ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালন করেছে দূতাবাস রোম পর্তুগাল জাসাসের আলিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা করেছে সম্মিলিত নাগরিক কমিটি ভেনিস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনফালকনে গরিঝিয়া শাখা ইতালির আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রোমে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী যুবদল গঠন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রবাসীদের নিয়ে পঞ্চগ্রাম প্রবাসী উন্নয়ন ফোরামের ৭৭ বিশিষ্ট কমিটি গঠন সুয়েব এবং রুবিয়াত আফরিনা ১৮তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করেছেন অ্যামাজন জঙ্গলে কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার

সিলেট বিভাগে জুনে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করোনা ভাইরাস

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০২০
  • / ৪৩৩ টাইম ভিউ

সিলেট বিভাগে চলতি জুন মাসে এসে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে মহামারি করোনা ভাইরাস। প্রতিদিনই শতাধিক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হচ্ছে। বাড়ছে মৃত্যুও। গত ২৪ দিনে সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মঈন উদ্দিনের করোনা শনাক্ত হয়। ১৫ এপ্রিল ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ডা. মঈন সিলেট বিভাগের প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী। গত ৭ এপ্রিল থেকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। তখন থেকেই ওই ল্যাবে প্রতিদিন সিলেটের কয়েকজনের করোনা শনাক্ত হতে শুরু হয়। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে মৃত্যুও। তবে চলতি জুন মাসে এসে সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাস ভয়ঙ্কর রূপ নিতে থাকে। মৃত্যুও বাড়ে আশঙ্কাজনক হারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ৫ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৫৭ দিনে সিলেটে করোনা শনাক্ত হয় ৯৪৭ জনের। আর মৃত্যু হয় ১৭ জনের। চলতি জুন মাসের প্রথম ২৪ দিনে সিলেটে আরও ২ হাজার ৬৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। মৃত্যু হয় ৪৩ জনের। আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ৩ হাজার ৬৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৬০ জনের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শারীরিক দূরত্ব অমান্য করা, ব্যাংক ও রাস্তাঘাটে ভিড় করা, ঠিলেঢালাভাবে লকডাউন বাস্তবায়নের কারণে পুরো সিলেট বিভাগে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, সিলেটে জুন মাসে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে আমরা বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি। কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা শুরুও হয়েছে।
তিনি জানান, সিলেট বিভাগের চার জেলায় এখন পর্যন্ত ৮১৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন।

পোস্ট শেয়ার করুন

সিলেট বিভাগে জুনে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করোনা ভাইরাস

আপডেটের সময় : ০৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০২০

সিলেট বিভাগে চলতি জুন মাসে এসে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে মহামারি করোনা ভাইরাস। প্রতিদিনই শতাধিক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হচ্ছে। বাড়ছে মৃত্যুও। গত ২৪ দিনে সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মঈন উদ্দিনের করোনা শনাক্ত হয়। ১৫ এপ্রিল ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ডা. মঈন সিলেট বিভাগের প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী। গত ৭ এপ্রিল থেকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। তখন থেকেই ওই ল্যাবে প্রতিদিন সিলেটের কয়েকজনের করোনা শনাক্ত হতে শুরু হয়। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে মৃত্যুও। তবে চলতি জুন মাসে এসে সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাস ভয়ঙ্কর রূপ নিতে থাকে। মৃত্যুও বাড়ে আশঙ্কাজনক হারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ৫ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৫৭ দিনে সিলেটে করোনা শনাক্ত হয় ৯৪৭ জনের। আর মৃত্যু হয় ১৭ জনের। চলতি জুন মাসের প্রথম ২৪ দিনে সিলেটে আরও ২ হাজার ৬৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। মৃত্যু হয় ৪৩ জনের। আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ৩ হাজার ৬৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৬০ জনের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শারীরিক দূরত্ব অমান্য করা, ব্যাংক ও রাস্তাঘাটে ভিড় করা, ঠিলেঢালাভাবে লকডাউন বাস্তবায়নের কারণে পুরো সিলেট বিভাগে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, সিলেটে জুন মাসে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে আমরা বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি। কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা শুরুও হয়েছে।
তিনি জানান, সিলেট বিভাগের চার জেলায় এখন পর্যন্ত ৮১৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন।