ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

সেই স্কুলে ছুটে গেলেন ব্যারিস্টার সুমন, দিলেন আশ্বাস

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ১২:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯
  • / ৪৩৯ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ  শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের চর ডোমসার বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি গাছতলায় ক্লাস করা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফেসবুক লাইভও করেছেন। এক মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ স্কুল ভবন নির্মাণ না করলে ঢাকা থেকে এসে সহযোগিতা করে কাজটি করে দেবেন বলেও তিনি ঘোষণা দিয়েছেন।

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন হাইকোর্টের আইনজীবী এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ‘গাছতলায় পাঠদান, বৃষ্টি নামলেই ছুটি’ শিরোনামে গত ২১ এপ্রিল রোববার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি নজরে পরে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের। পরে মঙ্গলবার সকালে তিনি চর ডোমসার বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে আসেন তিনি।

এ সময় ব্যারিস্টার সুমন বলেন, চর ডোমসার বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে শুনে দেখতে আসছি। এ অবস্থা দেখে ভালো লাগেনি। এক মাসের মধ্যে যদি কর্তৃপক্ষ স্কুল ভবনের কাজ না করে, আমরা ঢাকা থেকে এসে সহযোগিতা করে কাজটি করে দেবো।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি যখন কোনো স্কুলের টিন থাকে না, ঘর থাকে না, তখন এই কাজটি করাই হবে প্রথম এবং প্রধান কাজ। খোলা আকাশের নিচে পড়াশোনা করানোর মতো অবস্থা বাংলাদেশে এখন আর নাই। দেশ অনেক দূর এগিয়েছে। শুধু স্থানীয় নেতৃবৃন্দের ব্যর্থতার কারণে এই অবস্থা হয়েছে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ স্কুলের জন্য যদি সহযোগিতা না করেন, তাহলে আমরা করবো। আমরা বুঝি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে গেলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের চর ডোমসার, ভাসকদ্দি ও বেদেপল্লী গ্রামে স্কুল না থাকা গ্রামগুলোর মানুষের কথা চিন্তা করে ১৯৭০ সালে স্থানীয় সিরাজুল হক মোল্লা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ২০০৩ সাল থেকে বিদ্যালয়টিতে নিয়মিতভাবে পাঠদান শুরু হয়। গত ৬ এপ্রিল (শনিবার) সন্ধ্যায় কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়ের টিনের ঘরটি লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে। সেই থেকে খোলা আকাশের নিচে গাছতলায় ক্লাস করতে হচ্ছে। প্রতি বছরই স্কুলঘরটি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিদ্যালয়ে বর্তমান শিক্ষার্থী ১৫০ জন। ভবন না থাকায় প্রতি বছরেই শিক্ষার্থী কমছে। বিদ্যালয় শিক্ষক আছেন মাত্র তিনজন ।

পোস্ট শেয়ার করুন

সেই স্কুলে ছুটে গেলেন ব্যারিস্টার সুমন, দিলেন আশ্বাস

আপডেটের সময় : ১২:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ  শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের চর ডোমসার বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি গাছতলায় ক্লাস করা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফেসবুক লাইভও করেছেন। এক মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ স্কুল ভবন নির্মাণ না করলে ঢাকা থেকে এসে সহযোগিতা করে কাজটি করে দেবেন বলেও তিনি ঘোষণা দিয়েছেন।

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন হাইকোর্টের আইনজীবী এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ‘গাছতলায় পাঠদান, বৃষ্টি নামলেই ছুটি’ শিরোনামে গত ২১ এপ্রিল রোববার একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি নজরে পরে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের। পরে মঙ্গলবার সকালে তিনি চর ডোমসার বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে আসেন তিনি।

এ সময় ব্যারিস্টার সুমন বলেন, চর ডোমসার বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে শুনে দেখতে আসছি। এ অবস্থা দেখে ভালো লাগেনি। এক মাসের মধ্যে যদি কর্তৃপক্ষ স্কুল ভবনের কাজ না করে, আমরা ঢাকা থেকে এসে সহযোগিতা করে কাজটি করে দেবো।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি যখন কোনো স্কুলের টিন থাকে না, ঘর থাকে না, তখন এই কাজটি করাই হবে প্রথম এবং প্রধান কাজ। খোলা আকাশের নিচে পড়াশোনা করানোর মতো অবস্থা বাংলাদেশে এখন আর নাই। দেশ অনেক দূর এগিয়েছে। শুধু স্থানীয় নেতৃবৃন্দের ব্যর্থতার কারণে এই অবস্থা হয়েছে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ স্কুলের জন্য যদি সহযোগিতা না করেন, তাহলে আমরা করবো। আমরা বুঝি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে গেলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের চর ডোমসার, ভাসকদ্দি ও বেদেপল্লী গ্রামে স্কুল না থাকা গ্রামগুলোর মানুষের কথা চিন্তা করে ১৯৭০ সালে স্থানীয় সিরাজুল হক মোল্লা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ২০০৩ সাল থেকে বিদ্যালয়টিতে নিয়মিতভাবে পাঠদান শুরু হয়। গত ৬ এপ্রিল (শনিবার) সন্ধ্যায় কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়ের টিনের ঘরটি লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে। সেই থেকে খোলা আকাশের নিচে গাছতলায় ক্লাস করতে হচ্ছে। প্রতি বছরই স্কুলঘরটি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিদ্যালয়ে বর্তমান শিক্ষার্থী ১৫০ জন। ভবন না থাকায় প্রতি বছরেই শিক্ষার্থী কমছে। বিদ্যালয় শিক্ষক আছেন মাত্র তিনজন ।