ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার আবু জাহেলদের ব্যার্থ গুপ্ত হত্যা পরিকল্পনার মধ্যে দিয়েই যেভাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিজরত জীবনের শুরু হয় তারেক রহমানের উপস্থাপিত ৩১ দফা’র লিফলেট বিতরন করলো পর্তুগাল সেচ্চাসেবক দল ইতালির তরিনোতে জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্রাম্মণবাড়ীয়া জেলা সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হলে আমরা সারা দুনিয়া জ্বালিয়ে দেব,মিলানের সেমিনারে বললেন পিনাকী ভট্রাচার্য পর্তুগাল জাসাস’র নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা

সিলেট বিভাগে জুনে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করোনা ভাইরাস

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০২০
  • / ৪৩০ টাইম ভিউ

সিলেট বিভাগে চলতি জুন মাসে এসে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে মহামারি করোনা ভাইরাস। প্রতিদিনই শতাধিক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হচ্ছে। বাড়ছে মৃত্যুও। গত ২৪ দিনে সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মঈন উদ্দিনের করোনা শনাক্ত হয়। ১৫ এপ্রিল ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ডা. মঈন সিলেট বিভাগের প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী। গত ৭ এপ্রিল থেকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। তখন থেকেই ওই ল্যাবে প্রতিদিন সিলেটের কয়েকজনের করোনা শনাক্ত হতে শুরু হয়। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে মৃত্যুও। তবে চলতি জুন মাসে এসে সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাস ভয়ঙ্কর রূপ নিতে থাকে। মৃত্যুও বাড়ে আশঙ্কাজনক হারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ৫ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৫৭ দিনে সিলেটে করোনা শনাক্ত হয় ৯৪৭ জনের। আর মৃত্যু হয় ১৭ জনের। চলতি জুন মাসের প্রথম ২৪ দিনে সিলেটে আরও ২ হাজার ৬৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। মৃত্যু হয় ৪৩ জনের। আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ৩ হাজার ৬৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৬০ জনের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শারীরিক দূরত্ব অমান্য করা, ব্যাংক ও রাস্তাঘাটে ভিড় করা, ঠিলেঢালাভাবে লকডাউন বাস্তবায়নের কারণে পুরো সিলেট বিভাগে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, সিলেটে জুন মাসে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে আমরা বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি। কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা শুরুও হয়েছে।
তিনি জানান, সিলেট বিভাগের চার জেলায় এখন পর্যন্ত ৮১৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

সিলেট বিভাগে জুনে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করোনা ভাইরাস

আপডেটের সময় : ০৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০২০

সিলেট বিভাগে চলতি জুন মাসে এসে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে মহামারি করোনা ভাইরাস। প্রতিদিনই শতাধিক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হচ্ছে। বাড়ছে মৃত্যুও। গত ২৪ দিনে সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মঈন উদ্দিনের করোনা শনাক্ত হয়। ১৫ এপ্রিল ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ডা. মঈন সিলেট বিভাগের প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী। গত ৭ এপ্রিল থেকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। তখন থেকেই ওই ল্যাবে প্রতিদিন সিলেটের কয়েকজনের করোনা শনাক্ত হতে শুরু হয়। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে মৃত্যুও। তবে চলতি জুন মাসে এসে সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাস ভয়ঙ্কর রূপ নিতে থাকে। মৃত্যুও বাড়ে আশঙ্কাজনক হারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ৫ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৫৭ দিনে সিলেটে করোনা শনাক্ত হয় ৯৪৭ জনের। আর মৃত্যু হয় ১৭ জনের। চলতি জুন মাসের প্রথম ২৪ দিনে সিলেটে আরও ২ হাজার ৬৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। মৃত্যু হয় ৪৩ জনের। আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ৩ হাজার ৬৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৬০ জনের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শারীরিক দূরত্ব অমান্য করা, ব্যাংক ও রাস্তাঘাটে ভিড় করা, ঠিলেঢালাভাবে লকডাউন বাস্তবায়নের কারণে পুরো সিলেট বিভাগে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, সিলেটে জুন মাসে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে আমরা বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি। কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা শুরুও হয়েছে।
তিনি জানান, সিলেট বিভাগের চার জেলায় এখন পর্যন্ত ৮১৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন।