ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

১০ নং হাজীপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত

নিজস্ব
  • আপডেটের সময় : ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০
  • / ১১৯০ টাইম ভিউ

 

স্বাধীনতার পর দেশের সব গ্রামসহ সব জায়গাতেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হলেও থেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডে ।
এই ওয়ার্ডের ৪/৫ টি গ্রামের যাতায়াত ব্যাবস্হা সড়ক গুলোর করুন অবস্হা । এই গ্রামের যোগাযোগ ব্যাবস্থার যে কয়টি রাস্তা আছে সেগুলো এতোই বেহাল অবস্হা যে চলাচল একেবারেই সম্ভব না ।
হাজীপুর ইউনিয়নে অবস্থিত গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া ৫ নং ওয়ার্ডের গ্রামগুলো হলো মাদানগর, সুখনাভি, দাউদপুর,আলিপুর ও সুলতানপুর ।
গ্রামগুলোর একপাশে নদী আর দুই পাশে ফসলি জমির ক্ষেত, মধ্যে দিয়ে যাতায়াতের ব্যাবস্থা রাস্তাগুলো ।
বছরে ৬ মাস কর্দমাক্ত থাকে রাস্তাগুলো আর সেই কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে আনাগুনা করতে হয় গ্রামের মানুষদের ।
দেশদিগন্ত সরেজমিনে গিয়ে দেখে বাস্তবসত্য সব ধরণের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই ওয়ার্ডের মানুষজনেরা।

এলাকাবাসী জানায়, কুলাউড়া উপজেলার ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের পাঁচটি গ্রামের যে একটি বাজার আছে “প্রবাসী ঈদগাঁ বাজার”সেই বাজারে যাতায়াতের রাস্তা দেখলে বুঝা যাবে তা হয়তো কোনো কৃষি ক্ষেত।
উপজেলা সদর থেকে এ গ্রামের দূরত্ব প্রায় ১৭ কিলোমিটার, কিন্ত সময় লেগে যায় দেরঘন্টা/ দুই ঘন্টা ঘুরে ঘুরে তাদের আসতে হয় সদরে।
ভাঙাচুরা যেটুকু রাস্তা রয়েছে তা প্রতিবছর বর্ষার পানিতে এতোই কর্দমাক্ত হয় যে গাড়ি কিংবা রিক্সা চলা তো দুরের কথা জুতা নিয়ে হেটে চলা সম্ভব হয় না ।

এমন কি শুকনো মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে যাতায়াতের সড়ক গুলো ।
তাই শুকনো মৌসুমে অনেকে জমির আইল ধরে চলাচল করলেও বর্ষায় তা সম্ভব হয় না।
কাছে কোনও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় এবং প্রায় দুই কিলোমিটার দুরে কানিহাটি উচ্চ বিদ্যালয়, যোগাযোগ ব্যবস্থা এতোটাই অনুন্নত হওয়ায় এই গ্রামের ছেলে-মেয়েরা বর্ষা কালে নিয়মিত ক্লাস করতে পারে না ।
নেই গ্রামে কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রও, ফলে গর্ভবতী মায়েদের সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে এক মাস পূর্বেই উপজেলা বা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে রাখতে হয়। আর সামান্য জ্বর বা ব্যাথার ঔষধ ঘরে এনে রেখে দিতে হয় তা যেনো বাধ্যতামূলক।
সব সময় প্রতিকুল পরিবেশের সাথে যুদ্ধ করে টিকে আছে গ্রামের মানুষজনেরা,এই ওয়ার্ডের সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রবাসে রয়েছেন ।
প্রচুর বৈদেশিক রেমিটেন্সও আসে এই গ্রামের মানুষগুলোর মাধ্যমে,
অথচ তারা বঞ্চিত সকল প্রকার সরকারি সুবিধা থেকে। এ অবস্থার অবসান কবে ঘটবে ? এই প্রশ্ন এলাকার জনসাধারনের । উল্লেখ্য ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাসিত বাচ্ছু সাহেব এর মুটোফোন কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়, এবং স্হানীয় মেম্বার কে মুটোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেন নি ।
স্থানীয় কয়েকজন বৃদ্ধ বলেন, প্রায় ৬০ বছর ধরে আমাদের গ্রামের রাস্তাঘাটের কোনো উন্নতি নেই।
বাইরে থেকে কোন লোকজন এ গ্রামে আসতে চায় না, স্থানীয় কয়েক যুবক বলেন, একটি ভালো পরিবারের সাথে আত্মীয়তা করতে গেলে রাস্তা-ঘাট না থাকায় আমাদের সাথে আত্মীয়তা করতে চায় না।
এই কয়েক বছরের মধ্যে কোন চেয়ারম্যান আমাদের ওয়ার্ডের প্রতি কোন নজর দেয় নাই। এই যে মেম্বারা বলেন চেয়ারম্যান কাজ দেয় না আমাদের ওয়ার্ডে, আর চেয়ারম্যান বলেন আপনাদের এলাকার যাদের সাথে এমপির সম্পর্ক আছে আপনার উনাকে বলেন রাস্তাগুলা পাকাকরণ করে দিতে , ইউনিয়নের বাজেট নেই ।
এলাকবাসী বলেন নির্বাচন এলে হাতে- পায়ে ধরে ভোট চায়, ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে পাঁচ বছেরের মধ্যে পেলেও হাইকোট দেখিয়ে চলে যায় ।
চেয়ারম্যানও নজর দেয় না পাঁচ- ছয়টি গ্রামের এই ৫ নং ওয়ার্ডের জনগণের সুযোগ সুবিদার দিকে ।

