ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

৩ বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট চলছে

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ৩৩১ টাইম ভিউ

জ্বালানী তেল বিক্রির কমিশন সাড়ে সাত শতাংশ প্রদানসহ ১৫ দফা দাবিতে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক-লরী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে অন্য বিভাগও। রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে প্রায় দুই হাজার পেট্রল পাম্প রয়েছে। ধর্মঘটের আওতায় এই সব পাম্প বন্ধের পাশাপাশি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এমএ মোমিন দুলাল বলেন, জ্বালানী সচিব ১৫ দফা দাবি নিয়ে আগামী ১৫ ডিসেম্বর তার অফিসে আমাদের সাথে একটি সভা আহ্বান করে চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠি আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।

গত ২৬ নভেম্বর সংগঠনের রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির আয়োজনে বগুড়া প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘটের এ ঘোষণা দেয়া হয়। তারা ধর্মঘট শুরুর আগে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ১৫ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আল্টিমেটাম দেন।

১৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- জ্বালানী তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে সাত শতাংশ প্রদান, জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান- বিষয়টি সুনির্দিষ্টকরণ, প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংক-লরী শ্রমিকদের ৫ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রথা প্রণয়ন, ট্যাংক-লরীর ভাড়া বৃদ্ধি, পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রোল পাম্পে অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট, জেনারেল স্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশদ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতিত অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল, বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ৫ বছর অন্তর বাধ্যতামূলক ক্যালিব্রেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ট্যাংক-লরী চলাচলে পুলিশি হয়রানী বন্ধ, সুনির্দিষ্ট দপ্তর ব্যতিত সরকারি অন্যান্য দাপ্তরিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ডিলার বা এজেন্টদেরকে অযথা হয়রানী বন্ধ, নতুন কোনো পেট্রোল পাম্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় জ্বালানী তেল মালিক সমিতির ছাড়পত্রের বিধান চালু, পেট্রোল পাম্পের পাশে যেকোন স্থাপনা নির্মাণের পূর্বে জেলা প্রশাসকের অনাপত্তি সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক ও বিভিন্ন জেলায় ট্যাংক-লরী থেকে জোরপূর্বক পৌরসভার চাঁদা গ্রহণ বন্ধ করতে হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

৩ বিভাগে অনির্দিষ্টকালের পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট চলছে

আপডেটের সময় : ০৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৯

জ্বালানী তেল বিক্রির কমিশন সাড়ে সাত শতাংশ প্রদানসহ ১৫ দফা দাবিতে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক-লরী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে অন্য বিভাগও। রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে প্রায় দুই হাজার পেট্রল পাম্প রয়েছে। ধর্মঘটের আওতায় এই সব পাম্প বন্ধের পাশাপাশি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এমএ মোমিন দুলাল বলেন, জ্বালানী সচিব ১৫ দফা দাবি নিয়ে আগামী ১৫ ডিসেম্বর তার অফিসে আমাদের সাথে একটি সভা আহ্বান করে চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠি আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।

গত ২৬ নভেম্বর সংগঠনের রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির আয়োজনে বগুড়া প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘটের এ ঘোষণা দেয়া হয়। তারা ধর্মঘট শুরুর আগে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ১৫ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আল্টিমেটাম দেন।

১৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- জ্বালানী তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে সাত শতাংশ প্রদান, জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান- বিষয়টি সুনির্দিষ্টকরণ, প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংক-লরী শ্রমিকদের ৫ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রথা প্রণয়ন, ট্যাংক-লরীর ভাড়া বৃদ্ধি, পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রোল পাম্পে অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট, জেনারেল স্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশদ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতিত অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল, বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ৫ বছর অন্তর বাধ্যতামূলক ক্যালিব্রেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ট্যাংক-লরী চলাচলে পুলিশি হয়রানী বন্ধ, সুনির্দিষ্ট দপ্তর ব্যতিত সরকারি অন্যান্য দাপ্তরিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ডিলার বা এজেন্টদেরকে অযথা হয়রানী বন্ধ, নতুন কোনো পেট্রোল পাম্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় জ্বালানী তেল মালিক সমিতির ছাড়পত্রের বিধান চালু, পেট্রোল পাম্পের পাশে যেকোন স্থাপনা নির্মাণের পূর্বে জেলা প্রশাসকের অনাপত্তি সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক ও বিভিন্ন জেলায় ট্যাংক-লরী থেকে জোরপূর্বক পৌরসভার চাঁদা গ্রহণ বন্ধ করতে হবে।