ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার আবু জাহেলদের ব্যার্থ গুপ্ত হত্যা পরিকল্পনার মধ্যে দিয়েই যেভাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিজরত জীবনের শুরু হয় তারেক রহমানের উপস্থাপিত ৩১ দফা’র লিফলেট বিতরন করলো পর্তুগাল সেচ্চাসেবক দল ইতালির তরিনোতে জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্রাম্মণবাড়ীয়া জেলা সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হলে আমরা সারা দুনিয়া জ্বালিয়ে দেব,মিলানের সেমিনারে বললেন পিনাকী ভট্রাচার্য পর্তুগাল জাসাস’র নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা

সেবাই যার ব্রত তিনি হলেন মো:আনিসুজামান লিটন

শেখ নিজামুর রহমান টিপু :
  • আপডেটের সময় : ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০১৯
  • / ১৮১৩ টাইম ভিউ

শেখ নিজামুর রহমান টিপু : ‘মানুষ বাঁচে তার কর্মে, বয়সের মধ্যে নয়’ বাংলা ব্যাকরণের এই শব্দ বহুল ব্যবহৃত। ছোট্ট এই শব্দ ভাবসম্প্রসারণে শত শত পৃষ্ঠার গুণগান লেখা যায়। মানুষ মরণশীল। তবে নিজ কর্মের মাধ্যমে কেউ কেউ বেঁচে থাকে অনন্তকাল। কর্মের দ্বারাই মানব মনে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছেন, দেশে এমন নেতা নেহায়েত কম নয়,তবে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সংখ্যা খুবই কম । মহৎ কর্মই মানুষকে অমরত্ব দান করে, আর অপকর্মে দেয় কুখ্যাতি। দেশে অসংখ্য মানুষ জন্ম নিয়েছেন আবার পরপারেও চলেগেছেন । কিন্তু আমজনতার হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন খুব অল্পসংখ্যক মানুষই ।

আর এই মহৎকর্ম কয়জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা করতে পেরেছেন,হাতে গুনেও যে কয়েকজন পাওয়া যেতে পারে তার মধ্যে একজন হবেন কুয়েতস্হ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজামান লিটন কাউন্সিলর (পোল) উনি জন্মগ্রহন করেন চোয়াডাঙা জেলার আলমডাঙা উপজেলার নিলমনিগন্জ ইউনিয়নের বিটবারিয়া গ্রামে । ছয় ভাই বোনদের মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ট হলেও খুব চতুর উনি, পরিবারের সবাই যাকে আদর করে ডাকতেন লিটন। বিএসসি ( অনার্স) এম এস সি কম্পিউটার ইন্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করেন ঢাকা ভার্সিটি থেকে । ২৭তম বিসিএস ক্যাডারে যোগদেন ২০০৮ সালে( পরাস্ট্রমন্ত্রনালয়ে অধিনে) চার বৎসর পর দেশের গন্ডি পেরিয়ে ২০১২ সালে নিয়োগ পান বাংলাদেশ দূতাবাস ইস্তানবুল (তুর্কি)ভাইস কনসুলেট জেনারেল হয়ে সেখানে থাকেন ২০১৫ সাল পর্যন্ত ।ইস্তানবুল থেকে বদলি হয়ে আসেন কুয়েতে (পাসপোর্ট সেকশনে ) এর পর দূতালয় প্রধান পদোন্নিত হয়ে কাউন্সিলর ডাইরেক্টর স্হলাভিসিক্ত হন । কুয়েতে কয়েকবছরে যতটুকু দেখলাম উনার চিন্তায় বৈষম্যতা বলে কিছু নেই , উনি বৈষম্যতাকে ঘৃনা করেন । চলাফেরায় অতি সাধারন হওয়াতে উনার সহকর্মিরাও হারচোখে দেখেন উনাকে। উনি মনে করেন আল্লাহর সৃস্টি সবাই মানুষ সেখানে কিসের পার্থক্য । কেউ কেউ লেখা পড়া করে যোগ্যতা এবং ভাগ্য অনুকুলে থাকায় সু উচ্চ জায়গায় অবস্হান করছে যেমন সরকারী চাকুরী, বেসরকারী চাকুরী , ব্যংকার , ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার আবার কেউ ব্যাবসা সুপ্রতিষ্টিত । কিন্তু যারা লেখা – পড়া করেনি বলে যে সমাজের জন্য কিছু করছে না. তা তো নয়, সবাই তার নিজস্ব অবস্হান থেকে দেশের জন্য মানুষের এবং তার পরিবারের জন্য কিছু না কিছু তো করছেই । বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে যাদের সবচেয়ে বড় অবদান তা হলো শ্রমিকরা ,কিন্তু সবাই তো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নয় । কিন্তু তাদেরও বিবেক আছে তারাও বুঝে দেশের সন্মান ও উন্নয়নের জন্য কি করে কাজ করতে হবে । মনে রাখতে হবে সবাই তার কাজকে সন্মান দিতে হবে,হোক তা যত যেকোনো মানেরই । তাহলে কিসের বৈষম্য কেনো বেদাবেধ এই সমাজে, মৃত্যর পর তো একই জায়গায় আমাদের স্হান । আমরা আমাদের আশেপাশের সমাজের বহু রকমের পেশা ও কাজের লোকজনের সংঙ্গে এবং বিচিত্র নৈতিক গুনের মেলা মেশা করি বা করছি যাদের পারস্পরিক উপলদ্ধি করা যায় বিভিন্ন রকমে বিভিন্নভাবে । ধৈর্য্য এবং মনোবল ছাড়া মানুষের মাঝে বসবাস করা খুবই কঠিন, আর এসব কিছুই যেনো নিহিত আছে মে: আনিসুজামান লিটনের কাছে । এর বহু প্রমান তিনি কুয়েতে দিয়েছেন এই কিছুদিন আগেও । সবার সাথে একই সমান্তরালে মিশে আছেন,সবার সাথে সমানতালেই চলাফেরা করে থাকেন একজন সাধারন শ্রমিকও যখন দূতাবাসে আসেন উনার অফিসের দরজা খোলা থাকে ।

