অবশেষে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত আর কোন প্রকার পরীক্ষা থাকবে না
- আপডেটের সময় : ০৮:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০১৯
- / ১০৩৪ টাইম ভিউ
প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পাবলিক পরীক্ষা না রাখার পরিকল্পনা করছে সরকার। পরীক্ষা বাদ দিয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হবে।
আগামী বছর থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত এই পদ্ধতি চালু হলেও পর্যায়ক্রমে চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্তও সব বিষয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নের আওতায় নেওয়া হবে।
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সব বিষয় ধারাবাহিক মূল্যায়নের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শেষ হলে পঞ্চম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা বাদ দেওয়া হবে।
অষ্টম শ্রেণি শেষে অনুষ্ঠিত হবে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সৃজনশীল পদ্ধতির আওতায় আনতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ধারাবাহিক মূল্যায়নের প্রস্তুতি হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে ‘মাস্টার ট্রেইনার’।
এসব মাস্টার ট্রেইনার সারাদেশের শিক্ষকদের সৃজনশীল পদ্ধাতিতে পাঠদান ও ধারাবাহিক মূল্যায়নে যোগ্য করে গড়ে তুলবেন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য প্রথমে দুটি গ্রুপে ৬০০ জন মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করা হচ্ছে।
প্রতি বিষয়েরে জন্য ৫০ জন করে মাস্টার ট্রেইনার প্রস্তুত করা হবে।
এসব মাস্টর ট্রেইনার শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাঠদান ও ধারাবাহিক মূল্যায়নের জন্য শিক্ষকদের প্রস্তুত করবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় থাকবে।
যদিও বর্তমানে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় রয়েছে।
আর ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত রয়েছে মাধ্যমিক পর্যায়ে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিকের আওতায় আনা হলে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত কোনও পাবলিক পরীক্ষা থাকবে না।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রাথমিকের তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষাব্যবস্থা তুলে দিয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নের আওতায় নেওয়ার ঘোষণা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২০১৭ সালের জেএসসিতে পরীক্ষায় বাদ দেওয়া হয় চারু ও কারুকলা, শারীরিক শিক্ষা এবং কর্মমুখী শিক্ষা।
২০১৭ সালের অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে কৃষি ও গার্হস্থ্য বিজ্ঞান।
এসব বিষয়ের ধারাবাহিক মূল্যায়ন করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একপর্যায়ে সব বিষয় নেওয়া হবে ধারাবাহিক মূল্যায়নে।