বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে ১৩ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার হয় সুমন বেপারী নামের এক ব্যক্তি। তার বক্তব্য অসংলগ্ন বলে মনে করছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি।
উদ্ধারের পর সুমনকে নেয়া হয় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে চলে যান সুমন। তদন্ত কমিটির সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রায় ৩০ মিনিট কথা হয় তার।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সুমন বলেছেন, তিনি লঞ্চে ঘুমিয়ে ছিলেন। ডুবে যাওয়ার বিষয়টি তার মনে পড়ছে না। উদ্ধারের পর সবকিছু জানতে পারেন। ভেতরে হাঁটুপানি ছিল।
পুরো রুমটা অন্ধকার ছিল। তার জ্ঞান ছিল না। ডুবে যাওয়ার সময় তার পেটেও পানি চলে যায়। সুমন ইঞ্জিনরুমে আটকা পড়েছিলেন বলে দাবি করেছেন। একবার বলেছেন, ভেতরে অন্য কাউকে দেখেননি। পরক্ষণেই আবার বলেছেন, ভেতরে লাশ দেখা গেছে। তাঁর বক্তব্য অসংলগ্ন মনে হয়েছে। তাঁর আরো বক্তব্য নেয়া হবে। তিনি কিছুটা অসুস্থ। সুস্থ হলে প্রয়োজনে সরাসরি কথা বলা হবে।
সুমন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, প্রথম দিকে পেটে একটু পানি প্রবেশ করলেও বাকি পুরো সময়টা নিরাপদে ছিলাম। আমি তো মনে করেছি ১০ মিনিট আটকে আছি! পানির ওপর উঠে এসে শুনি ১৩ ঘণ্টা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯শে জুন সকালে চাঁদপুরগামী ‘এমভি ময়ূর-২’ লঞ্চের ধাক্কায় বুড়িগঙ্গা নদীতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সুত্র – মানবজমিন
deshdiganto.com © 2019 কপিরাইট এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত
design and development by : http://webnewsdesign.com