ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

সুনামগঞ্জে আবারো বন্যার আশঙ্কা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপডেটের সময় : ১০:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই ২০২০
  • / ৩৫৯ টাইম ভিউ

এক সপ্তাহ আগেও টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা দেখা দিয়েছিল সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলায়। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সড়ক, ধান ও মাছের। এর রেশ কাটতে না কাটতেই গত দুদিনের টানা বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জে প্রতিটি নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।

ফলে আবারো ভয়াবহ বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান। আর এমন খবরে জেলার হাওরাঞ্চল জুড়ে বন্যা আতংক বিরাজ করছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি সমতলের ৭ .৪৬ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে এবং বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। অন্যদিকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা পয়েন্টে যাদুকাটার নদীর পানি ৭.৭৮ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। যাদুকাটা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে জেলার তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভপুরসহ ১১টি উপজেলার বিভিন্ন সড়কে পানি কমলেও সকাল থেকে আবারো ডুবতে শুরু করেছে।

জানা যায়, সম্প্রতি বন্যায় জেলা শহর, গ্রাম, হাওরাঞ্চল প্লাবিত হয়। খামারিদের ৩ হাজার পুকুরের ২২ কোটি টাকার মাছ ভেসে যায় বানের পানিতে। ৩০০ কোটি টাকার সড়ক অবকাঠামোর ক্ষতি হয় এবং ৩ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমির আউশ ধান ও বীজতলা পানিতে ডুবে নষ্ট হয়।

এছাড়া হাওর এলাকার অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। বন্যার ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই আবারো অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশংকা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।

আরিফ মিয়া, জহির মিয়াসহ জেলার হাওরাঞ্চলের বাসিন্দারা জানান, প্রতি বছরেই প্রকৃতির সঙ্গে সংগ্রাম করে আমাদের বেঁচে থাকতে হয়। আমরা হাওরাঞ্চলের বাসিন্দারা প্রকৃতির কাছে বড় অসহায়। হাওর পাড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জায়গা নেই। আবারো যদি বন্যা দেখা দেয় তাহলে কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেবো এই নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। সরকারি সহায়তাও তেমন পাওয়া যায় না।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান জানান, আগামী ৫ দিন উজানে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে নদ-নদীর পানি আবারো বিপৎসীমা অতিক্রম করে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।  #

পোস্ট শেয়ার করুন

সুনামগঞ্জে আবারো বন্যার আশঙ্কা

আপডেটের সময় : ১০:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই ২০২০

এক সপ্তাহ আগেও টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা দেখা দিয়েছিল সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলায়। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সড়ক, ধান ও মাছের। এর রেশ কাটতে না কাটতেই গত দুদিনের টানা বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জে প্রতিটি নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।

ফলে আবারো ভয়াবহ বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান। আর এমন খবরে জেলার হাওরাঞ্চল জুড়ে বন্যা আতংক বিরাজ করছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি সমতলের ৭ .৪৬ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে এবং বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। অন্যদিকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা পয়েন্টে যাদুকাটার নদীর পানি ৭.৭৮ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। যাদুকাটা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে জেলার তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভপুরসহ ১১টি উপজেলার বিভিন্ন সড়কে পানি কমলেও সকাল থেকে আবারো ডুবতে শুরু করেছে।

জানা যায়, সম্প্রতি বন্যায় জেলা শহর, গ্রাম, হাওরাঞ্চল প্লাবিত হয়। খামারিদের ৩ হাজার পুকুরের ২২ কোটি টাকার মাছ ভেসে যায় বানের পানিতে। ৩০০ কোটি টাকার সড়ক অবকাঠামোর ক্ষতি হয় এবং ৩ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমির আউশ ধান ও বীজতলা পানিতে ডুবে নষ্ট হয়।

এছাড়া হাওর এলাকার অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। বন্যার ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই আবারো অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশংকা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।

আরিফ মিয়া, জহির মিয়াসহ জেলার হাওরাঞ্চলের বাসিন্দারা জানান, প্রতি বছরেই প্রকৃতির সঙ্গে সংগ্রাম করে আমাদের বেঁচে থাকতে হয়। আমরা হাওরাঞ্চলের বাসিন্দারা প্রকৃতির কাছে বড় অসহায়। হাওর পাড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জায়গা নেই। আবারো যদি বন্যা দেখা দেয় তাহলে কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেবো এই নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। সরকারি সহায়তাও তেমন পাওয়া যায় না।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান জানান, আগামী ৫ দিন উজানে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে নদ-নদীর পানি আবারো বিপৎসীমা অতিক্রম করে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।  #