একদিন এক কাজে যখন আমি অফিসে গিয়েছিলম একটি সাক্ষাত্কারের জন্য বসে আছি ঠিক তখনই একটি কাজে কয়েকজন শ্রমিক আসলেন একটি অভিযোগ দিতে, উনি বললেন আগে আসেন নি কেনো তখন ঐ শ্রমিকদের একজন বললো অমুখ অফিসার সাহেব অনুমতি দেন নি আপনার সাথে সাক্ষাত করতে । উনি সরাসরি বললেন আমার এখানে আসতে কোনো অনুমতি লাগবে না, যখনই কোনো প্রয়োজন সোজা চলে আসবেন , আমাকে দূতাবাসে দেওয়া হয়েছে আপনাদের সেবা দেওয়ার জন্যই । আমি আশ্চর্য্য হলাম উনার উক্তিটি শুনে,তখন যে কারো বুঝতে কস্ট হবেনা মোহাম্মদ আনিসুজামান লিটন ( দুতালয় প্রধান-কাউন্সিলর ডাইরেক্টর) হৃদয়ে বিবেক ও মানবতাবোধ কে লালন করেই চলছেন। ইতিহাসে কর্মই জায়গা নির্ধারণ করে দেয় কোথায় হবে আপনার স্হান,সেখানে মোহাম্মদ আনিসুজামান লিটনের মতো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা কর্মগুনে স্হান করে নিবেন সুউচ্চমর্যাদায় মানুষের হৃদয়ের মনিকোটায়। কর্মগুণ ও অপকর্মের কারণে শত শত বছর ধরে একজন নন্দিত আরেকজন ঘৃণিত হচ্ছেন। তাই সমাজের চিরাচরিত নিয়মে এরমধ্যে আমাদের দেশের শতকরা ৯৫% উচ্চপদস্থ ঘোষ ছাড়া কিছুই নেই তাদের উপার্জন,এজন্যই সাধারন জনগণ ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে দুরত্ব সৃস্টি হয়ে থাকে । এও সত্য এর মধ্যেই সৎ ও নিস্টাবান অফিসার নেই যে তা বলা যাবেনা, কিন্তু সংখ্যায় খুবই কম ।এখনকার টক শো সহ এমন কোথাও নেই ওদের কটাক্ষ করে কথা হয় না, কিন্তু মোহাম্মদ আনিসুজামান লিটন ব্যাতিক্রমিদের মধ্যে একজন কর্মট ও নিস্টাবান । উপমহাদেশে অনেক রাজনীতিবিদ ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জন্ম নিয়েছেন, মৃত্যুবরণও করেছেন। ইতিহাসে সবার জায়গা একভাবে হয়নি। কেউ কেউ প্রথম জীবনে সুখ্যাতি অর্জন করেও পরে লোভ-লালসায় পড়ে বিতর্কিত কর্মের কারণে নিন্দিত হয়েছেন; মৃত্যুর পর পাচ্ছেন আমজনতার ধিক্কার। আমি বলবো এখন পর্যন্ত উনার যে মনমানসিকতা বা চালাফেরা তার ধারাবাকিতা বজায় রেখে চলতে পারলে উনি নিস্টাবান ও পরিচ্ছন্ন হিসেবে মানুষের হৃদয়ের থাকবেন । সব শেষে বলবো আমরা প্রবাসীরা সাধার জনগণ চাওয়া থাকবে এমন কর্মকর্তাই যেনো প্রতিটি দূতাবাসে দেওয়া হয় ।