এলাকাবাসী দেশদিগন্ত এর মাধ্যমে জানতে চায় আমরা এতোটাই অবহেলিত কেনো ?
স্হানীয় তরুনেরা বলেন আজ পর্যন্ত আমাদের গ্রামে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি,আমাদের ৬ মাস কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়,
বাকি ৬ মাস আমরা শুকনাতে মাটি ও ধুলো নিয়ে হেটে চলি ।
এখান থেকে ২ কিলোমিটার দুরে ছেলে-মেয়েদের খুব কষ্ট করে মাধ্যমিক স্কুলে যেতে হয় ।
এমনকি কোন গর্ভবতী নারীকে জরুরিভাবে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে রাস্তা-ঘাটের জন্য কোন যানবাহন পাওয়া যায় না।
এলাকা বাসীদের আবেদন স্হানীয় সাংসদ ও উপজেলা চেয়াম্যান এর কাছে “আমাদের আকুল আবেদন গ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগান “ আমরা এই ৫ নং ওয়ার্ডবাসী আপনাদেরই ভোটার ।

এ ব্যাপারে এলাকার প্রবাসীরা বলেন, ৫ নং ওয়ার্ডটি উন্নয়নের দিক দিয়ে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।
এই ওয়ার্ডেকে কিভাবে উন্নয়ন করা যায় সে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে এলাকার প্রবাসীরা তার প্রমান স্বাধীনতার পর ৮/১০ টি গ্রামের ভিতরে কোনো বাজার ছিলো না, আমরা প্রবাসীরা নিজেদের অর্থায়নে বাজার বসিয়েছি । এবং আমরা চাইলেও অনেক কিছু করতে পারবো না, যা শুধুমাত্র স্হানীয় প্রতিনিধিরাই পারবেন, এলাকাবাসী আশা রাখেন ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেব ৫ নং ওয়ার্ডের রাস্তাগুলোর সংস্কার করবেন এই মৌসুমেই ।যদিও চেয়ারম্যান আব্কিদুল বাসিত বাচ্ছু কয়দিন আগে মাদানগরে একটি শালিস বৈটকে আসার সময় বলেছেন ইউনিয়নে বাজেট নেই ।তবে ওয়ার্ডবাসী মনে করেন আগামী বাজেটে ইউনিয়নের ৫ ওয়ার্ডের জন্য বরাদ্ধ রাখবেন চেয়ারম্যান ।
উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে দ্রুতই এমনটা প্রত্যাশা এলাকাবাসীর ।

