ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রউফের মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০
  • / ৫৪২ টাইম ভিউ

ছয়ফুল আলম সাইফুল : মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ঐতিহ্যবাহী ইয়াকুব তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: আব্দুর রউফ (৬০) আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন)। ১৫ মার্চ রোববার সকাল ৯টায় পৌর শহরের নিজ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর খবর মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সমগ্র জেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনের অধ্যায় কাটিয়ে অবসর নেওয়ার কথা ছিল ১১ মাস পর। কিন্তুু এর আগেই তাকে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হয়েছে না ফেরার দেশে। সকাল ১০ টায় ইয়াকুব তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা কলেজে এসে তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে বাসায় শেষ বারের মতো দেখতে এসে জড়ো হয়ে বিলাপ করতে দেখা যায়। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষকমন্ডলীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা তাকে দেখতে ভিড় জমান।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রউফ পৌর শহরের টিটিডিসি এলাকায় নিজ বাসায় সকালে ফজরের নামাজ আদায় করে ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল ৯টার দিকে তার স্ত্রী এম আর ইন্টারন্যাশনাল একাডেমীর অধ্যক্ষ রীনা চৌধুরী তাকে ঘুম থেকে জাগাতে গিয়ে তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে এ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। তার আকস্মিক মৃত্যুতে নিজ কর্মস্থল কুলাউড়া ইয়াকুব তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজ রোববার ছুটি ঘোষনা করা হয়।

মরহুমের প্রথম জানাযার নামাজ বিকেল ৫ টা ১৫ মিনিটে কুলাউড়া উপজেলা কোর্ট মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামাজ শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে এম সফি আহমদ সলমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নেছার আহমদ এমপি, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিসবাউর রহমান, কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেণু, সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও মৌলভীবাজার পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান, বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুয়েব আহমদ, বড়লেখা পৌর মেয়র আবু ইমাম মো. কামরান  চৌধুরী, ভাটেরা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ প্রমুখ। দ্বিতীয় জানাযার নামাজ নিজ এলাকা উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের হযরত বিবি মাই (রঃ) মাজার সংলগ্ন মাঠে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানেই তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হয়।
উল্লেখ্য, কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের কামারকান্দি নিবাসী অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রউফ ১৯৮৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় মাষ্টার্স সম্পন্ন করেন। শিক্ষাজীবন শেষে তিনি ১৯৮৬ সালে বড়লেখা ডিগ্রী কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন ও পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৯৬ সালে অধ্যক্ষ পদে পদোন্নতি লাভ করেন। বড়লেখা ডিগ্রী কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ ১৯৯৫ সালে নিজ উপজেলায় কুলাউড়া ইয়াকুব-তাজুল মহিলা ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে প্রতিষ্টাকালীন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৭ সালে তিনি বড়লেখা ডিগ্রী কলেজ থেকে পদত্যাগ করে ইয়াকুব-তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। তার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় কলেজটি স্বল্প সময়ে নারী শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক সুনাম অর্জন করে। অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রউফ বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও মৌলভীবাজার বাকশিসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া আব্দুর রউফ শিক্ষকতার পাশাপাশি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
ইয়াকুব তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও বড়লেখা সরকারি কলেজের শোকঃ অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রউফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তাঁর কলেজের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা। তাঁর সম্মানে একদিনের জন্য কলেজ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এদিকে বড়লেখা সরকারি কলেজে তাঁর মৃত্যুতে শোকসভা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের অধ্যক্ষ অরুণ কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে রোববার সকাল সকাল সাড়ে দশটায় আয়োজিত শোকসভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক জায়েদ আহমদ, দিগেন্দ্র দেবনাথ, মো. নিয়াজ উদ্দিন। এসময় তাঁর সম্মানে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয় এবং একদিনের জন্য ক্লাস স্থগিত করা হয়।
বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশঃ অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রউফের আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন আহমদ এমপি, মৌলভীবাজার-২ আসনের সাংসদ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাছ খান, এম এম শাহীন ও মো. আব্দুল মতিন, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ কে এম সফি আহমদ সলমান, কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী, কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাওসার দস্তগীর, কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইয়ারদৌস হাসান, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেণু, সাধারন সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম, কুলাউড়া উপজেলা কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) সভাপতি অধ্যক্ষ ফজলুল হক ফজলু ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদীপ ভট্টাচার্য্য সজল, কুলাউড়া সরকারী ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল হান্নান, কুলাউড়া ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. এমদাদুল ইসলাম ভুট্টো, রুদ্রবীণা সংগীত বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. রজত কান্তি ভট্টাচার্যসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।

