ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হবে, ২ জানুয়ারি খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে: জাফরুল্লাহ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ০৫:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৫৬৫ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য কারও কোনও দয়া চান না বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ শুক্রবার ‘৭ ডি‌সেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী চালক দল-এর উদ্যোগে ‘নির্বাচন ব্যর্থ ও প্রশ্নবিদ্ধ গণতন্ত্রের কী হবে?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তি‌নি এসব কথা ব‌লেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হবে। ২ জানুয়ারি তারিখে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন। তবে, তিনি মুক্ত হবেন ন্যায় বিচারের মাধ্যমে। কারও দয়ায় নয়।’ জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার প্রতি কোনও দয়া চাই না, মুক্তিও চাই না। তার প্রতি সুবিচার চাই। সুবিচার হলেই তিনি মুক্তি পাবেন। সরকারের উন্নয়নের সমালোচনা করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রর প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘এই সরকারের আমলনামায় আছে উন্নয়ন জোয়ার। আর এই উন্নয়ন হলো ইয়াবা উন্নয়ন। বিনা বিচারে হত্যা,গুম, খুনের উন্নয়ন।’ জনগণ বোকা না বলে মন্তব্য করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সরকারের চোখে ছানি পড়েছে, কিন্তু জনগণের চোখ খোলা আছে। উন্নয়ন অবশ্যই হয়েছে কোনও সন্দেহ নেই। আপনার (প্রধানমন্ত্রী) ২০০৮ সালে সম্পদ ছিল ৩ কোটি ১৯ লাখ, আজকে সেটা ৭ কোটি ২২ লাখ, এটা আপনার ঘোষিত হলফ নামার কথা। আপনি বলেছেন প্রবৃদ্ধি ১০ পারসেন্ট হবে, বাংলাদেশে আড়াই শত ধনী আছেন। এটাকে আপনি কয়েক হাজারে নিয়ে যাবেন। এই প্রবৃদ্ধিতে কার উন্নয়ন দেখেন? প্রতিটি পরিবারে খোঁজ নিয়ে দেখেন অনেকের বয়স্ক বাবা-মা বিনা চিকিৎসা ভুগছে। তাকে দেখার লোক নেই। সরকারের সমালোচনা করে এই নেতা আরও বলেন, ‘যতই উন্নয়ন দেখিয়ে নির্বাচনকে কব্জা করার চেষ্টা করুন, আপনাদের সব পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যাবে। ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘৮টা থেকে না, জনগণ ভোর পাঁচটা থেকে ভোটকেন্দ্রে যাবে। আর আপনাদের দায়িত্ব জনগণকে ভোট কেন্দ্রে পৌঁছানো। কোনও ক্রমেই আনবেন না, নির্বাচনে থাকবো না বা থাকছি না। এই অবাঞ্ছিত প্রশ্ন ভুলে যান।’ তিনি বলেন, আজকে দেশে এত উন্নয়ন হয়েছে, হাসিনার সম্পদ দিগুণ হয়েছে, খালেদার পারসোনাল আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এই তথ্য হাসিনা সরকারের নির্বাচন কমিশনের তথ্য থেকে। ঐক্যফ্রন্টের জয় সুনিশ্চিত দাবি করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘এই সরকারের মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গেছে। মৃত্যুর নৌকা ডুবে যাচ্ছে ৩০ তারিখে। এক্ষেত্রে আপনাদের একটি মাত্র কাজ, ভোটকেন্দ্রে আর ভয় নয়। সব ভয় শেষ হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘এই সরকারের যারা অপর্কম করেছেন আপনাদের বলতে চাই, খালেদা জিয়ার মতো আপনাদের ভোগানো হবে না। আপনাদের জামিন দিয়ে দেওয়া হবে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন কবির সভাপ‌তি‌ত্বে বিএন‌পি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক, ‌বিএন‌পির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপ‌তি কে এম র‌ফিকুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

