দেশদিগন্ত ডেস্ক: পাশ্চাত্যের আদলে বাংলাদেশের এই প্রথম সিলেট নগরীতে হত দরিদ্রদের খাদ্য ও বস্ত্রের যোগানে যাত্রা শুরু করলো ‘মানবতার ঘর,। খাদ্য ও বস্ত্র নিয়ে কারো বাসায় নয়, রাখা থাকবে একটি ছোট্র ঘরে। এখানে রাখা খাদ্য ও কাপড় নিজ দায়িত্বে নিয়ে যেতে পারবে যেকোনো হত দরিদ্র লোক। এমনি এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা) সিলেট বিভাগীয় শাখা।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বাদ আসর এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। সিলেটের প্রথম মুসলমান হযরত গাজী বুরহান উদ্দিন এর স্মৃতি বিজড়িত ২৪ নং ওয়ার্ডের হাজী হালু মাঝি জামে মসজিদের সম্মুখে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। মসজিদের পাশে ষ্টীল দিয়ে নির্মাণ করা একটি ঘরে খাদ্য সামগ্রী রাখা থাকবে একপাশে। অন্যপাশে রাখা থাকবে বিভিন্ন ধরণের কাপড়।
ব্যতিক্রমী এ ধরণের কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, দোয়ার মাধ্যমে শুরু করা হয়। ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি (গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা) সিলেট বিভাগীয় শাখার সভাপতি মো. জুম্মানের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলামের পরিচালনায়, এতে দোয়া পরিচালনা করেন হাজী হালু মাঝি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মোঃ সিরাজ উদ্দিন আনসারি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, হাজী হালু মাঝি জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লি ফারুক আহমদ মটু, পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মো. শফিক মিয়া, সহকারি মোতাওয়াল্লি নিজাম মিয়া, পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, কোষাদক্ষ হোসেন আহমদ, প্রবীণ মুরব্বী গিয়াস উদ্দিন, সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক জুনেদ আহমদ চৌধুরী, সুরমা সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাসুম আহমদ।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখানে রাখা থাকবে একেকটি খাদ্যের প্যাকেটে ২ কেজি চাল, আধা কেজি ডাল, আধা কেজি পেয়াজ, আধা লিটার তেল, এক কেজি লবন ও ২ কেজি আলু। খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি রাখা থাকবে বিভিন্ন ধরণের কাপড়। যেকোন হত দরিদ্ররা নিয়ে যেতে পারবে ষ্টীলের তৈরী এই ঘর থেকে।
আপাতত: ২৪ নং ওয়ার্ডে এই কার্যক্রম শুরু করা হলেও পর্যায়ক্রমে সিলেট নগরীর সকল ওয়ার্ডে এটি চালু করা হবে।
deshdiganto.com © 2019 কপিরাইট এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত
design and development by : http://webnewsdesign.com