সিলেটে এখনো পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ
- আপডেটের সময় : ০১:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০১৭
- / ১৩০৫ টাইম ভিউ
সিলেটের প্রধান দু’নদী সুরমা ও কুশিয়ারাসহ অন্যান্য শাখা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বেশির ভাগ নিচু এলাকা এখনো পানির নিচে রয়েছে। এসব এলাকার এক লাখের বেশি মানুষ এখনো পানিবন্দি।সুরমা ও কুশিয়ারার পানি কমলেও এখনো তা বিপদসীমার ওপর দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। কানাইঘাটে সুরমা বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার, শেওলায় কুশিয়ারা বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার, আমলসীদে কুশিয়ারা বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার, শেরপুরে কুশিয়ারা ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে বৃষ্টিপাত হলে নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে যেতে পারে বলেও জানিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড।বন্যায় সিলেটের ১১টি উপজেলায় ২২৬ কিলোমিটার রাস্তা তলিয়ে গেছে। এসব রাস্তার বিভিন্ন জায়গা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া বন্যায় বিভিন্ন গ্রামের রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে দুর্গত এলাকার মানুষদের।বন্যা আক্রান্ত এলাকায় পানিবাহিত ডায়রিয়া ও চর্মরোগ ছড়িয়ে পড়েছে। পাঠদানও বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে ৬৮টি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩২টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী বলেন, কুশিয়ারা কালনী খনন প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়ন না হলে প্রতি বছর বন্যার কবলে পড়বে সিলেটের বেশ ক’টি উপজেলার মানুষ। এসময় তিনি ফের এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর জোর দেয়ার কথা উল্লেখ করেন। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত শুক্রবার ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলার বন্যা দুর্গত লোকজনের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। তবে এ ত্রাণ বিতরণ নিয়ে অনেকের অনুযোগ-অভিযোগও রয়েছে।