ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

সবচেয়ে দ্রুত গতিসম্পন্ন ট্রেন এসে পৌঁছেছে দেশে

দেশদিগন্ত নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেটের সময় : ১১:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ১২০৭ টাইম ভিউ

১৪ ফেব্রুয়ারি- ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা লাল-সবুজ রঙের নতুন রেল কোচগুলোর প্রথম চালান সৈয়দপুরে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানায় পৌঁছেছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গত সপ্তাহে আমদানিকৃত কোচের ১৫টি রেলওয়ে কারখানায় পৌঁছায়। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় যান্ত্রিক নিরীক্ষণ। আর মঙ্গলবার থেকে এসব কোচ নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রেলের পশ্চিমাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহীদুল ইসলাম ও প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী মৃনাল কান্তি বণিক কোচগুলো পরিদর্শন করেছেন।সূত্র জানায়, ব্রডগেজ (বড়) লাইনের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে ৫০টি কোচ আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার। অত্যাধুনিক এসব কোচ নির্মাণ করছে সে দেশের রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন রেলওয়ে ক্যারেজ (কোচ) নির্মাণ প্রতিষ্ঠান পিটি ইন্ডাস্ট্রি কেরেতা এপি (ইনকা)। ওই প্রতিষ্ঠানে মিটার গেজ (ছোট) লাইনের জন্যও আরো ২০০টি কোচ নির্মাণ করা হচ্ছে।

ব্রডগেজ লাইনের জন্য ৫০টি কোচ আমদানিতে ব্যয় হয় ২১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৫টি কোচ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আনা হয়। কোচগুলো অত্যন্ত দ্রুত গতিসম্পন্ন, আধুনিক ও এর আসনগুলো খুব আরামদায়ক। ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার চলতে সক্ষম এগুলো। বলা হচ্ছে এর আগে এত দ্রুত গতির ট্রেন বাংলাদেশে চলেনি।এছাড়া বিমানের মতো বায়োটয়লেট সংযোজন করা হয়েছে এসব কোচে। এতে চলন্ত ট্রেন থেকে নিচে পড়বে না মানববর্জ্য। ফলে ট্রেনটি হবে পরিবেশবান্ধব।

এসব কোচের খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ এবং তদারকি করতে এরই মধ্যে ইন্দোনেশীয় ১১ জন বিশেষজ্ঞ এসেছেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার শ্রমিক প্রকৌশলীরা কোচগুলোর হাইড্রলিক ব্রেক ও যান্ত্রিক রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন।মার্চ মাসে ওই কোচগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চালানো শুরু হবে। এর মাঝে বাকি কোচগুলো আনা হবে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। যাবতীয় নিরীক্ষণ শেষে এ কোচগুলো দিয়ে চালানো হবে আন্তঃনগর ট্রেন।

তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ

পোস্ট শেয়ার করুন

সবচেয়ে দ্রুত গতিসম্পন্ন ট্রেন এসে পৌঁছেছে দেশে

আপডেটের সময় : ১১:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

১৪ ফেব্রুয়ারি- ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা লাল-সবুজ রঙের নতুন রেল কোচগুলোর প্রথম চালান সৈয়দপুরে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানায় পৌঁছেছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গত সপ্তাহে আমদানিকৃত কোচের ১৫টি রেলওয়ে কারখানায় পৌঁছায়। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় যান্ত্রিক নিরীক্ষণ। আর মঙ্গলবার থেকে এসব কোচ নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রেলের পশ্চিমাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহীদুল ইসলাম ও প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী মৃনাল কান্তি বণিক কোচগুলো পরিদর্শন করেছেন।সূত্র জানায়, ব্রডগেজ (বড়) লাইনের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে ৫০টি কোচ আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার। অত্যাধুনিক এসব কোচ নির্মাণ করছে সে দেশের রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন রেলওয়ে ক্যারেজ (কোচ) নির্মাণ প্রতিষ্ঠান পিটি ইন্ডাস্ট্রি কেরেতা এপি (ইনকা)। ওই প্রতিষ্ঠানে মিটার গেজ (ছোট) লাইনের জন্যও আরো ২০০টি কোচ নির্মাণ করা হচ্ছে।

ব্রডগেজ লাইনের জন্য ৫০টি কোচ আমদানিতে ব্যয় হয় ২১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৫টি কোচ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আনা হয়। কোচগুলো অত্যন্ত দ্রুত গতিসম্পন্ন, আধুনিক ও এর আসনগুলো খুব আরামদায়ক। ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার চলতে সক্ষম এগুলো। বলা হচ্ছে এর আগে এত দ্রুত গতির ট্রেন বাংলাদেশে চলেনি।এছাড়া বিমানের মতো বায়োটয়লেট সংযোজন করা হয়েছে এসব কোচে। এতে চলন্ত ট্রেন থেকে নিচে পড়বে না মানববর্জ্য। ফলে ট্রেনটি হবে পরিবেশবান্ধব।

এসব কোচের খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ এবং তদারকি করতে এরই মধ্যে ইন্দোনেশীয় ১১ জন বিশেষজ্ঞ এসেছেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার শ্রমিক প্রকৌশলীরা কোচগুলোর হাইড্রলিক ব্রেক ও যান্ত্রিক রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন।মার্চ মাসে ওই কোচগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চালানো শুরু হবে। এর মাঝে বাকি কোচগুলো আনা হবে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। যাবতীয় নিরীক্ষণ শেষে এ কোচগুলো দিয়ে চালানো হবে আন্তঃনগর ট্রেন।

তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