৩০০০ শ্রমিকের বাহরাইন ফেরা অনিশ্চিত
- আপডেটের সময় : ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০
- / ৪৫১ টাইম ভিউ
ছুটিতে এসে ঢাকায় আটকেপড়া আট শতাধিক বাংলাদেশি শ্রমিকের বাহরাইন ফেরার আয়োজন চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু আচমকা তা স্থগিত করেছে মানামা। কিন্তু কী কারণে বাহরাইন সরকার তাদের ফেরানোর অনুমতি প্রত্যাহার করলো তা খোলাসা করেনি। ধারণা করা হচ্ছে- ঢাকায় করোনামুক্ত জাল সার্টিফিকেট বিক্রয়কারী চক্রের ধরা পড়ার খবরে হয়তো মানামা উদ্বিগ্ন, আর তাই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্ত এসেছে। তবে উভয় দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব এখন তুঙ্গে, এটাও হয়তো বিবেচ্য মনে করা হচ্ছে। কূটনৈতিক সূত্র মতে, জরুরি প্রয়োজন এবং স্বাস্থ্যগত কারণে কয়েকশ’ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরানোর জন্য দূতাবাস বিমানের দু’টি উড়োজাহাজ ভাড়া করেছে। আগামী ২২ ও ২৬শে জুন
বাংলাদেশ বিমানের ওই দু’টি ফ্লাইট হওয়ার সূচি ছিল এবং তাতেই বাংলাদেশিদের মানামা ফেরার কথা ছিল। কিন্তু মানামা সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বাংলাদেশিদের দেশে ফেরাতে দূতাবাসের ভাড়া করা বিমানের ফ্লাইটও স্থগিত করতে হয়েছে।
যদিও ওই ফ্লাইট দু’টির অনুমতি মানামা বহাল রেখেছে। কূটনৈতিক সূত্র আরো জানিয়েছে, কেবল ওই ৮ শতাধিক বাংলাদেশিই নয়, করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার আগে বাহরাইন থেকে বাংলাদেশে ছুটিতে এসে আটকে পড়ে আছেন প্রায় তিন সহস্রাধিক শ্রমিকের বেশির ভাগই পর্যায়ক্রমে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মানামার আপত্তিতে তাদের সবার ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়লো।
দূতাবাসের নোটিশে যা বলা হয়েছে- এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মানামাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ফেসবুকে একটি নোটিশ দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে- করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাহারাইন সরকারের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে ঢাকায় আটকে পড়া প্রবাসীদের বাহরাইনে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। এ কারণে পূর্বঘোষিত ২২শে জুন ২০২০ তারিখে বাংলাদেশ বিমানের মাধ্যমে বাহরাইন হতে বাংলাদেশে প্রবাসীদের ফিরিয়ে যাওয়ার বিয়টিও স্থগিত হয়েছে।
যেহেতু স্বাস্থ্যগত কারণে ও জরুরি প্রয়োজনে অনেক প্রবাসীর বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া বিশেষ প্রয়োজন, সে কারণে আমরা বাংলাদেশ বিমানকে অনুরোধ করেছি যেন তারা পুনঃনির্ধারিত তারিখে ফ্লাইটটি পরিচালনা করে। শুধুমাত্র ওয়ান ওয়ে রুটে অর্থাৎ বাহারাইন থেকে বাংলাদেশ রুটে যাত্রী পরিবহনের জন্য ফ্লাইট পরিচালনা বাণিজ্যিকভাবে কতটা উপযোগী, সেই বিষয়ে বাংলাদেশ বিমান বিবেচনা করছে। বিমানের সঙ্গে দরকষাকষি অব্যাহত রয়েছে এজন্য যাতে ভাড়া বৃদ্ধি পেলেও তা যেন প্রবাসীদের সহনীয় পর্যায়ে থাকে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে বাহারাইন সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে পরবর্তীতে কি করণীয় তা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। সেখানে টিকেট কাটা ও স্বাস্থ্যসনদ সহ প্রয়োজনীয় বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দেয়া থাকবে। নোটিশে বলা হয়- যারা ইতিমধ্যে দূতাবাসে তাদের নাম তালিকাভুক্তি করিয়েছেন কেবলমাত্র তাদেরকেই বিমানযাত্রী হিসেবে বিবেচনার মধ্যে রাখা হবে। নতুন করে কারো নাম তালিকাভুক্তি করা হবে না। প্রবাসী যারা বাংলাদেশ থেকে বাহারাইনে ফিরতে চান, তাদের ব্যাপারে দূতাবাসের অনুরোধের প্রেক্ষিতে বাহরাইন সরকার জানিয়েছে যে, বিমান চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় এলে তাদের ফিরে আসার বিষয়ে তারা ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে।
সুত্র- মানবজমিন