ঢাকা , রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া

সব প্রতিষ্ঠানেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাই

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেটের সময় : ০৬:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ২৯৭ টাইম ভিউ

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: ডাকসু শুধু নয়, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান অতি আবশ্যক। তবে সূর্য ওঠার আগে অন্ধকার কেটে যাওয়ার যেমন নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না, তেমনি তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত  ডাকসু নির্বাচন নিয়েও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন, এর আগেও একাধিক বিশ্বববিদ্যালয়ের ভিসি এ ধরনের ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু পরে আর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। অতএব তফসিল ঘোষণা না হলে এ ধরনের বক্তব্যে খুব বেশি আস্থা রাখা যায় না।
আমাদের সময়ে ডাকসু ছিল। ছাত্ররা ভোট দিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করত। সেই ছাত্র সংসদ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা, গবেষণা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পরিবেশ সৃষ্টি ও রক্ষায় যেমন ভূমিকা রাখত, তেমনি জাতীয় পরিসরেও জনগণের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার থাকত। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা মননশীল হিসেবে গড়ে ওঠার চর্চার ভেতরে থাকত। দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংসদ না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিবেশও আগের মতো নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের রাজনীতির প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। শিক্ষকরা রাজনীতি করেন নিজেদের সংকীর্ণ সুবিধা আদায়ের জন্য, নানা পদ পাওয়ার জন্য। অনেক ভিসির কার্যক্রমেও শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়বদ্ধতার পরিবর্তে দলের প্রতি দাসত্ব দেখা যায়। এ মানসিকতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মুক্ত করার জন্য ছাত্র সংসদ খুবই দরকার। প্রকৃতপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে জরুরি প্রয়োজন হচ্ছে ছাত্র রাজনীতির চর্চা। ছাত্ররা রাজনীতিসচেতন হলে বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় পর্যায়ে অনেক কিছুরই গুণগত পরিবর্তন সম্ভব। আর ছাত্রদের রাজনৈতিক চর্চার প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে ছাত্র সংসদ। আগামী দিনের জন্য জাতির যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির মূল কেন্দ্রই হচ্ছে ছাত্র সংসদ।
দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে বহু বছর ধরে সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না। কারা, কী কারণে এবং কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ চায় না, তা নিয়ে নতুন করে আলোচনার দরকার নেই। এখন জরুরি হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করা। শুধু ছাত্র সংসদ নির্বাচন করলেই হবে না, প্রকৃত ছাত্ররা যেন নির্ভয়ে, নিজেদের পছন্দমতো ভোট দিতে পারে, তার ব্যবস্থাও করতে হবে।  শেষে একটি কথা জোর দিয়ে বলতে চাই যে অধিকার কেউ এমনিতেই দেয় না, আদায় করে নিতে হয়। নির্বাচিত ছাত্র সংসদও ছাত্রদেরই আদায় করে নিতে হবে।

পোস্ট শেয়ার করুন

সব প্রতিষ্ঠানেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাই

আপডেটের সময় : ০৬:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৯

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্ক: ডাকসু শুধু নয়, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান অতি আবশ্যক। তবে সূর্য ওঠার আগে অন্ধকার কেটে যাওয়ার যেমন নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না, তেমনি তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত  ডাকসু নির্বাচন নিয়েও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন, এর আগেও একাধিক বিশ্বববিদ্যালয়ের ভিসি এ ধরনের ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু পরে আর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। অতএব তফসিল ঘোষণা না হলে এ ধরনের বক্তব্যে খুব বেশি আস্থা রাখা যায় না।
আমাদের সময়ে ডাকসু ছিল। ছাত্ররা ভোট দিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করত। সেই ছাত্র সংসদ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা, গবেষণা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পরিবেশ সৃষ্টি ও রক্ষায় যেমন ভূমিকা রাখত, তেমনি জাতীয় পরিসরেও জনগণের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার থাকত। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা মননশীল হিসেবে গড়ে ওঠার চর্চার ভেতরে থাকত। দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংসদ না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিবেশও আগের মতো নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের রাজনীতির প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। শিক্ষকরা রাজনীতি করেন নিজেদের সংকীর্ণ সুবিধা আদায়ের জন্য, নানা পদ পাওয়ার জন্য। অনেক ভিসির কার্যক্রমেও শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের প্রতি দায়বদ্ধতার পরিবর্তে দলের প্রতি দাসত্ব দেখা যায়। এ মানসিকতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মুক্ত করার জন্য ছাত্র সংসদ খুবই দরকার। প্রকৃতপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে জরুরি প্রয়োজন হচ্ছে ছাত্র রাজনীতির চর্চা। ছাত্ররা রাজনীতিসচেতন হলে বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় পর্যায়ে অনেক কিছুরই গুণগত পরিবর্তন সম্ভব। আর ছাত্রদের রাজনৈতিক চর্চার প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে ছাত্র সংসদ। আগামী দিনের জন্য জাতির যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির মূল কেন্দ্রই হচ্ছে ছাত্র সংসদ।
দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে বহু বছর ধরে সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না। কারা, কী কারণে এবং কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ চায় না, তা নিয়ে নতুন করে আলোচনার দরকার নেই। এখন জরুরি হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করা। শুধু ছাত্র সংসদ নির্বাচন করলেই হবে না, প্রকৃত ছাত্ররা যেন নির্ভয়ে, নিজেদের পছন্দমতো ভোট দিতে পারে, তার ব্যবস্থাও করতে হবে।  শেষে একটি কথা জোর দিয়ে বলতে চাই যে অধিকার কেউ এমনিতেই দেয় না, আদায় করে নিতে হয়। নির্বাচিত ছাত্র সংসদও ছাত্রদেরই আদায় করে নিতে হবে।