সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শিশু তুহিন হত্যাকান্ড : জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাপ চাচাসহ ৭ স্বজন পুলিশ হেফাজতে
- আপডেটের সময় : ০৯:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৯
- / ৫০৩ টাইম ভিউ
দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের খেজাউড়া গ্রামে শিশু তুহিন মিয়া (৬) হত্যাকান্ডের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বাবাসহ ৭ স্বজনকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
সোমবার ১৪ অক্টোবর দুপুরে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আটককৃতরা হলেন- তুহিনের চাচা আব্দুল মছব্বির, জমশেদ মিয়া, নাসির মিয়া, জাকিরুল ও তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির। আটক করা হয়েছে তুহিনের চাচি ও চাচাতো বোনকেও।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ জনকে থানায় নেয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্দেহজনক কিছু মনে না হলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।’
কান, গলা ও লিঙ্গ কেটে তুহিনকে নৃশংশভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে তার মরদেহ গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখে যায়।
জানা যায়, বছির মিয়ার ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে। গতকাল রোববার রাতে প্রতিদিনের মতো খাওয়া-দাওয়া শেষ করে পরিবারের সকল ঘুমিয়ে পড়েন। মধ্যরাতে শিশু তুহিন প্রস্রাব করার জন্য উঠলে তার মা বাহিরে প্রস্রাব করিয়ে তাকে ঘুম পড়িয়ে দেন। পরে রাত ৩টার দিকে মা-বাবা হঠাৎ দরজা খোলার শব্দ শুনে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তুহিন ঘরে নেই।
এরপর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে বাড়ির পাশে রক্ত দেখতে পান তারা। এরপর কিছু দুরে সুফিয়ান মোল্লার উঠানে মসজিদের পাশে গাছের নিকট ঝুলন্ত অবস্থায় শিশু তুহিনের মরদেহ দেখতে পান। সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
তুহিন উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের গচিয়া কেজাউড়া গ্রামের বছির মিয়ার ছেলে।৩