হেরে গেলে ফলাফল কেউই মানতে চায় না : কাদের
- আপডেটের সময় : ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / ৩২৫ টাইম ভিউ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠু ও কারচুপি মুক্ত হয়েছে। আসলে নির্বাচনে হেরে গেলে ফলাফল কেউই মানতে চায় না।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর প্রধান এবং প্রকল্প পরিচালকদের নিয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালাচনা ও নাগরিক সেবা প্রদান বিষয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির ফলাফল বর্জনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন করেন, ‘হেরে গেলে হার কি কেউ মেনে নেন? বিএনপিও মানছে না। নির্বাচনে হেরে গেলে ফলাফল কেউই মানতে চায় না। ইভিএমএ কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।’
কারচুপির অভিযোগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দুই সিটির নির্বাচনের ফল বাতিল করে নতুন নির্বাচন দেয়ার দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মহাসচিব হিসেবে নিজে কোন সাফল্য দেখাতে পারেননি বলেই, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারচুপির অভিযোগে দুই সিটির নির্বাচনের ফল বাতিল করে নতুন নির্বাচন দেয়ার দাবি করছেন।
তিনি বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে এই নির্বাচনে কারচুপির বা ফলাফল বদলে দেয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। হেরে যাওয়ার কারণেই বিএনপি প্রার্থীরা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের সব আহ্বান জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে কোন কারচুপির প্রমাণ পর্যবেক্ষকরা দিতে পারেননি এমনকি বলেনওনি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে বড় দাগের সংঘাত হয়, এবার বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোন সংঘাত হয়নি। নির্বাচন ছিল কারচুপি ও জালিয়াতি মুক্ত।
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব কেন ফলাফল প্রত্যাখান করলেন জানি না। তাদের উদ্দেশ্য কি ছিল? কেন্দ্র দখল করে জালিয়াতি করে জেতার। এটা সম্ভব না, এই মেশিনে কারচুপি জালিয়াতির সুযোগ নেই। ইভিএমে ভোট করাই হয়েছে কারচুপি জালিয়াতি যেন না হয় সেজন্য। নির্বাচনে তাদের লোক দেখলাম না। মিছিলে তাদের অনেক লোক ছিল, নির্বাচনের দিন গেলো কোথায়।
ফলাফল পাল্টে দেয়ার বিষয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, নির্বাচনে যেভাবে আশঙ্কা করা হয়েছিল, সেভাবে বিদ্রোহী প্রার্থীদের জয়জয়কার কিন্তু হয়নি। ১৩ জন বিদ্রোহী জিতেছে। তারা যে সুবিধা করতে পেরেছে তা নয়। বেশিভাগই কাউন্সিলর হয়েছে। হেরে গেলে হার কি কেউ মেনে নেন, বিএনপিও মানছে না। তবে, ফলাফল পাল্টে দেয়ার সুযোগ ইভিএমে নেই।
এর আগে অনুষ্ঠিত সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান ড. মো. কামরুল আহসান, বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান মো. এহছানে এলাহী, ডিটিসিএ’র নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমানসহ প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।