ঢাকা , রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
১৭ বছর পর দেশে প্রত্যাবর্তন লন্ডন বিএনপি নেতা শরফুকে শ্রীমঙ্গলে গণ সংবর্ধনা ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন

হাজীপুর ইউপির জাল উত্তরাধিকারী সনদপত্র চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের উপর মামলা দায়ের

দেশদিগন্ত নিউজঃ
  • আপডেটের সময় : ০২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০১৯
  • / ২৩১৩ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজঃ মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মাদানগর গ্রামের মৃত পনা উল্লার পুত্র মৃত আবু নাছের লেচু মিয়ার নিঃ সন্তান উল্লেখ করে হাজীপুর ইউনিয়নের উত্তরাধিকারী সনদ পত্র প্রদান নিয়ে এলাকায় সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে তোলপাড়, চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের উপর আদালতে মামলা দায়ের তদন্ত করবে পিবিআই।

আজ ২৭ জুন (বৃস্পতিবার) দুপুরে মোঃ দিলারা বেগম বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু সহ ৪ জনকে আসামী করে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়েছে।মামলার অন্যান আসামীরা হলেন চান্দু মিয়া, মোঃ আবদাল, ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান হেলাল।

জানা যায়, মাদানগর গ্রামের মৃত পনা উল্লার পুত্র মৃত আবু নাছের লেচু মিয়ার নিঃ সন্তান উল্লেখ করে হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চুর স্বাক্ষরিত সনদ পত্র প্রদান করেন একই গ্রামের একমাত্র ভাই পরিচয় দিয়ে চান্দু ক্বারী ও তিনির নাতী মোঃ আবদাল হোসেন উত্তরাধিকারী সনদ পত্র সংগ্রহ করে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মনু শাখা থেকে ঋন নেওয়ার জন্য সনদ পত্র, দলিল, মাঠ পরচা, আর এস পরচা কৃষি ব্যাংকে দাখিল করেন। মনু কৃষি ব্যাকের ঋন দান অফিসার জয়ন্ত বাবু তিনি ঋন দেওয়ার জন্য একটি ফাইল তৈরী করে তদন্ত কালে একই গ্রামের আকবর আলীকে মাদনগর গ্রামের লেচু মিয়া নিঃসন্তান কি না জানতে চাইলে আকবর আলী জানান তিনির চার সন্তান রয়েছেন।

এর পর থেকে এলাকায় জাল সনদ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে তোলপাড় শুরু হয়। নানান লোকজন চেয়ারম্যানের পক্ষে বিপক্ষে বিভিন্ন  মন্তব্য করলে চেয়ারম্যানও মন্তব্যের জবাব দেন। অনেকেই চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করে কমেন্ট লিখেন অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য।জবাবে চেয়ারম্যান বলেন সেটা তিনির দেখার বিষয় নয়।

মৃত লেচু মিয়ার স্ত্রী মোঃ দিলারা বেগম জানান ১ জন ছেলে এবং তিন জন কন্য সন্তান রয়েছেন, যথাক্রমে মোঃ জুনেদ আহমদ জন্ম তারিখ ১৫ জুন একাশি, মোছাঃ মহিবুন আক্তার ২০ জানুয়ারী বিরাশি, মোছাঃ হবিবুন আক্তার ৮ জুলাই ছিয়াশি, লতিফা কামাল, ৭ জুন সাতাশি। আমি মোছাঃ দিলারা বেগম ৩১ ডিসেম্বর ষাট।আমার স্বামীর নামীয় সম্পত্তির কাগজ পত্র জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রি করার পায়তারা করা হচ্ছে।এতে ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু উত্তরাধিকারী সনদপত্র প্রদান করেন।

অন্য দিকে উপরোক্ত উত্তরাধিকারী উলেখ করে মৃত আবু নাছের লেচু মিয়ার ছেলে জুনেদ আহমদ হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি উত্তরাধিকারী সনদ পত্র ও তিনির পিতার মৃতু সনদ পত্র সংগ্রহ করেন।

৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান হেলাল জানান আমি এর প্রতিবাদ করেছিলাম এবং আমাকে মিথ্যা জড়ানোর প্রমান চেয়েছিলাম এবং ফেইছবুকে আমার বিরুদ্ধে যারা প্রমানিত না করে মিথ্যা খবর পরিবেশন করেছেন এবং প্রকৃত জাল চক্রের বিচার না হওয়া পযর্ন্ত আমি ইউনিয়ন পরিষদের কোন কাগজে স্বাক্ষর করব না, খোজ নিয়ে দেখুন এখন আজ পযর্ন্ত কোন পাবলিকের ও ইউনিয়ন পরিষদের কোন কাগজে স্বাক্ষর করি নাই, এই প্রতিবাদ বিষয়টির বিচার না হওয়া পযর্ন্ত চালিয়ে যাব।

এব্যাপারে হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাচিত বাচ্চুর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন এই উত্তরাধিকারী সনদ পত্র আমার বা আমার অফিস থেকে দেওয়া হয় নাই। কে বা কারা করেছে আমি জানেন না, কেউ করে থাকলে সেটা আমার দেখার বিষয় নয়।

এব্যায়াপারে মৃত লেচু মিয়ার ছেলে জুনেদ আহমদ বলেন আমরা ভাই বোন চার জন জিবিত থাকার পরও আমারা পিতার নিঃ সন্তান দাবী করে যে সনদ পত্র, মাঠ পরচার মাধ্যমে যারা আমার পিতার রেখে যাওয়া সম্পদ আত্তসাৎ করার জন্য পায়তারা করেছেন আমরা তাদের বিরুদ্ধে আদালতের আশ্রয় নিয়ে মামলা দায়ের করেছি।