পোস্ট শেয়ার করুন

১০ নং হাজীপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত

আপডেটের সময় : ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০

 

স্বাধীনতার পর দেশের সব গ্রামসহ সব জায়গাতেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হলেও থেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডে ।
এই ওয়ার্ডের ৪/৫ টি গ্রামের যাতায়াত ব্যাবস্হা সড়ক গুলোর করুন অবস্হা । এই গ্রামের যোগাযোগ ব্যাবস্থার যে কয়টি রাস্তা আছে সেগুলো এতোই বেহাল অবস্হা যে চলাচল একেবারেই সম্ভব না ।
হাজীপুর ইউনিয়নে অবস্থিত গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া ৫ নং ওয়ার্ডের গ্রামগুলো হলো মাদানগর, সুখনাভি, দাউদপুর,আলিপুর ও সুলতানপুর ।
গ্রামগুলোর একপাশে নদী আর দুই পাশে ফসলি জমির ক্ষেত, মধ্যে দিয়ে যাতায়াতের ব্যাবস্থা রাস্তাগুলো ।
বছরে ৬ মাস কর্দমাক্ত থাকে রাস্তাগুলো আর সেই কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে আনাগুনা করতে হয় গ্রামের মানুষদের ।
দেশদিগন্ত সরেজমিনে গিয়ে দেখে বাস্তবসত্য সব ধরণের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই ওয়ার্ডের মানুষজনেরা।

এলাকাবাসী জানায়, কুলাউড়া উপজেলার ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের পাঁচটি গ্রামের যে একটি বাজার আছে “প্রবাসী ঈদগাঁ বাজার”সেই বাজারে যাতায়াতের রাস্তা দেখলে বুঝা যাবে তা হয়তো কোনো কৃষি ক্ষেত।
উপজেলা সদর থেকে এ গ্রামের দূরত্ব প্রায় ১৭ কিলোমিটার, কিন্ত সময় লেগে যায় দেরঘন্টা/ দুই ঘন্টা ঘুরে ঘুরে তাদের আসতে হয় সদরে।
ভাঙাচুরা যেটুকু রাস্তা রয়েছে তা প্রতিবছর বর্ষার পানিতে এতোই কর্দমাক্ত হয় যে গাড়ি কিংবা রিক্সা চলা তো দুরের কথা জুতা নিয়ে হেটে চলা সম্ভব হয় না ।

এমন কি শুকনো মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে যাতায়াতের সড়ক গুলো ।
তাই শুকনো মৌসুমে অনেকে জমির আইল ধরে চলাচল করলেও বর্ষায় তা সম্ভব হয় না।
কাছে কোনও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় এবং প্রায় দুই কিলোমিটার দুরে কানিহাটি উচ্চ বিদ্যালয়, যোগাযোগ ব্যবস্থা এতোটাই অনুন্নত হওয়ায় এই গ্রামের ছেলে-মেয়েরা বর্ষা কালে নিয়মিত ক্লাস করতে পারে না ।
নেই গ্রামে কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রও, ফলে গর্ভবতী মায়েদের সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে এক মাস পূর্বেই উপজেলা বা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে রাখতে হয়। আর সামান্য জ্বর বা ব্যাথার ঔষধ ঘরে এনে রেখে দিতে হয় তা যেনো বাধ্যতামূলক।
সব সময় প্রতিকুল পরিবেশের সাথে যুদ্ধ করে টিকে আছে গ্রামের মানুষজনেরা,এই ওয়ার্ডের সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রবাসে রয়েছেন ।
প্রচুর বৈদেশিক রেমিটেন্সও আসে এই গ্রামের মানুষগুলোর মাধ্যমে,
অথচ তারা বঞ্চিত সকল প্রকার সরকারি সুবিধা থেকে। এ অবস্থার অবসান কবে ঘটবে ? এই প্রশ্ন এলাকার জনসাধারনের । উল্লেখ্য ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাসিত বাচ্ছু সাহেব এর মুটোফোন কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়, এবং স্হানীয় মেম্বার কে মুটোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেন নি ।
স্থানীয় কয়েকজন বৃদ্ধ বলেন, প্রায় ৬০ বছর ধরে আমাদের গ্রামের রাস্তাঘাটের কোনো উন্নতি নেই।
বাইরে থেকে কোন লোকজন এ গ্রামে আসতে চায় না, স্থানীয় কয়েক যুবক বলেন, একটি ভালো পরিবারের সাথে আত্মীয়তা করতে গেলে রাস্তা-ঘাট না থাকায় আমাদের সাথে আত্মীয়তা করতে চায় না।
এই কয়েক বছরের মধ্যে কোন চেয়ারম্যান আমাদের ওয়ার্ডের প্রতি কোন নজর দেয় নাই। এই যে মেম্বারা বলেন চেয়ারম্যান কাজ দেয় না আমাদের ওয়ার্ডে, আর চেয়ারম্যান বলেন আপনাদের এলাকার যাদের সাথে এমপির সম্পর্ক আছে আপনার উনাকে বলেন রাস্তাগুলা পাকাকরণ করে দিতে , ইউনিয়নের বাজেট নেই ।
এলাকবাসী বলেন নির্বাচন এলে হাতে- পায়ে ধরে ভোট চায়, ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে পাঁচ বছেরের মধ্যে পেলেও হাইকোট দেখিয়ে চলে যায় ।
চেয়ারম্যানও নজর দেয় না পাঁচ- ছয়টি গ্রামের এই ৫ নং ওয়ার্ডের জনগণের সুযোগ সুবিদার দিকে ।

