সুলতান মনসুরের নতুন ছাত্র কল্যাণ পরিষদ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা জল্পনা-কল্পনা!
- আপডেটের সময় : ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯
- / ১০২৮ টাইম ভিউ
দেশদিগন্ত নিউজ: কুলাউড়া উপজেলায় নতুন একটি ছাত্র কল্যাণ পরিষদ নিয়ে বেশ আলোড়ন তৈরি হয়েছে। গত ৯ জুন কুলাউড়া ছাত্র কল্যাণ পরিষদ নামে উপজেলা শাখার একটি কমিটির মাধ্যমে পরিষদের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। ইতিমধ্যে নবগঠিত এই ছাত্র কল্যাণ পরিষদ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই এই ছাত্র কল্যাণকে ভবিষ্যতে কুলাউড়ার রাজনীতিতে নতুন ছাত্র সংগঠনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন।
নবগঠিত এই ছাত্র কল্যাণ কমিটির একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই ছাত্র কল্যাণের উপদেষ্টা রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকসুর সাবেক ভিপি বর্তমান এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে র্দীঘদিন নির্বাসনে রয়েছেন।
পরিষদের সভাপতি মো. আব্দুল লতিফ এবং সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন পদে ১৪১ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।এই ছাত্র কল্যাণ পরিষদে বেশির ভাগই ছাত্রলীগের কর্মী রয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের নামে হত্যা মামলাসহ ছাত্র লীগের অনেক বির্তকিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
আগামীতে নতুন এই ছাত্র কল্যাণ পরিষদের প্রতিটি গ্রামে তাদের কমিটি দেওয়ার আবাস পাওয়া যাচ্ছে। এই ছাত্র কল্যাণ পরিষদের কমিটিতে থাকা সদস্যরা কুলাউড়া আওয়ামী লীগের বিশেষ একটি গ্রুপের সক্রিয় ছাত্রলীগ কর্মী ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুলাউড়া উপজেলার ছাত্র দলের নেতা বলেন, বিগত নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছেন তাই বিএনপির নেতা কর্মীরা তার সাথে সক্রিয় থেকে কাজ করেছে। তিনি বিএনপির কেউ নয় এবং নির্বাচনের পরে ঐক্যফ্রন্টের মতের বাহিরে গিয়ে একক ভাবে শপথ গ্রহণ করেন এরপর থেকে বিএনপির বা ঐক্যফ্রন্টের কোনো নেতা-কর্মী তার সাথে নেই। এখন তিনি বিএনপিরও কেউ নয় আওয়ামী লীগেও নয় এবং গণফোরাম থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে । সেই চিন্তা থেকে হয়তো নতুন এই ছাত্র কল্যাণ পরিষদ গঠন করেছেন। হয়তোবা আগামী নির্বাচনে নতুন কোনো ছাত্র সংগঠনের জন্ম হতে পারে।
তবে বিএনপির নেতারা মনে করেন, সুলতান মনসুর যদি এই ছাত্র কল্যাণকে রাজনৈতিক ভাবে চিন্তা করেন তাতে বিএনপির কোনো ক্ষতি নেই বরং আওয়ামী লীগ থেকে একটা অংশ তার সাথে থাকবে। এতে বিএনপির বরং লাভই দেখছেন তারা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছেন ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এম শাহীন। তিনি মনে করেন, ২০১০ সালে সুলতান মনসুর আনুষ্ঠানিক ভাবে আওয়ামী লীগ ত্যাগ করেছেন। এখন উনার পায়ের নিছে মাটি নেই। তিনি সকল দল মতের মানুষের কাছ থেকে জাতীয় এবং স্থানীয় ভাবে প্রত্যাখ্যাত । তাই হয়তো তিনি এরকম একটি পরিষদ গঠন করতে পারেন। কখনো বেগম খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ আবার জয় বাংলা বলে বিতর্কিত হয়েছেন। তিনি এখন ‘না ঘরকা, না ঘাটকা’। তাই তিনি সুলতানি শাসন চালাতে এসব কার্যক্রম করতে পারেন বলে তিনি মনে করেন। তবে উনার এই ইচ্ছে কুলাউড়াবাসী পূরণ করতে দেবে না বলে তিনি মনে করেন।
ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রতিবেদককে বলেন, মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের একক নির্দেশনায় তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। উনি এই সংগঠনের একমাত্র উপদেষ্ঠা।
তিনি দাবি করেন, এই সংগঠন এলাকার অবহেলিত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার জন্য সংগঠনটি করা হয়েছে। পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতির বিরুদ্ধে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে উপজেলা ব্যাপি এর কার্যক্রম বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।