয়’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিশংসন নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেবেন তিনি।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও কংগ্রেসের কার্যক্রমে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল। ট্রাম্পের আগে প্রেসিডেন্ট এন্ড্রু জনসন ও বিল ক্লিনটনকে অভিশংসনের প্রস্তাব সিনেটে পাঠিয়েছিল প্রতিনিধি পরিষদ। তবে সিনেট তাদের কাউকে পদচ্যুত করেনি। তবে ট্রাম্পই হতে যাচ্ছেন প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি অভিশংসনের ফাঁড়া কাটিয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনে নামতে যাচ্ছেন।