ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

অধিকার আদায়ে স্বামীর বাড়িতে স্ত্রী’র অনশন

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
  • আপডেটের সময় : ১০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০
  • / ৩৬৪ টাইম ভিউ

শ্রীমঙ্গল শহরের উত্তর উত্তরসুর গ্রামে বৃষ্টি দাস (ছদ্মনাম) সংগীতশিল্পী হিসেবে একটি গানের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় যুবকের সাথে। তারপর থেকেই চলে নিয়মিত ফোনে কথোপোকথন ক্ষুদে বার্তা আদান প্রদান। একসময় ভালোবাসার প্রস্তাব নিয়ে আসেন সেই যুবক কিশোর গোস্বামী। প্রথমে রাজি না হলেও পরবর্তীতে ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা হয়। অতঃপর দীর্ঘদিন প্রেম করার পর কিশোর গোস্বামীর কাছ থেকে আসে মন্দিরে বিয়ের প্রস্তাব।

প্রথমে বৃষ্টি বিষয়টি অপারগতা প্রকাশ করলেও কিশোরের চাপে সিঁদুর পরিয়ে স্থানীয় একটি কালি মন্দির বিয়ে করেন দু’জন। বিয়ের করার পর স্বামী কিশোর গোস্বামীর বাড়িতে না গিয়ে কিশোরের পরামর্শে নিজের বাড়িতেই থাকেন স্ত্রী। কিছুদিন পর বিষয়টি জানাজানি হলে বৃষ্টি তার স্বামী কিশোর গোস্বামীকে চাপ দেয় বাড়িতে নেওয়ার জন্য। কিন্তু স্বামী কিশোর বাড়িতে না নিয়ে বিভিন্ন কথা বলে সময় ক্ষেপন করতে থাকেন, এক সময় স্ত্রীকে অস্বীকার বসে। এতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে বৃষ্টির। শেষমেশ কোন উপায় না পেয়ে দুঃখ, কষ্ট নিয়ে স্ত্রীর অধিকারের দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে স্বামীর বাড়িতে অনশন করছেন বৃষ্টি দাস। স্বামী কিশোর উপজেলার উত্তর উত্তরসুর মধ্যপাড়ার প্রানকৃষ্ণ গোম্বামীর ছেলে।

বৃষ্টি জানায়, বিয়ের পর একপর্যায়ে তিনি অন্তসত্বা হয়ে পড়লে কিশোর গোস্বামী তাকে শ্রীমঙ্গল কলেজ রোডস্থ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ইউরিন পরীক্ষা করায়, সেখানে তার নাম লিখায় মিস প্রিয়া। ইউরিন পরীক্ষায় পজিটিভ আসলে স্বামী কিশোর গোস্বামী সেটাকে কৌশলে নষ্ট করায়। নারীর জীবনের মূল্যবান সম্পদ নষ্ট করাসহ স্বামী কিশোর তাকে ঘরে তুলবে বলে কালক্ষেপন করে চলেছে। ইতিমধ্যে কয়েকবার সালিশ বৈঠক ও হয়েছে। সালিশে প্রানকৃষ্ণ গোস্বামী তাকে বধু হিসেবে গ্রহন করার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু এখনো গ্রহন করেনি। স্ত্রী হিসেবে তাকে যতক্ষণ মেনে না নেয়া হবে তিনি অনশন চালিয়ে যাবেন।

খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, ওয়ার্ড মেম্বার দুদু মিয়া, শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা, ঘটনাস্থলে যান। এসময় কিশোরের পিতা প্রানকৃষ্ণ গোস্বামী বলেন আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে আমার পুত্রবধু বৃষ্টিকে ঘরে তুলে নেয়া হবে। এ কথার প্রেক্ষিতে বৃষ্টিকে তার পিতার বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুছ ছালেক জানান, মেয়েটি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা গুরুত্বসহকারে বিষয়টি দেখছি। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

অধিকার আদায়ে স্বামীর বাড়িতে স্ত্রী’র অনশন

আপডেটের সময় : ১০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০২০

শ্রীমঙ্গল শহরের উত্তর উত্তরসুর গ্রামে বৃষ্টি দাস (ছদ্মনাম) সংগীতশিল্পী হিসেবে একটি গানের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় যুবকের সাথে। তারপর থেকেই চলে নিয়মিত ফোনে কথোপোকথন ক্ষুদে বার্তা আদান প্রদান। একসময় ভালোবাসার প্রস্তাব নিয়ে আসেন সেই যুবক কিশোর গোস্বামী। প্রথমে রাজি না হলেও পরবর্তীতে ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা হয়। অতঃপর দীর্ঘদিন প্রেম করার পর কিশোর গোস্বামীর কাছ থেকে আসে মন্দিরে বিয়ের প্রস্তাব।

প্রথমে বৃষ্টি বিষয়টি অপারগতা প্রকাশ করলেও কিশোরের চাপে সিঁদুর পরিয়ে স্থানীয় একটি কালি মন্দির বিয়ে করেন দু’জন। বিয়ের করার পর স্বামী কিশোর গোস্বামীর বাড়িতে না গিয়ে কিশোরের পরামর্শে নিজের বাড়িতেই থাকেন স্ত্রী। কিছুদিন পর বিষয়টি জানাজানি হলে বৃষ্টি তার স্বামী কিশোর গোস্বামীকে চাপ দেয় বাড়িতে নেওয়ার জন্য। কিন্তু স্বামী কিশোর বাড়িতে না নিয়ে বিভিন্ন কথা বলে সময় ক্ষেপন করতে থাকেন, এক সময় স্ত্রীকে অস্বীকার বসে। এতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে বৃষ্টির। শেষমেশ কোন উপায় না পেয়ে দুঃখ, কষ্ট নিয়ে স্ত্রীর অধিকারের দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে স্বামীর বাড়িতে অনশন করছেন বৃষ্টি দাস। স্বামী কিশোর উপজেলার উত্তর উত্তরসুর মধ্যপাড়ার প্রানকৃষ্ণ গোম্বামীর ছেলে।

বৃষ্টি জানায়, বিয়ের পর একপর্যায়ে তিনি অন্তসত্বা হয়ে পড়লে কিশোর গোস্বামী তাকে শ্রীমঙ্গল কলেজ রোডস্থ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ইউরিন পরীক্ষা করায়, সেখানে তার নাম লিখায় মিস প্রিয়া। ইউরিন পরীক্ষায় পজিটিভ আসলে স্বামী কিশোর গোস্বামী সেটাকে কৌশলে নষ্ট করায়। নারীর জীবনের মূল্যবান সম্পদ নষ্ট করাসহ স্বামী কিশোর তাকে ঘরে তুলবে বলে কালক্ষেপন করে চলেছে। ইতিমধ্যে কয়েকবার সালিশ বৈঠক ও হয়েছে। সালিশে প্রানকৃষ্ণ গোস্বামী তাকে বধু হিসেবে গ্রহন করার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু এখনো গ্রহন করেনি। স্ত্রী হিসেবে তাকে যতক্ষণ মেনে না নেয়া হবে তিনি অনশন চালিয়ে যাবেন।

খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, ওয়ার্ড মেম্বার দুদু মিয়া, শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা, ঘটনাস্থলে যান। এসময় কিশোরের পিতা প্রানকৃষ্ণ গোস্বামী বলেন আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে আমার পুত্রবধু বৃষ্টিকে ঘরে তুলে নেয়া হবে। এ কথার প্রেক্ষিতে বৃষ্টিকে তার পিতার বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুছ ছালেক জানান, মেয়েটি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা গুরুত্বসহকারে বিষয়টি দেখছি। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।