সুস্থ রাজনীতিতে ফিরে নির্বাচনে অংশ নিন: শেখ হাসিনা
- আপডেটের সময় : ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০১৭
- / ১৬০০ টাইম ভিউ
হত্যা, লুটপাট ও দুর্নীতির রাজনীতি থেকে সুস্থ রাজনীতিতে ফিরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসছে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুইডেনের রাজধানী স্টোকহোমের সিটি কনফারেন্স সেন্টারে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকুক। তারা(বিএনপি) নির্বাচন থেকে সরে যাবার মতো ভুল আবার না করুক। তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং জনগণ বিচার করবে কারা ক্ষমতায় আসবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেশের কোনো উন্নয়নে স্বস্তিবোধ করেন না এবং তিনি সবসময় দেশের ধ্বংস দেখতে চান, উন্নয়ন নয়।
বাংলাদেশ খারাপ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে খালেদার এ মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশ খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে না, যারা এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করেছে, যারা মামলার মুখোমুখি হতে ভয় পায় এবং দেড়শ’বার রিট দাখিল সত্ত্বেও উচ্চ আদালতে মামলায় হেরেছে তাদেরই দুর্দিন যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, তখন হাওয়া ভবন খুলে জনসাধারণের অর্থ লুট করেছে এবং অবাধে দুর্নীতি করেছে। খালেদা জিয়া শুধু লুট ও কমিশন নেয়া জানে। তারা কেবল জানে কীভাবে সম্পদ ধ্বংস করতে হয়।
তিনি বলেন, জনগণকে জানাতে হবে যে, বিএনপি একটি জঙ্গি ও সন্ত্রাসী সংগঠন এবং তারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। জনগণের সামনে তাদের চরিত্রকে উন্মোচিত করতে হবে। সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীরা দেশের কোথাও জায়গা পাবে না।
তিনি আরো বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং এ ধর্ম কখনো নিরীহ মানুষ হত্যার সমর্থন দেয় না। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে আমরা ব্যাপক কার্যক্রম নিয়েছি। অন্যদিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জঙ্গিবাদ বিরোধী অভিযানে যখন কোনো জঙ্গি নিহত হয়, তখন বিএনপি চেয়ারপারসন মায়াকান্না করেন।
গেলো আট বছরে দেশের অসামান্য উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মোবাইলফোন এবং ল্যাপটপ এখন সাধারণ মানুষের হাতে হাতে এবং তারা দেশব্যাপী কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে সেবা নিচ্ছে।
সরকার প্রধান বলেন, বিএনপি-জামায়াত সাহায্য তহবিল লুট করেছে, তারা জনগণকে দরিদ্র রাখতে চেয়েছে এবং তারা দেশকে দুর্দশাগ্রস্ত ও মানুষের মৃতদেহ দেখিয়ে আরো বিদেশি সাহায্য নিয়ে আসতে চেয়েছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগের নীতি হলো দেশকে নিজের পায়ে দাঁড় করানো, অন্যের কাছ থেকে ভিক্ষা নেয়া নয়।
তিনি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্দোলনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা এবং সুইডিশ রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার আলোচনা সফল হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বক্তব্য রাখেন।