ঢাকা , শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

সরকারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে শহীদ দিবস পালিত

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ১০৮৭ টাইম ভিউ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ মহান একুশে ফেব্রুয়ারি,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস। দিবসটি উপলক্ষে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সবুজের সমারোহে ঘেরা নিভৃত পল্লীর,মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিবেদিত প্রাণ ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত স্নেহভাজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ শমশের আলীর স্মৃতিবিজড়িত শমশের নগরে যথাযথ মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে সদ্য জাতীয়করণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনকৃত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ,র্যালি, রচনা প্রতিযোগীতা,আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

একুশের প্রথম প্রহরে কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সুযোগ্য অধ্যক্ষ মোঃ সফিকুল ইসলাম,পরে তিনি শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে আরেকবার শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।অধ্যক্ষ মহোদয়ের পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে নিয়ে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মোঃ রবিউল ইসলাম,কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে বি. এম মেহেদী হাসানসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।

সকালে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়।র্যালিটি এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা ছাড়াও ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারীরা র্যালিতে অংশ নেন।সবার কন্ঠে ছিল একই সুর ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’……..

পরে মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে কলেজ অডিটরিয়ামে এক রচনা প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারি বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জনাব ডাঃ রাশেদ শমশের।

অধ্যক্ষ মোঃ সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ রাশেদ শমশের বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকেরা যখন অন্যায়ভাবে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাঙালির ওপরে চাপিয়ে দিতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সারা পূর্ব বাংলা ফুঁসে উঠেছিল প্রতিবাদে, বিক্ষোভে। ১৯৫২ সালে সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল করে এগিয়ে যেতে থাকলে তাঁদের ওপর গুলি চালানো হয়। সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জব্বারসহ অনেকে নিহত হন। আজ সেই বীর শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করতে রাজধানীসহ সারা দেশের শহীদ মিনারে প্রভাতফেরি নিয়ে যাবেন আবালবৃদ্ধবনিতা। কণ্ঠে থাকবে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি…।’

সমাপনী বক্তব্যে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সুযোগ্য অধ্যক্ষ জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম ডাবলু বলেন,বঙ্গবন্ধু পরাধীন বাঙালি জাতিকে কাঙ্খিত স্বাধীনতা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েই ক্ষান্ত হননি, বাঙালি জাতির জন্য সংবিধান রচনা করে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা এই পাঁচটি মৌলিক অধিকার সংবিধানে নিশ্চিত করে গেছেন।তিনি বলেন, বাঙালি জাতির জীবনে আজ এক গৌরবোজ্জ্বল দিন—মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আজ থেকে ৬৮ বছর আগে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করার অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন বাংলা মায়ের অকুতোভয় সন্তানেরা। এই অনন্য ইতিহাসকে স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেসকো ১৯৯৯ সালে দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে বাঙালির আত্ম-অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের দিনটি সারা বিশ্বেই পালিত হয়ে আসছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক রবিউল ইসলাম, বাংলা বিভাগের প্রভাষক গৌরাঙ্গ কুমার বিশ্বাস, দর্শন বিভাগের প্রভাষক এম. এ মারুফ,ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক মোঃ শফিকুল ইসলাম, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক গোকুল কুমার বিশ্বাস,ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক জিয়াউর রহমান,অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক আব্দুল আলিম ও জীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মুনজুমান আরা বেগমসহ কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ও এলাকাবাসী।

সমাপনী বক্তব্যে শেষে সকল শহীদদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনায় এক বিশেষ মোনাজাত ও সকলের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

পোস্ট শেয়ার করুন

সরকারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে শহীদ দিবস পালিত

আপডেটের সময় : ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ মহান একুশে ফেব্রুয়ারি,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস। দিবসটি উপলক্ষে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সবুজের সমারোহে ঘেরা নিভৃত পল্লীর,মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিবেদিত প্রাণ ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত স্নেহভাজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ শমশের আলীর স্মৃতিবিজড়িত শমশের নগরে যথাযথ মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে সদ্য জাতীয়করণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনকৃত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ,র্যালি, রচনা প্রতিযোগীতা,আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

একুশের প্রথম প্রহরে কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সুযোগ্য অধ্যক্ষ মোঃ সফিকুল ইসলাম,পরে তিনি শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে আরেকবার শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।অধ্যক্ষ মহোদয়ের পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে নিয়ে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মোঃ রবিউল ইসলাম,কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে বি. এম মেহেদী হাসানসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।

সকালে কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়।র্যালিটি এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা ছাড়াও ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারীরা র্যালিতে অংশ নেন।সবার কন্ঠে ছিল একই সুর ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’……..

পরে মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে কলেজ অডিটরিয়ামে এক রচনা প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারি বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জনাব ডাঃ রাশেদ শমশের।

অধ্যক্ষ মোঃ সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ রাশেদ শমশের বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকেরা যখন অন্যায়ভাবে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাঙালির ওপরে চাপিয়ে দিতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সারা পূর্ব বাংলা ফুঁসে উঠেছিল প্রতিবাদে, বিক্ষোভে। ১৯৫২ সালে সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল করে এগিয়ে যেতে থাকলে তাঁদের ওপর গুলি চালানো হয়। সালাম, বরকত, রফিক, শফিক, জব্বারসহ অনেকে নিহত হন। আজ সেই বীর শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করতে রাজধানীসহ সারা দেশের শহীদ মিনারে প্রভাতফেরি নিয়ে যাবেন আবালবৃদ্ধবনিতা। কণ্ঠে থাকবে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি…।’

সমাপনী বক্তব্যে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সুযোগ্য অধ্যক্ষ জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম ডাবলু বলেন,বঙ্গবন্ধু পরাধীন বাঙালি জাতিকে কাঙ্খিত স্বাধীনতা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েই ক্ষান্ত হননি, বাঙালি জাতির জন্য সংবিধান রচনা করে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা এই পাঁচটি মৌলিক অধিকার সংবিধানে নিশ্চিত করে গেছেন।তিনি বলেন, বাঙালি জাতির জীবনে আজ এক গৌরবোজ্জ্বল দিন—মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আজ থেকে ৬৮ বছর আগে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করার অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন বাংলা মায়ের অকুতোভয় সন্তানেরা। এই অনন্য ইতিহাসকে স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেসকো ১৯৯৯ সালে দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে বাঙালির আত্ম-অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের দিনটি সারা বিশ্বেই পালিত হয়ে আসছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক রবিউল ইসলাম, বাংলা বিভাগের প্রভাষক গৌরাঙ্গ কুমার বিশ্বাস, দর্শন বিভাগের প্রভাষক এম. এ মারুফ,ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক মোঃ শফিকুল ইসলাম, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক গোকুল কুমার বিশ্বাস,ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক জিয়াউর রহমান,অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক আব্দুল আলিম ও জীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মুনজুমান আরা বেগমসহ কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ও এলাকাবাসী।

সমাপনী বক্তব্যে শেষে সকল শহীদদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনায় এক বিশেষ মোনাজাত ও সকলের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।