ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার আবু জাহেলদের ব্যার্থ গুপ্ত হত্যা পরিকল্পনার মধ্যে দিয়েই যেভাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিজরত জীবনের শুরু হয় তারেক রহমানের উপস্থাপিত ৩১ দফা’র লিফলেট বিতরন করলো পর্তুগাল সেচ্চাসেবক দল ইতালির তরিনোতে জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্রাম্মণবাড়ীয়া জেলা সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হলে আমরা সারা দুনিয়া জ্বালিয়ে দেব,মিলানের সেমিনারে বললেন পিনাকী ভট্রাচার্য পর্তুগাল জাসাস’র নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা

শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের অবস্থান ধর্মঘট: প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
  • আপডেটের সময় : ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০
  • / ৩৫০ টাইম ভিউ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান ধর্মঘটসহ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন চা-শ্রমিকরা। আজ  ৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন চা বাগান হতে চা-শ্রমিকরা দলে দলে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরে চৌমুহনা চত্ত্বরে অবস্থান নেয়। এসময় শ্রমিকদের পক্ষে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করে অবস্থান ধর্মঘটে ঘন্টাব্যাপী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। এতে চা শ্রমিকদের দৈনিক মুজুরী ১০২ টাকা হতে ২৬০ টাকায় উন্নীতকরণ ও ২ মাসের মুজুরীর সমান বোনাস প্রদানের দাবিসহ চা শ্রমিকদের অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিয়ে মালিকপক্ষের সাথে নতুন চুক্তি সম্পাদন ও বাস্তবায়নের লক্ষে বক্তব্য রাখেন তারা। পরে একটি দীর্ঘ বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মিলিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে চা শ্রমিকরা বলেন- আমরা শ্রমিকরা সব সময়ই অবহেলিত। আমরা যে মজুরী পাই, তা দিয়ে আমাদের পরিবারের খরচ চালানো সম্ভব হয়না। এছাড়া বাজারে যেভাবে দ্রব্যমূল্য হু-হু করে বাড়ছে, সে হারে আমাদের চা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি হচ্ছে না। আমরা এক বেলা খেলে আরেক বেলা ভাল করে খেতে পারি না।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালীর সভাপতি বিজয় হাজরা জানান, আমরা আমাদের ন্যায্য মজুরীর দাবিতে চা বাগান মালিক পক্ষের সাথে বারবার আলোচনায় বসেছি। কিন্তু মালিক পক্ষ তা আমলে না নিয়ে কালক্ষেপন করে আমাদের ন্যায্য অধিকার হতে বঞ্চিত করছে। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য গত ৬ অক্টোবর হতে আন্দোলনে নেমেছি। দুর্গা পূজার আগে যদি মালিকপক্ষ আমাদের সাথে নতুন চুক্তি সম্পাদন না করে, তাহলে সারাদেশে আমাদের আন্দোলন কঠোরভাবে চলছে এবং চলবে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী বলেন- ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে আমাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও অদ্যাবদি ২৩ মাস অতিক্রম করার পরও মালিকপক্ষ আমাদের সাথে নতুন চুক্তি সম্পাদন করছে না। মালিকপক্ষ আমাদের দাবি পূরণ না করে, তাহলে দেশের সকল চা বাগানে শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করবে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে চা বাগান মালিক পক্ষের হয়ে বাংলাদেশীয় চা সংসদ সিলেট শাখার সভাপতি গোলাম শিবলী জানান, দেশের চলমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে আমরা শ্রমিক নেতাদের সাথে আলোচনা করে বিষয় বিবেচনা করে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরী ১০২ টাকা হতে ১১০ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব দেওয়া হলে তারা এই প্রস্তাব গ্রহন করেন নি।

পোস্ট শেয়ার করুন

শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের অবস্থান ধর্মঘট: প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান

আপডেটের সময় : ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০২০

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান ধর্মঘটসহ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন চা-শ্রমিকরা। আজ  ৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন চা বাগান হতে চা-শ্রমিকরা দলে দলে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরে চৌমুহনা চত্ত্বরে অবস্থান নেয়। এসময় শ্রমিকদের পক্ষে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করে অবস্থান ধর্মঘটে ঘন্টাব্যাপী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। এতে চা শ্রমিকদের দৈনিক মুজুরী ১০২ টাকা হতে ২৬০ টাকায় উন্নীতকরণ ও ২ মাসের মুজুরীর সমান বোনাস প্রদানের দাবিসহ চা শ্রমিকদের অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিয়ে মালিকপক্ষের সাথে নতুন চুক্তি সম্পাদন ও বাস্তবায়নের লক্ষে বক্তব্য রাখেন তারা। পরে একটি দীর্ঘ বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মিলিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে চা শ্রমিকরা বলেন- আমরা শ্রমিকরা সব সময়ই অবহেলিত। আমরা যে মজুরী পাই, তা দিয়ে আমাদের পরিবারের খরচ চালানো সম্ভব হয়না। এছাড়া বাজারে যেভাবে দ্রব্যমূল্য হু-হু করে বাড়ছে, সে হারে আমাদের চা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি হচ্ছে না। আমরা এক বেলা খেলে আরেক বেলা ভাল করে খেতে পারি না।
চা শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালীর সভাপতি বিজয় হাজরা জানান, আমরা আমাদের ন্যায্য মজুরীর দাবিতে চা বাগান মালিক পক্ষের সাথে বারবার আলোচনায় বসেছি। কিন্তু মালিক পক্ষ তা আমলে না নিয়ে কালক্ষেপন করে আমাদের ন্যায্য অধিকার হতে বঞ্চিত করছে। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য গত ৬ অক্টোবর হতে আন্দোলনে নেমেছি। দুর্গা পূজার আগে যদি মালিকপক্ষ আমাদের সাথে নতুন চুক্তি সম্পাদন না করে, তাহলে সারাদেশে আমাদের আন্দোলন কঠোরভাবে চলছে এবং চলবে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী বলেন- ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে আমাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও অদ্যাবদি ২৩ মাস অতিক্রম করার পরও মালিকপক্ষ আমাদের সাথে নতুন চুক্তি সম্পাদন করছে না। মালিকপক্ষ আমাদের দাবি পূরণ না করে, তাহলে দেশের সকল চা বাগানে শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করবে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে চা বাগান মালিক পক্ষের হয়ে বাংলাদেশীয় চা সংসদ সিলেট শাখার সভাপতি গোলাম শিবলী জানান, দেশের চলমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে আমরা শ্রমিক নেতাদের সাথে আলোচনা করে বিষয় বিবেচনা করে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরী ১০২ টাকা হতে ১১০ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব দেওয়া হলে তারা এই প্রস্তাব গ্রহন করেন নি।