ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

স্ত্রীর জমানো টাকায় ২০ পরিবারকে ত্রাণ দিলেন চা-বিক্রেতা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০
  • / ৪৯৩ টাইম ভিউ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় শহিদুল ইসলাম নামে এক চায়ের দোকানদার স্ত্রীর জমানো টাকায় ২০ পরিবারের মাঝে গোপনে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই চা-বিক্রেতার জন্য উপহার নিয়ে যান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক।

শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ফতুল্লার পশ্চিম সস্তাপুর এলাকায় গিয়ে চা-বিক্রেতার হাতে উপহার তুলে দেন ইউএনও।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চা-বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গুনাইনগাছ দক্ষিণ পাড়া গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে ফতুল্লার পশ্চিম সস্তাপুর এলাকার শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন তিনি। স্থানীয় কাদির মিয়ার দোকান ভাড়া দিয়ে চা বিক্রি করেন শহিদুল।

শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি অত্যন্ত গরিব মানুষ। চা দোকানটাই আমার আয়ের উৎস। লকডাউনের কারণে আমার উপার্জন বন্ধ। আমি অভাবের মধ্যেই বড় হয়েছি। অভাব-অনাহার কাকে বলে আমি জানি। স্ত্রী ও নয় বছরের প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে কষ্টে সংসার চালাই। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১৫ দিন পর আমার ঘরের চুলাও জ্বলবে না। তবুও আশপাশের অনাহারি মানুষকে দেখে বিবেকের তাড়নায় স্ত্রীর জমানো টাকায় ২০ পরিবারকে সহায়তা দিয়েছি। আল্লাহ আমাদের দেখবেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক বলেন, একজন চা-বিক্রেতা প্রতিবেশীর খাবারের কষ্ট সইতে না পেরে স্ত্রীর জমানো টাকায় ২০ পরিবারকে খাবার দিয়েছেন। বিষয়টি শুনে আমি অবাক হয়েছি। খবর নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে চা-বিক্রেতার পরিবারকে কিছু উপহার দিয়ে এসেছি। আগামীতে তাদের খাদ্যসামগ্রী শেষ হয়ে গেলে কিংবা কোনো সমস্যায় পড়লে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি। শুনেছি তাদের নয় বছরের শিশুসন্তানকে অর্থের অভাবে স্কুলে ভর্তি করতে পারছেন না। আমি তাদের আশ্বস্ত করেছি, স্কুল খোলা হলে তাদের সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করে দেব।

পোস্ট শেয়ার করুন

স্ত্রীর জমানো টাকায় ২০ পরিবারকে ত্রাণ দিলেন চা-বিক্রেতা

আপডেটের সময় : ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় শহিদুল ইসলাম নামে এক চায়ের দোকানদার স্ত্রীর জমানো টাকায় ২০ পরিবারের মাঝে গোপনে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই চা-বিক্রেতার জন্য উপহার নিয়ে যান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক।

শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ফতুল্লার পশ্চিম সস্তাপুর এলাকায় গিয়ে চা-বিক্রেতার হাতে উপহার তুলে দেন ইউএনও।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চা-বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার গুনাইনগাছ দক্ষিণ পাড়া গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে ফতুল্লার পশ্চিম সস্তাপুর এলাকার শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন তিনি। স্থানীয় কাদির মিয়ার দোকান ভাড়া দিয়ে চা বিক্রি করেন শহিদুল।

শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি অত্যন্ত গরিব মানুষ। চা দোকানটাই আমার আয়ের উৎস। লকডাউনের কারণে আমার উপার্জন বন্ধ। আমি অভাবের মধ্যেই বড় হয়েছি। অভাব-অনাহার কাকে বলে আমি জানি। স্ত্রী ও নয় বছরের প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে কষ্টে সংসার চালাই। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১৫ দিন পর আমার ঘরের চুলাও জ্বলবে না। তবুও আশপাশের অনাহারি মানুষকে দেখে বিবেকের তাড়নায় স্ত্রীর জমানো টাকায় ২০ পরিবারকে সহায়তা দিয়েছি। আল্লাহ আমাদের দেখবেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক বলেন, একজন চা-বিক্রেতা প্রতিবেশীর খাবারের কষ্ট সইতে না পেরে স্ত্রীর জমানো টাকায় ২০ পরিবারকে খাবার দিয়েছেন। বিষয়টি শুনে আমি অবাক হয়েছি। খবর নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে চা-বিক্রেতার পরিবারকে কিছু উপহার দিয়ে এসেছি। আগামীতে তাদের খাদ্যসামগ্রী শেষ হয়ে গেলে কিংবা কোনো সমস্যায় পড়লে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি। শুনেছি তাদের নয় বছরের শিশুসন্তানকে অর্থের অভাবে স্কুলে ভর্তি করতে পারছেন না। আমি তাদের আশ্বস্ত করেছি, স্কুল খোলা হলে তাদের সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করে দেব।