এলাকাবাসী দেশদিগন্ত এর মাধ্যমে জানতে চায় আমরা এতোটাই অবহেলিত কেনো ?
স্হানীয় তরুনেরা বলেন আজ পর্যন্ত আমাদের গ্রামে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি,আমাদের ৬ মাস কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়,
বাকি ৬ মাস আমরা শুকনাতে মাটি ও ধুলো নিয়ে হেটে চলি ।
এখান থেকে ২ কিলোমিটার দুরে ছেলে-মেয়েদের খুব কষ্ট করে মাধ্যমিক স্কুলে যেতে হয় ।
এমনকি কোন গর্ভবতী নারীকে জরুরিভাবে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে রাস্তা-ঘাটের জন্য কোন যানবাহন পাওয়া যায় না।
এলাকা বাসীদের আবেদন স্হানীয় সাংসদ ও উপজেলা চেয়াম্যান এর কাছে “আমাদের আকুল আবেদন গ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগান “ আমরা এই ৫ নং ওয়ার্ডবাসী আপনাদেরই ভোটার ।

এ ব্যাপারে এলাকার প্রবাসীরা বলেন, ৫ নং ওয়ার্ডটি উন্নয়নের দিক দিয়ে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।
এই ওয়ার্ডেকে কিভাবে উন্নয়ন করা যায় সে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে এলাকার প্রবাসীরা তার প্রমান স্বাধীনতার পর ৮/১০ টি গ্রামের ভিতরে কোনো বাজার ছিলো না, আমরা প্রবাসীরা নিজেদের অর্থায়নে বাজার বসিয়েছি । এবং আমরা চাইলেও অনেক কিছু করতে পারবো না, যা শুধুমাত্র স্হানীয় প্রতিনিধিরাই পারবেন, এলাকাবাসী আশা রাখেন ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেব ৫ নং ওয়ার্ডের রাস্তাগুলোর সংস্কার করবেন এই মৌসুমেই ।যদিও চেয়ারম্যান আব্কিদুল বাসিত বাচ্ছু কয়দিন আগে মাদানগরে একটি শালিস বৈটকে আসার সময় বলেছেন ইউনিয়নে বাজেট নেই ।তবে ওয়ার্ডবাসী মনে করেন আগামী বাজেটে ইউনিয়নের ৫ ওয়ার্ডের জন্য বরাদ্ধ রাখবেন চেয়ারম্যান ।
উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে দ্রুতই এমনটা প্রত্যাশা এলাকাবাসীর ।