ঢাকা , সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
ইতালির মানতোভা শহরে দুইদিনব্যাপী দূতাবাস সেবা অনুষ্ঠিত ,প্রায় আট শতাধিক প্রবাসীরা এই ক্যাম্প থেকে দূতাবাস সেবা গ্রহণ করেন ইতালিতে এমপি প্রার্থী প্রফেসর ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম কে চাঁদপুরবাসীর সংবর্ধনা দেশে ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্হায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে দোয়া অনুষ্ঠিত কুলাউড়া বিএনপির ১৩ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা, সমন্বয়কদের দায়িত্ব বন্টন কুলাউড়ায় রাজাপুরে বালু উত্তোলন বন্ধ ও সেতু রক্ষায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে ইতালির তরিনোতে সিলেট বিভাগ ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ছাত্রশিবিরের নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব পর্তুগালে মানবিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন “সদিচ্ছা ফাউন্ডেশন” এর লোগো সম্বলিত টি শার্ট উন্মোচন যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম

স্ত্রীর জমানো টাকায় ২০ পরিবারকে ত্রাণ দিলেন চা-বিক্রেতা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০
  • / ৫২৫ টাইম ভিউ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় শহিদুল ইসলাম নামে এক চায়ের দোকানদার স্ত্রীর জমানো টাকায় ২০ পরিবারের মাঝে গোপনে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই চা-বিক্রেতার জন্য উপহার নিয়ে যান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক।

শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ফতুল্লার পশ্চিম সস্তাপুর এলাকায় গিয়ে চা-বিক্রেতার হাতে উপহার তুলে দেন ইউএনও।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চা-বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গুনাইনগাছ দক্ষিণ পাড়া গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে ফতুল্লার পশ্চিম সস্তাপুর এলাকার শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন তিনি। স্থানীয় কাদির মিয়ার দোকান ভাড়া দিয়ে চা বিক্রি করেন শহিদুল।

শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি অত্যন্ত গরিব মানুষ। চা দোকানটাই আমার আয়ের উৎস। লকডাউনের কারণে আমার উপার্জন বন্ধ। আমি অভাবের মধ্যেই বড় হয়েছি। অভাব-অনাহার কাকে বলে আমি জানি। স্ত্রী ও নয় বছরের প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে কষ্টে সংসার চালাই। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১৫ দিন পর আমার ঘরের চুলাও জ্বলবে না। তবুও আশপাশের অনাহারি মানুষকে দেখে বিবেকের তাড়নায় স্ত্রীর জমানো টাকায় ২০ পরিবারকে সহায়তা দিয়েছি। আল্লাহ আমাদের দেখবেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক বলেন, একজন চা-বিক্রেতা প্রতিবেশীর খাবারের কষ্ট সইতে না পেরে স্ত্রীর জমানো টাকায় ২০ পরিবারকে খাবার দিয়েছেন। বিষয়টি শুনে আমি অবাক হয়েছি। খবর নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে চা-বিক্রেতার পরিবারকে কিছু উপহার দিয়ে এসেছি। আগামীতে তাদের খাদ্যসামগ্রী শেষ হয়ে গেলে কিংবা কোনো সমস্যায় পড়লে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি। শুনেছি তাদের নয় বছরের শিশুসন্তানকে অর্থের অভাবে স্কুলে ভর্তি করতে পারছেন না। আমি তাদের আশ্বস্ত করেছি, স্কুল খোলা হলে তাদের সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করে দেব।

পোস্ট শেয়ার করুন

স্ত্রীর জমানো টাকায় ২০ পরিবারকে ত্রাণ দিলেন চা-বিক্রেতা

আপডেটের সময় : ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় শহিদুল ইসলাম নামে এক চায়ের দোকানদার স্ত্রীর জমানো টাকায় ২০ পরিবারের মাঝে গোপনে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই চা-বিক্রেতার জন্য উপহার নিয়ে যান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক।

শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ফতুল্লার পশ্চিম সস্তাপুর এলাকায় গিয়ে চা-বিক্রেতার হাতে উপহার তুলে দেন ইউএনও।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চা-বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গুনাইনগাছ দক্ষিণ পাড়া গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে ফতুল্লার পশ্চিম সস্তাপুর এলাকার শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন তিনি। স্থানীয় কাদির মিয়ার দোকান ভাড়া দিয়ে চা বিক্রি করেন শহিদুল।

শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি অত্যন্ত গরিব মানুষ। চা দোকানটাই আমার আয়ের উৎস। লকডাউনের কারণে আমার উপার্জন বন্ধ। আমি অভাবের মধ্যেই বড় হয়েছি। অভাব-অনাহার কাকে বলে আমি জানি। স্ত্রী ও নয় বছরের প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে কষ্টে সংসার চালাই। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১৫ দিন পর আমার ঘরের চুলাও জ্বলবে না। তবুও আশপাশের অনাহারি মানুষকে দেখে বিবেকের তাড়নায় স্ত্রীর জমানো টাকায় ২০ পরিবারকে সহায়তা দিয়েছি। আল্লাহ আমাদের দেখবেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক বলেন, একজন চা-বিক্রেতা প্রতিবেশীর খাবারের কষ্ট সইতে না পেরে স্ত্রীর জমানো টাকায় ২০ পরিবারকে খাবার দিয়েছেন। বিষয়টি শুনে আমি অবাক হয়েছি। খবর নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে চা-বিক্রেতার পরিবারকে কিছু উপহার দিয়ে এসেছি। আগামীতে তাদের খাদ্যসামগ্রী শেষ হয়ে গেলে কিংবা কোনো সমস্যায় পড়লে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি। শুনেছি তাদের নয় বছরের শিশুসন্তানকে অর্থের অভাবে স্কুলে ভর্তি করতে পারছেন না। আমি তাদের আশ্বস্ত করেছি, স্কুল খোলা হলে তাদের সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করে দেব।