সম্পদের লোভে মাধবপুরে স্ত্রীকে লুকিয়ে রেখে গুমের মামলা
![](https://deshdiganto.com/wp-content/themes/LatestNews/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেটের সময় : ০৩:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২০
- / ২১৮ টাইম ভিউ
মাধবপুর সংবাদদাতা: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় সম্পদের লোভে স্ত্রীকে লুকিয়ে রেখে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা গুমের মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উদ্ধার হওয়ার পর বুধবার (২৬ আগষ্ট) স্ত্রী হামিদা বেগম বাদী হয়ে স্বামী আওয়াল মিয়া সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কগ -৬ হবিগঞ্জে পাল্টা মামলা দায়ের করেন। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা বেগম বিষয়টি তদন্তের জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাধবপুর থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
জানা যায়, উপজেলার রতনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নাফের ছেলে আব্দুল আউয়াল মিয়া প্রায় ছয় বছর আগে ফরহাদপুর গ্রামের মোছা: হামিদা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে ভয়ভীতি ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আউয়াল মিয়া তার স্ত্রী হামিদা বেগমের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার সম্পদ বিক্রি করে দেন। সর্বশেষ গত বছর হামিদা বেগম তার পাঁচ শতাংশ জমি ছোট ভাইয়ের ছেলে ও স্বামীর নামে দলিল করে দেয়। এসময় সে মৌখিক শর্ত রাখে তার মৃত্যু পর্যন্ত তাকে দেখাশোনা করতে হবে। কিন্তু বিশেষ প্রয়োজনে ছোট ভাইয়ের ছেলের নামের আড়াই শতাংশ জমি বিক্রি করে দেয়। এনিয়ে ভাই ইদ্রিস আলীর সাথে বোন হামিদা বেগমের মনোমালিন্য হয় এবং সালিশ বিচারের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলে। এক পর্যায়ে আব্দুল আউয়াল তার স্ত্রীকে কৌশলে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা নিয়ে এক বাড়িতে রেখে এসে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও পূর্ব থেকে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসা তার মামার বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা গুমের মামলা দায়ের করে। পরে হবিগঞ্জ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কগ- ৬ তদন্তের জন্য মামলাটি সি আই ডি হবিগঞ্জ কে নির্দেশ প্রদান করে। এব্যাপারে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, এরকম একটি মামলা হয়েছিল বছরখানেক আগে, যা তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ প্রদান করছেন আদালত। পাল্টা মামলা বা আদালতের কোন নির্দেশ এখনো হাতে পাইনি। আদালতের নির্দেশ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।