পোস্ট শেয়ার করুন

সেবাই যার ব্রত তিনি হলেন মো:আনিসুজামান লিটন

আপডেটের সময় : ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০১৯

শেখ নিজামুর রহমান টিপু : ‘মানুষ বাঁচে তার কর্মে, বয়সের মধ্যে নয়’ বাংলা ব্যাকরণের এই শব্দ বহুল ব্যবহৃত। ছোট্ট এই শব্দ ভাবসম্প্রসারণে শত শত পৃষ্ঠার গুণগান লেখা যায়। মানুষ মরণশীল। তবে নিজ কর্মের মাধ্যমে কেউ কেউ বেঁচে থাকে অনন্তকাল। কর্মের দ্বারাই মানব মনে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছেন, দেশে এমন নেতা নেহায়েত কম নয়,তবে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সংখ্যা খুবই কম । মহৎ কর্মই মানুষকে অমরত্ব দান করে, আর অপকর্মে দেয় কুখ্যাতি। দেশে অসংখ্য মানুষ জন্ম নিয়েছেন আবার পরপারেও চলেগেছেন । কিন্তু আমজনতার হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন খুব অল্পসংখ্যক মানুষই ।

আর এই মহৎকর্ম কয়জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা করতে পেরেছেন,হাতে গুনেও যে কয়েকজন পাওয়া যেতে পারে তার মধ্যে একজন হবেন কুয়েতস্হ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজামান লিটন কাউন্সিলর (পোল) উনি জন্মগ্রহন করেন চোয়াডাঙা জেলার আলমডাঙা উপজেলার নিলমনিগন্জ ইউনিয়নের বিটবারিয়া গ্রামে । ছয় ভাই বোনদের মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ট হলেও খুব চতুর উনি, পরিবারের সবাই যাকে আদর করে ডাকতেন লিটন। বিএসসি ( অনার্স) এম এস সি কম্পিউটার ইন্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করেন ঢাকা ভার্সিটি থেকে । ২৭তম বিসিএস ক্যাডারে যোগদেন ২০০৮ সালে( পরাস্ট্রমন্ত্রনালয়ে অধিনে) চার বৎসর পর দেশের গন্ডি পেরিয়ে ২০১২ সালে নিয়োগ পান বাংলাদেশ দূতাবাস ইস্তানবুল (তুর্কি)ভাইস কনসুলেট জেনারেল হয়ে সেখানে থাকেন ২০১৫ সাল পর্যন্ত ।ইস্তানবুল থেকে বদলি হয়ে আসেন কুয়েতে (পাসপোর্ট সেকশনে ) এর পর দূতালয় প্রধান পদোন্নিত হয়ে কাউন্সিলর ডাইরেক্টর স্হলাভিসিক্ত হন । কুয়েতে কয়েকবছরে যতটুকু দেখলাম উনার চিন্তায় বৈষম্যতা বলে কিছু নেই , উনি বৈষম্যতাকে ঘৃনা করেন । চলাফেরায় অতি সাধারন হওয়াতে উনার সহকর্মিরাও হারচোখে দেখেন উনাকে। উনি মনে করেন আল্লাহর সৃস্টি সবাই মানুষ সেখানে কিসের পার্থক্য । কেউ কেউ লেখা পড়া করে যোগ্যতা এবং ভাগ্য অনুকুলে থাকায় সু উচ্চ জায়গায় অবস্হান করছে যেমন সরকারী চাকুরী, বেসরকারী চাকুরী , ব্যংকার , ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার আবার কেউ ব্যাবসা সুপ্রতিষ্টিত । কিন্তু যারা লেখা – পড়া করেনি বলে যে সমাজের জন্য কিছু করছে না. তা তো নয়, সবাই তার নিজস্ব অবস্হান থেকে দেশের জন্য মানুষের এবং তার পরিবারের জন্য কিছু না কিছু তো করছেই । বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে যাদের সবচেয়ে বড় অবদান তা হলো শ্রমিকরা ,কিন্তু সবাই তো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নয় । কিন্তু তাদেরও বিবেক আছে তারাও বুঝে দেশের সন্মান ও উন্নয়নের জন্য কি করে কাজ করতে হবে । মনে রাখতে হবে সবাই তার কাজকে সন্মান দিতে হবে,হোক তা যত যেকোনো মানেরই । তাহলে কিসের বৈষম্য কেনো বেদাবেধ এই সমাজে, মৃত্যর পর তো একই জায়গায় আমাদের স্হান । আমরা আমাদের আশেপাশের সমাজের বহু রকমের পেশা ও কাজের লোকজনের সংঙ্গে এবং বিচিত্র নৈতিক গুনের মেলা মেশা করি বা করছি যাদের পারস্পরিক উপলদ্ধি করা যায় বিভিন্ন রকমে বিভিন্নভাবে । ধৈর্য্য এবং মনোবল ছাড়া মানুষের মাঝে বসবাস করা খুবই কঠিন, আর এসব কিছুই যেনো নিহিত আছে মে: আনিসুজামান লিটনের কাছে । এর বহু প্রমান তিনি কুয়েতে দিয়েছেন এই কিছুদিন আগেও । সবার সাথে একই সমান্তরালে মিশে আছেন,সবার সাথে সমানতালেই চলাফেরা করে থাকেন একজন সাধারন শ্রমিকও যখন দূতাবাসে আসেন উনার অফিসের দরজা খোলা থাকে ।

