ঢাকা , শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার আবু জাহেলদের ব্যার্থ গুপ্ত হত্যা পরিকল্পনার মধ্যে দিয়েই যেভাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিজরত জীবনের শুরু হয় তারেক রহমানের উপস্থাপিত ৩১ দফা’র লিফলেট বিতরন করলো পর্তুগাল সেচ্চাসেবক দল ইতালির তরিনোতে জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্রাম্মণবাড়ীয়া জেলা সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হলে আমরা সারা দুনিয়া জ্বালিয়ে দেব,মিলানের সেমিনারে বললেন পিনাকী ভট্রাচার্য পর্তুগাল জাসাস’র নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা

৯৪ ইউপি জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে মাঠে নামছে দুদক

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
  • / ৫০৪ টাইম ভিউ

এবার দেশের বিভিন্ন জেলার ৯৪ জনপ্রতিনিধি (ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার) এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে করোনা ভাইরাস মহামারিতে সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির প্রকৃত উপকারভোগীদের বঞ্চিত করে নিজেরা বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ ও ত্রাণ আত্মসাৎ করেছে বলে দুদকে অভিযোগ রয়েছে। শনিবার কমিশন থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত ৯৪ জনপ্রতিনিধির মধ্যে ৩০ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ৬৪ জন ইউপি সদস্য রয়েছেন। ইতোমধ্যে সাময়িকভাবে তাদেরকে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরকারি ত্রাণ আত্মসাতসহ দুর্নীতির অভিযোগ প্রচার হয়েছে। এসব অভিযোগ কমিশনের অভিযোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এ কে এম সোহেলের নেতৃত্বাধীন যাচাই-বাছাই কমিটির আমলে নিয়ে প্রাথমিকভাবে যাচাই বাছাই করেন। এরপর ওই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ৯৪ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। তিনি আরও জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণ আত্মসাৎ, ভুয়া মাস্টাররোলের মাধ্যমে সরকারি চাল আত্মসাৎ, সরকারি ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণ না করে কালোবাজারে বিক্রি, জেলেদের ভিজিএফ-এর চাল আত্মসাৎ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম, উপকারভোগীদের ভুয়া তালিকা প্রণয়ন করে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির খাদ্যসামগ্রী আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে এরইমধ্যে ২১টি মামলা দায়ের করেছে দুদক। এসব মামলায় অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। নতুন করে এই ৯৪ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ত্রাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কারো প্রতি ন্যূনতম নমনীয় হওয়ার সুযোগ নেই। ত্রাণ দুর্নীতিবাজ প্রত্যেককেই আইনের মুখোমুখি হতে হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

৯৪ ইউপি জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে মাঠে নামছে দুদক

আপডেটের সময় : ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০

এবার দেশের বিভিন্ন জেলার ৯৪ জনপ্রতিনিধি (ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার) এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে করোনা ভাইরাস মহামারিতে সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির প্রকৃত উপকারভোগীদের বঞ্চিত করে নিজেরা বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ ও ত্রাণ আত্মসাৎ করেছে বলে দুদকে অভিযোগ রয়েছে। শনিবার কমিশন থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত ৯৪ জনপ্রতিনিধির মধ্যে ৩০ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ৬৪ জন ইউপি সদস্য রয়েছেন। ইতোমধ্যে সাময়িকভাবে তাদেরকে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরকারি ত্রাণ আত্মসাতসহ দুর্নীতির অভিযোগ প্রচার হয়েছে। এসব অভিযোগ কমিশনের অভিযোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এ কে এম সোহেলের নেতৃত্বাধীন যাচাই-বাছাই কমিটির আমলে নিয়ে প্রাথমিকভাবে যাচাই বাছাই করেন। এরপর ওই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ৯৪ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। তিনি আরও জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণ আত্মসাৎ, ভুয়া মাস্টাররোলের মাধ্যমে সরকারি চাল আত্মসাৎ, সরকারি ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণ না করে কালোবাজারে বিক্রি, জেলেদের ভিজিএফ-এর চাল আত্মসাৎ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম, উপকারভোগীদের ভুয়া তালিকা প্রণয়ন করে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির খাদ্যসামগ্রী আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে এরইমধ্যে ২১টি মামলা দায়ের করেছে দুদক। এসব মামলায় অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। মামলাগুলোর তদন্ত চলছে। নতুন করে এই ৯৪ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ত্রাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কারো প্রতি ন্যূনতম নমনীয় হওয়ার সুযোগ নেই। ত্রাণ দুর্নীতিবাজ প্রত্যেককেই আইনের মুখোমুখি হতে হবে।