ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

হবিগঞ্জে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সাদ পন্থিদের ইজতেমা বন্ধ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০১:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯
  • / ৪৫২ টাইম ভিউ

নিউজ ডেস্ক: হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকপাড়া এলাকায় সাদ পন্থীদের ইজতেমাকে কেন্দ্র করে তাবলীগ জামাতের দুই গ্র“পের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ইজতেমা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে ইজমেতাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জে মাওলানা সাদ পন্থীদের অনুসারীরা হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকপাড়ায় তাদের নিজস্ব মার্কাজে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ইজতেমার আয়োজন করে। এ ব্যাপারে তারা প্যান্ডেল নির্মাণ শুরু করলে সাদ পন্থীদের বিরোধী আলেম ওলামা ও তাবলীগ জামাতের মূলধারার লোকজন আন্দোলন শুরু করে। মঙ্গলবার তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। পরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ইজতেমা বন্ধের আশ^াস প্রদান করলে তারা হবিগঞ্জ মার্কাজে তিনদিন যাবৎ অবস্থান নেয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার পাইকপাড়ায় সাদ পন্থীদের ইজতেমা আয়োজনের খবর জানতে পেরে হবিগঞ্জ মার্কাজে থাকা সাদপন্থী বিরোধী পক্ষ সেখানে গিয়ে অবস্থানের প্রস্তুতি নিলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় হাজার হাজার আলেম-ওলামা মাঠে নামার প্রস্তুতি নিলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাঠে নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারা পাইকপাড়ায় গিয়ে আয়োজকদেরকে ইজতেমার প্যান্ডেল এবং মাইক খুলে নেয়ার নির্দেশ দেন। খোলা মাঠে ইজতেমার কর্মসূচি পালন থেকে বিরত থেকে মসজিদের ভিতরে করার অনুমতি দেয়া হয়। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে আন্দোলনরতদেরকে ইজতেমা বন্ধের কথা জানালে তারা হবিগঞ্জ মার্কাজে ফিরে যায়।
বিকেলে সরেজমিনে উভয় স্থানে গেলেই সহশ্রাধিক আলেম-ওলামাকে জড়ো অবস্থায় দেখা যায়। পাইকপাড়ায় মার্কাজের সামনে পুলিশ মোতায়েন ছিল। মসজিদের ভিতরে লোকজন থাকলেও প্যান্ডেলে কোনও ছাউনী ছিল না। অনেক জিনিস সড়িয়ে ফেলা হয়েছে। আন্দোলনরতদের নেতা মাওলানা আব্দুল্লাহ আকিলপুরী জানান, আমাদের কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি। তবে আন্দোলনের ফলে প্রশাসন ইজতেমা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। তারা শুধু মসজিদে বৃহস্পতিবার নিয়মতান্ত্রিক শবগুজারীর (রাতযাপন) আমল করতে পারবেন।
হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্্েরট আনিসুল হক জানান, তিনি উত্তেজনার খবর পেয়ে পাইকপাড়ায় গিয়ে প্যান্ডেল এবং মাইক উচ্ছেদ করতে চাইলে আয়োজকরা নিজেরাই তা সরিয়ে ফেলেন। ইজতেমা বন্ধ করে শুধুমাত্র স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে বৃহস্পতিবারের নিয়মতান্ত্রিক শবগুজারী পালনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুর রহমান জানান, পাইকপাড়ায় আয়োজকরা প্যান্ডেল ভেঙ্গে ফেলেছে। তারা বলেছে- কোনও বহিরাগত লোক সেখানে আসবে না। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

পোস্ট শেয়ার করুন

হবিগঞ্জে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সাদ পন্থিদের ইজতেমা বন্ধ

আপডেটের সময় : ০১:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯

নিউজ ডেস্ক: হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকপাড়া এলাকায় সাদ পন্থীদের ইজতেমাকে কেন্দ্র করে তাবলীগ জামাতের দুই গ্র“পের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ইজতেমা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে ইজমেতাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জে মাওলানা সাদ পন্থীদের অনুসারীরা হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকপাড়ায় তাদের নিজস্ব মার্কাজে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ইজতেমার আয়োজন করে। এ ব্যাপারে তারা প্যান্ডেল নির্মাণ শুরু করলে সাদ পন্থীদের বিরোধী আলেম ওলামা ও তাবলীগ জামাতের মূলধারার লোকজন আন্দোলন শুরু করে। মঙ্গলবার তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। পরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ইজতেমা বন্ধের আশ^াস প্রদান করলে তারা হবিগঞ্জ মার্কাজে তিনদিন যাবৎ অবস্থান নেয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার পাইকপাড়ায় সাদ পন্থীদের ইজতেমা আয়োজনের খবর জানতে পেরে হবিগঞ্জ মার্কাজে থাকা সাদপন্থী বিরোধী পক্ষ সেখানে গিয়ে অবস্থানের প্রস্তুতি নিলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় হাজার হাজার আলেম-ওলামা মাঠে নামার প্রস্তুতি নিলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাঠে নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারা পাইকপাড়ায় গিয়ে আয়োজকদেরকে ইজতেমার প্যান্ডেল এবং মাইক খুলে নেয়ার নির্দেশ দেন। খোলা মাঠে ইজতেমার কর্মসূচি পালন থেকে বিরত থেকে মসজিদের ভিতরে করার অনুমতি দেয়া হয়। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে আন্দোলনরতদেরকে ইজতেমা বন্ধের কথা জানালে তারা হবিগঞ্জ মার্কাজে ফিরে যায়।
বিকেলে সরেজমিনে উভয় স্থানে গেলেই সহশ্রাধিক আলেম-ওলামাকে জড়ো অবস্থায় দেখা যায়। পাইকপাড়ায় মার্কাজের সামনে পুলিশ মোতায়েন ছিল। মসজিদের ভিতরে লোকজন থাকলেও প্যান্ডেলে কোনও ছাউনী ছিল না। অনেক জিনিস সড়িয়ে ফেলা হয়েছে। আন্দোলনরতদের নেতা মাওলানা আব্দুল্লাহ আকিলপুরী জানান, আমাদের কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি। তবে আন্দোলনের ফলে প্রশাসন ইজতেমা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। তারা শুধু মসজিদে বৃহস্পতিবার নিয়মতান্ত্রিক শবগুজারীর (রাতযাপন) আমল করতে পারবেন।
হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্্েরট আনিসুল হক জানান, তিনি উত্তেজনার খবর পেয়ে পাইকপাড়ায় গিয়ে প্যান্ডেল এবং মাইক উচ্ছেদ করতে চাইলে আয়োজকরা নিজেরাই তা সরিয়ে ফেলেন। ইজতেমা বন্ধ করে শুধুমাত্র স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে বৃহস্পতিবারের নিয়মতান্ত্রিক শবগুজারী পালনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুর রহমান জানান, পাইকপাড়ায় আয়োজকরা প্যান্ডেল ভেঙ্গে ফেলেছে। তারা বলেছে- কোনও বহিরাগত লোক সেখানে আসবে না। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।