একদিন এক কাজে যখন আমি অফিসে গিয়েছিলম একটি সাক্ষাত্কারের জন্য বসে আছি ঠিক তখনই একটি কাজে কয়েকজন শ্রমিক আসলেন একটি অভিযোগ দিতে, উনি বললেন আগে আসেন নি কেনো তখন ঐ শ্রমিকদের একজন বললো অমুখ অফিসার সাহেব অনুমতি দেন নি আপনার সাথে সাক্ষাত করতে । উনি সরাসরি বললেন আমার এখানে আসতে কোনো অনুমতি লাগবে না, যখনই কোনো প্রয়োজন সোজা চলে আসবেন , আমাকে দূতাবাসে দেওয়া হয়েছে আপনাদের সেবা দেওয়ার জন্যই । আমি আশ্চর্য্য হলাম উনার উক্তিটি শুনে,তখন যে কারো বুঝতে কস্ট হবেনা মোহাম্মদ আনিসুজামান লিটন ( দুতালয় প্রধান-কাউন্সিলর ডাইরেক্টর) হৃদয়ে বিবেক ও মানবতাবোধ কে লালন করেই চলছেন। ইতিহাসে কর্মই জায়গা নির্ধারণ করে দেয় কোথায় হবে আপনার স্হান,সেখানে মোহাম্মদ আনিসুজামান লিটনের মতো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা কর্মগুনে স্হান করে নিবেন সুউচ্চমর্যাদায় মানুষের হৃদয়ের মনিকোটায়। কর্মগুণ ও অপকর্মের কারণে শত শত বছর ধরে একজন নন্দিত আরেকজন ঘৃণিত হচ্ছেন। তাই সমাজের চিরাচরিত নিয়মে এরমধ্যে আমাদের দেশের শতকরা ৯৫% উচ্চপদস্থ ঘোষ ছাড়া কিছুই নেই তাদের উপার্জন,এজন্যই সাধারন জনগণ ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে দুরত্ব সৃস্টি হয়ে থাকে । এও সত্য এর মধ্যেই সৎ ও নিস্টাবান অফিসার নেই যে তা বলা যাবেনা, কিন্তু সংখ্যায় খুবই কম ।এখনকার টক শো সহ এমন কোথাও নেই ওদের কটাক্ষ করে কথা হয় না, কিন্তু মোহাম্মদ আনিসুজামান লিটন ব্যাতিক্রমিদের মধ্যে একজন কর্মট ও নিস্টাবান । উপমহাদেশে অনেক রাজনীতিবিদ ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জন্ম নিয়েছেন, মৃত্যুবরণও করেছেন। ইতিহাসে সবার জায়গা একভাবে হয়নি। কেউ কেউ প্রথম জীবনে সুখ্যাতি অর্জন করেও পরে লোভ-লালসায় পড়ে বিতর্কিত কর্মের কারণে নিন্দিত হয়েছেন; মৃত্যুর পর পাচ্ছেন আমজনতার ধিক্কার। আমি বলবো এখন পর্যন্ত উনার যে মনমানসিকতা বা চালাফেরা তার ধারাবাকিতা বজায় রেখে চলতে পারলে উনি নিস্টাবান ও পরিচ্ছন্ন হিসেবে মানুষের হৃদয়ের থাকবেন । সব শেষে বলবো আমরা প্রবাসীরা সাধার জনগণ চাওয়া থাকবে এমন কর্মকর্তাই যেনো প্রতিটি দূতাবাসে দেওয়া হয় ।