 

 

পোস্ট শেয়ার করুন

হাজীপুর ইউপির জাল উত্তরাধিকারী সনদপত্র চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের উপর মামলা দায়ের

আপডেটের সময় : ০২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজঃ মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মাদানগর গ্রামের মৃত পনা উল্লার পুত্র মৃত আবু নাছের লেচু মিয়ার নিঃ সন্তান উল্লেখ করে হাজীপুর ইউনিয়নের উত্তরাধিকারী সনদ পত্র প্রদান নিয়ে এলাকায় সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে তোলপাড়, চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের উপর আদালতে মামলা দায়ের তদন্ত করবে পিবিআই।

আজ ২৭ জুন (বৃস্পতিবার) দুপুরে মোঃ দিলারা বেগম বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু সহ ৪ জনকে আসামী করে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়েছে।মামলার অন্যান আসামীরা হলেন চান্দু মিয়া, মোঃ আবদাল, ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান হেলাল।

জানা যায়, মাদানগর গ্রামের মৃত পনা উল্লার পুত্র মৃত আবু নাছের লেচু মিয়ার নিঃ সন্তান উল্লেখ করে হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চুর স্বাক্ষরিত সনদ পত্র প্রদান করেন একই গ্রামের একমাত্র ভাই পরিচয় দিয়ে চান্দু ক্বারী ও তিনির নাতী মোঃ আবদাল হোসেন উত্তরাধিকারী সনদ পত্র সংগ্রহ করে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মনু শাখা থেকে ঋন নেওয়ার জন্য সনদ পত্র, দলিল, মাঠ পরচা, আর এস পরচা কৃষি ব্যাংকে দাখিল করেন। মনু কৃষি ব্যাকের ঋন দান অফিসার জয়ন্ত বাবু তিনি ঋন দেওয়ার জন্য একটি ফাইল তৈরী করে তদন্ত কালে একই গ্রামের আকবর আলীকে মাদনগর গ্রামের লেচু মিয়া নিঃসন্তান কি না জানতে চাইলে আকবর আলী জানান তিনির চার সন্তান রয়েছেন।

এর পর থেকে এলাকায় জাল সনদ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে তোলপাড় শুরু হয়। নানান লোকজন চেয়ারম্যানের পক্ষে বিপক্ষে বিভিন্ন  মন্তব্য করলে চেয়ারম্যানও মন্তব্যের জবাব দেন। অনেকেই চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করে কমেন্ট লিখেন অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য।জবাবে চেয়ারম্যান বলেন সেটা তিনির দেখার বিষয় নয়।

মৃত লেচু মিয়ার স্ত্রী মোঃ দিলারা বেগম জানান ১ জন ছেলে এবং তিন জন কন্য সন্তান রয়েছেন, যথাক্রমে মোঃ জুনেদ আহমদ জন্ম তারিখ ১৫ জুন একাশি, মোছাঃ মহিবুন আক্তার ২০ জানুয়ারী বিরাশি, মোছাঃ হবিবুন আক্তার ৮ জুলাই ছিয়াশি, লতিফা কামাল, ৭ জুন সাতাশি। আমি মোছাঃ দিলারা বেগম ৩১ ডিসেম্বর ষাট।আমার স্বামীর নামীয় সম্পত্তির কাগজ পত্র জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রি করার পায়তারা করা হচ্ছে।এতে ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু উত্তরাধিকারী সনদপত্র প্রদান করেন।

অন্য দিকে উপরোক্ত উত্তরাধিকারী উলেখ করে মৃত আবু নাছের লেচু মিয়ার ছেলে জুনেদ আহমদ হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি উত্তরাধিকারী সনদ পত্র ও তিনির পিতার মৃতু সনদ পত্র সংগ্রহ করেন।

৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান হেলাল জানান আমি এর প্রতিবাদ করেছিলাম এবং আমাকে মিথ্যা জড়ানোর প্রমান চেয়েছিলাম এবং ফেইছবুকে আমার বিরুদ্ধে যারা প্রমানিত না করে মিথ্যা খবর পরিবেশন করেছেন এবং প্রকৃত জাল চক্রের বিচার না হওয়া পযর্ন্ত আমি ইউনিয়ন পরিষদের কোন কাগজে স্বাক্ষর করব না, খোজ নিয়ে দেখুন এখন আজ পযর্ন্ত কোন পাবলিকের ও ইউনিয়ন পরিষদের কোন কাগজে স্বাক্ষর করি নাই, এই প্রতিবাদ বিষয়টির বিচার না হওয়া পযর্ন্ত চালিয়ে যাব।

এব্যাপারে হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাচিত বাচ্চুর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন এই উত্তরাধিকারী সনদ পত্র আমার বা আমার অফিস থেকে দেওয়া হয় নাই। কে বা কারা করেছে আমি জানেন না, কেউ করে থাকলে সেটা আমার দেখার বিষয় নয়।

এব্যায়াপারে মৃত লেচু মিয়ার ছেলে জুনেদ আহমদ বলেন আমরা ভাই বোন চার জন জিবিত থাকার পরও আমারা পিতার নিঃ সন্তান দাবী করে যে সনদ পত্র, মাঠ পরচার মাধ্যমে যারা আমার পিতার রেখে যাওয়া সম্পদ আত্তসাৎ করার জন্য পায়তারা করেছেন আমরা তাদের বিরুদ্ধে আদালতের আশ্রয় নিয়ে মামলা দায়ের করেছি।