পোস্ট শেয়ার করুন

৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হবে, ২ জানুয়ারি খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে: জাফরুল্লাহ

আপডেটের সময় : ০৫:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য কারও কোনও দয়া চান না বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ শুক্রবার ‘৭ ডি‌সেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী চালক দল-এর উদ্যোগে ‘নির্বাচন ব্যর্থ ও প্রশ্নবিদ্ধ গণতন্ত্রের কী হবে?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তি‌নি এসব কথা ব‌লেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হবে। ২ জানুয়ারি তারিখে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন। তবে, তিনি মুক্ত হবেন ন্যায় বিচারের মাধ্যমে। কারও দয়ায় নয়।’ জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার প্রতি কোনও দয়া চাই না, মুক্তিও চাই না। তার প্রতি সুবিচার চাই। সুবিচার হলেই তিনি মুক্তি পাবেন। সরকারের উন্নয়নের সমালোচনা করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রর প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘এই সরকারের আমলনামায় আছে উন্নয়ন জোয়ার। আর এই উন্নয়ন হলো ইয়াবা উন্নয়ন। বিনা বিচারে হত্যা,গুম, খুনের উন্নয়ন।’ জনগণ বোকা না বলে মন্তব্য করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সরকারের চোখে ছানি পড়েছে, কিন্তু জনগণের চোখ খোলা আছে। উন্নয়ন অবশ্যই হয়েছে কোনও সন্দেহ নেই। আপনার (প্রধানমন্ত্রী) ২০০৮ সালে সম্পদ ছিল ৩ কোটি ১৯ লাখ, আজকে সেটা ৭ কোটি ২২ লাখ, এটা আপনার ঘোষিত হলফ নামার কথা। আপনি বলেছেন প্রবৃদ্ধি ১০ পারসেন্ট হবে, বাংলাদেশে আড়াই শত ধনী আছেন। এটাকে আপনি কয়েক হাজারে নিয়ে যাবেন। এই প্রবৃদ্ধিতে কার উন্নয়ন দেখেন? প্রতিটি পরিবারে খোঁজ নিয়ে দেখেন অনেকের বয়স্ক বাবা-মা বিনা চিকিৎসা ভুগছে। তাকে দেখার লোক নেই। সরকারের সমালোচনা করে এই নেতা আরও বলেন, ‘যতই উন্নয়ন দেখিয়ে নির্বাচনকে কব্জা করার চেষ্টা করুন, আপনাদের সব পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যাবে। ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘৮টা থেকে না, জনগণ ভোর পাঁচটা থেকে ভোটকেন্দ্রে যাবে। আর আপনাদের দায়িত্ব জনগণকে ভোট কেন্দ্রে পৌঁছানো। কোনও ক্রমেই আনবেন না, নির্বাচনে থাকবো না বা থাকছি না। এই অবাঞ্ছিত প্রশ্ন ভুলে যান।’ তিনি বলেন, আজকে দেশে এত উন্নয়ন হয়েছে, হাসিনার সম্পদ দিগুণ হয়েছে, খালেদার পারসোনাল আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এই তথ্য হাসিনা সরকারের নির্বাচন কমিশনের তথ্য থেকে। ঐক্যফ্রন্টের জয় সুনিশ্চিত দাবি করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘এই সরকারের মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গেছে। মৃত্যুর নৌকা ডুবে যাচ্ছে ৩০ তারিখে। এক্ষেত্রে আপনাদের একটি মাত্র কাজ, ভোটকেন্দ্রে আর ভয় নয়। সব ভয় শেষ হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘এই সরকারের যারা অপর্কম করেছেন আপনাদের বলতে চাই, খালেদা জিয়ার মতো আপনাদের ভোগানো হবে না। আপনাদের জামিন দিয়ে দেওয়া হবে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন কবির সভাপ‌তি‌ত্বে বিএন‌পি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক, ‌বিএন‌পির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপ‌তি কে এম র‌ফিকুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।