ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার আবু জাহেলদের ব্যার্থ গুপ্ত হত্যা পরিকল্পনার মধ্যে দিয়েই যেভাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিজরত জীবনের শুরু হয় তারেক রহমানের উপস্থাপিত ৩১ দফা’র লিফলেট বিতরন করলো পর্তুগাল সেচ্চাসেবক দল ইতালির তরিনোতে জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্রাম্মণবাড়ীয়া জেলা সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হলে আমরা সারা দুনিয়া জ্বালিয়ে দেব,মিলানের সেমিনারে বললেন পিনাকী ভট্রাচার্য পর্তুগাল জাসাস’র নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা

সংসদে প্রধানমন্ত্রীর শাড়ির রঙ নিয়ে আলোচনা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ১০:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ৪৬৩ টাইম ভিউ

সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিধেয় বর্ণিল শাড়ির রঙের সঙ্গে বসন্তের আগমনী বার্তার তুলনা করে সরস আলোচনা করেন কয়েকজন সদস্য। বুধবারের (১২ ফেব্রুয়ারি) সে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নিজেও যোগ দেন। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও টিপ্পনী কাটেন।

প্রশ্নোত্তরের সময় ইস্যুটি উঠলেও তার রেশ ছিল আইন প্রণয়ন কার্যাবলীর সময় পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী বুধবার বর্ণিল (মাল্টি কালার) একটি শাড়ি পরে সংসদে আসেন। ওই শাড়িতে হলুদ রঙেরও ছাপাও ছিল। প্রশ্নোত্তরপর্বে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু সম্পূরক প্রশ্নের সুযোগ নিয়ে মূল প্রশ্নের আগে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, মাননীয় সংসদ নেত্রীকে দেখে আজকে মনে হল যে, বসন্ত খুব শিগগিরই।

এ প্রশ্নের জবাব দিতে উঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্যের জানা উচিত বসন্তের যে রঙ সেটা কিন্তু বাসন্তি রঙ। আমি কিন্তু বাসন্তি রঙ পরিনি। এখানে অনেক রঙ আছে। কালোও আছে। আমার মনে হচ্ছে মাননীয় সংসদ সদস্য কালার ব্লাইন্ড। এটা বাংলা করলে হয় রঙকানা। জানি না আজকে বাড়িতে গিয়ে ওনার কপালে কী আছে। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে সংসদ কক্ষে মৃদু হাসির রোল পড়ে যায়।

পরে আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে বাতিঘর বিল নিয়ে আলোচনার সময় জাতীয় পার্টির সিনিয়র সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম সংশোধনী প্রস্তাব দিতে গিয়ে আবারও এই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, আমার বন্ধু ( মুজিবুল হক চুন্নু) শুধু কালার ব্লাইন্ড নন, প্রতিবন্ধীও। এদিক-ওদিক ঘাড় ঘোরাতে পারেন না। অতদূরে (প্রধানমন্ত্রীকে) বাসন্তী রঙ দেখলো? মাননীয় স্পিকার, আপনার শাড়ির রঙও দেখলো না। সামনেই আমাদের নেত্রী মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রী আছেন তিনিও বাসন্তী রঙের শাড়ি পরেছেন। সেগুলো দেখলো না।

এর আগে বিরোধীদলীয় এই সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, এত কাছ থেকে বাতিঘর দেখিনি। জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার বাতিঘর আমাদের প্রধানমন্ত্রী।

পরে বিএনপির হারুনুর রশীদ জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব উত্থাপনের সময় বলেন, মাননীয় সদস্য ফখরুল ইমাম যেভাবে বললেন…। আমরা কিভাবে উত্থাপিত করবো? তিনি যে সংসদের আলো বা বাতিঘর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিএনপির রুমিন ফারহানা তার প্রস্তাব উত্থাপন করতে গিয়ে বলেন, সংসদের পরিবেশ খুব সুন্দর। আমি কথা বললে কতটুকু সুন্দর থাকবে জানি না। আমি জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।

পোস্ট শেয়ার করুন

সংসদে প্রধানমন্ত্রীর শাড়ির রঙ নিয়ে আলোচনা

আপডেটের সময় : ১০:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০

সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিধেয় বর্ণিল শাড়ির রঙের সঙ্গে বসন্তের আগমনী বার্তার তুলনা করে সরস আলোচনা করেন কয়েকজন সদস্য। বুধবারের (১২ ফেব্রুয়ারি) সে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নিজেও যোগ দেন। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও টিপ্পনী কাটেন।

প্রশ্নোত্তরের সময় ইস্যুটি উঠলেও তার রেশ ছিল আইন প্রণয়ন কার্যাবলীর সময় পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী বুধবার বর্ণিল (মাল্টি কালার) একটি শাড়ি পরে সংসদে আসেন। ওই শাড়িতে হলুদ রঙেরও ছাপাও ছিল। প্রশ্নোত্তরপর্বে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু সম্পূরক প্রশ্নের সুযোগ নিয়ে মূল প্রশ্নের আগে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, মাননীয় সংসদ নেত্রীকে দেখে আজকে মনে হল যে, বসন্ত খুব শিগগিরই।

এ প্রশ্নের জবাব দিতে উঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্যের জানা উচিত বসন্তের যে রঙ সেটা কিন্তু বাসন্তি রঙ। আমি কিন্তু বাসন্তি রঙ পরিনি। এখানে অনেক রঙ আছে। কালোও আছে। আমার মনে হচ্ছে মাননীয় সংসদ সদস্য কালার ব্লাইন্ড। এটা বাংলা করলে হয় রঙকানা। জানি না আজকে বাড়িতে গিয়ে ওনার কপালে কী আছে। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে সংসদ কক্ষে মৃদু হাসির রোল পড়ে যায়।

পরে আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে বাতিঘর বিল নিয়ে আলোচনার সময় জাতীয় পার্টির সিনিয়র সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম সংশোধনী প্রস্তাব দিতে গিয়ে আবারও এই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, আমার বন্ধু ( মুজিবুল হক চুন্নু) শুধু কালার ব্লাইন্ড নন, প্রতিবন্ধীও। এদিক-ওদিক ঘাড় ঘোরাতে পারেন না। অতদূরে (প্রধানমন্ত্রীকে) বাসন্তী রঙ দেখলো? মাননীয় স্পিকার, আপনার শাড়ির রঙও দেখলো না। সামনেই আমাদের নেত্রী মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রী আছেন তিনিও বাসন্তী রঙের শাড়ি পরেছেন। সেগুলো দেখলো না।

এর আগে বিরোধীদলীয় এই সংসদ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, এত কাছ থেকে বাতিঘর দেখিনি। জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার বাতিঘর আমাদের প্রধানমন্ত্রী।

পরে বিএনপির হারুনুর রশীদ জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব উত্থাপনের সময় বলেন, মাননীয় সদস্য ফখরুল ইমাম যেভাবে বললেন…। আমরা কিভাবে উত্থাপিত করবো? তিনি যে সংসদের আলো বা বাতিঘর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিএনপির রুমিন ফারহানা তার প্রস্তাব উত্থাপন করতে গিয়ে বলেন, সংসদের পরিবেশ খুব সুন্দর। আমি কথা বললে কতটুকু সুন্দর থাকবে জানি না। আমি জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।