পোস্ট শেয়ার করুন

অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রউফের মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ

আপডেটের সময় : ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০

ছয়ফুল আলম সাইফুল : মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ঐতিহ্যবাহী ইয়াকুব তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: আব্দুর রউফ (৬০) আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন)। ১৫ মার্চ রোববার সকাল ৯টায় পৌর শহরের নিজ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর খবর মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সমগ্র জেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনের অধ্যায় কাটিয়ে অবসর নেওয়ার কথা ছিল ১১ মাস পর। কিন্তুু এর আগেই তাকে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হয়েছে না ফেরার দেশে। সকাল ১০ টায় ইয়াকুব তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা কলেজে এসে তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে বাসায় শেষ বারের মতো দেখতে এসে জড়ো হয়ে বিলাপ করতে দেখা যায়। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষকমন্ডলীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা তাকে দেখতে ভিড় জমান।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রউফ পৌর শহরের টিটিডিসি এলাকায় নিজ বাসায় সকালে ফজরের নামাজ আদায় করে ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল ৯টার দিকে তার স্ত্রী এম আর ইন্টারন্যাশনাল একাডেমীর অধ্যক্ষ রীনা চৌধুরী তাকে ঘুম থেকে জাগাতে গিয়ে তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে এ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। তার আকস্মিক মৃত্যুতে নিজ কর্মস্থল কুলাউড়া ইয়াকুব তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজ রোববার ছুটি ঘোষনা করা হয়।

মরহুমের প্রথম জানাযার নামাজ বিকেল ৫ টা ১৫ মিনিটে কুলাউড়া উপজেলা কোর্ট মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামাজ শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে এম সফি আহমদ সলমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নেছার আহমদ এমপি, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিসবাউর রহমান, কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেণু, সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও মৌলভীবাজার পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান, বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুয়েব আহমদ, বড়লেখা পৌর মেয়র আবু ইমাম মো. কামরান  চৌধুরী, ভাটেরা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ প্রমুখ। দ্বিতীয় জানাযার নামাজ নিজ এলাকা উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের হযরত বিবি মাই (রঃ) মাজার সংলগ্ন মাঠে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানেই তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হয়।
উল্লেখ্য, কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের কামারকান্দি নিবাসী অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রউফ ১৯৮৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় মাষ্টার্স সম্পন্ন করেন। শিক্ষাজীবন শেষে তিনি ১৯৮৬ সালে বড়লেখা ডিগ্রী কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন ও পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৯৬ সালে অধ্যক্ষ পদে পদোন্নতি লাভ করেন। বড়লেখা ডিগ্রী কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ ১৯৯৫ সালে নিজ উপজেলায় কুলাউড়া ইয়াকুব-তাজুল মহিলা ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে প্রতিষ্টাকালীন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৭ সালে তিনি বড়লেখা ডিগ্রী কলেজ থেকে পদত্যাগ করে ইয়াকুব-তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। তার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় কলেজটি স্বল্প সময়ে নারী শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক সুনাম অর্জন করে। অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রউফ বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও মৌলভীবাজার বাকশিসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া আব্দুর রউফ শিক্ষকতার পাশাপাশি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
ইয়াকুব তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও বড়লেখা সরকারি কলেজের শোকঃ অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রউফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তাঁর কলেজের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা। তাঁর সম্মানে একদিনের জন্য কলেজ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এদিকে বড়লেখা সরকারি কলেজে তাঁর মৃত্যুতে শোকসভা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের অধ্যক্ষ অরুণ কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে রোববার সকাল সকাল সাড়ে দশটায় আয়োজিত শোকসভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক জায়েদ আহমদ, দিগেন্দ্র দেবনাথ, মো. নিয়াজ উদ্দিন। এসময় তাঁর সম্মানে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয় এবং একদিনের জন্য ক্লাস স্থগিত করা হয়।
বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশঃ অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রউফের আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন আহমদ এমপি, মৌলভীবাজার-২ আসনের সাংসদ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাছ খান, এম এম শাহীন ও মো. আব্দুল মতিন, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ কে এম সফি আহমদ সলমান, কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী, কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাওসার দস্তগীর, কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইয়ারদৌস হাসান, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেণু, সাধারন সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম, কুলাউড়া উপজেলা কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) সভাপতি অধ্যক্ষ ফজলুল হক ফজলু ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদীপ ভট্টাচার্য্য সজল, কুলাউড়া সরকারী ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল হান্নান, কুলাউড়া ইয়াকুব তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. এমদাদুল ইসলাম ভুট্টো, রুদ্রবীণা সংগীত বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড. রজত কান্তি ভট্টাচার্যসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।