ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনে হত্যার প্রতিবাদে পর্তুগালে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশী প্রবাসীরা প্রিয়জনদের মানসিক রোগ যদি আপনজন বুঝতে না পারেন আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ যেকোনো প্রচেষ্টা এককভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়: দুদক সচিব শ্রীমঙ্গলে দুটি চোরাই মোটরসাইকেল সহ মিল্টন কুমার আটক পর্তুগালের অভিবাসন আইনে ব্যাপক পরিবর্তন পর্তুগাল বিএনপি আহবায়ক কমিটির জুমে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয় এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যার ঘটনায় আটক তিনজন , এতে বাংলাদেশী মানুষ জড়িত:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকাস্থ ইরান দুতাবাসে রাইসির শোক বইয়ে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষর

শেষের ২০ দিনে সব রেকর্ড ভঙ্গ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জুন ২০২০
  • / ৩৪৮ টাইম ভিউ

দেশে করোনা সংক্রমণের ১০৫ দিন পার হয়েছে। এই সময়ে ক্রমেই বেড়েছে সংক্রমণ। তবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সব রেকর্ড হয়েছে সর্বশেষ ২০ দিনে। গত ঈদ-উল ফিতরের আগে বিশেষজ্ঞরা মানুষের যাতায়াতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তারা এও বলেছিলেন, এটি না করলে ঈদের পর পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। পরিস্থিতি এখন অনেকটা তাই হয়েছে। সংক্রমণ শুরুর ১০৩ দিনের মাথায় দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত এক লাখ ছাড়ায়। প্রকোপ শুরুর পর প্রথম ৫০ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৮৭ দিনের মাথায় এরপর তা এক লাখে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ১৬ দিন।

গত ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর মধ্যে রাজধানী ঢাকাতে ৬১ হাজারের ওপরে আক্রান্ত। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরো ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ২৪০ জন। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৭৭৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪২৫ জনের।

ঈদের পর ২৬শে মে থেকে দ্রত গতিতে বাড়তে থাকতে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। ২৬ শে মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ি আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয় ১১৬৬ জন, মারা যান ২১ জন, পরের দিন ২৭শে জুন শনাক্ত হয় ১৫৪১ জন, মৃত্যু হয় ২২ জনের। ২৮শে মে নতুন রোগী শনাক্ত হয় ২০২৯ জন, মারা যান ১৫ জন, ২৯শে মে রোগী শনাক্ত হয় ২৫২৩ জন, মৃত্যু হয় ২৩ জনের। ৩০শে মে ১৭৬৪ জন রোগী শনাক্ত হয়, মৃত্যু হয় ২৮ জনের। ৩১শে মে ২৫৪৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়, মারা যান ৪০ জন। ১লা মে ২৩৮১ জন রোগী শনাক্ত হয়, মারা যান ২২ জন, ২রা জুন, নতুন রোগী শনাক্ত হয় ২৯১১ জন এবং ৩৭ জনের মৃত্যু হয়। ৩রা জুন ২৬৯৫ রোগী শনাক্ত হয়, ৩৭ জন মারা যান, ১০ই জুন ৩১৯০ জন রোগী শনাক্ত হয় ৩৭ জন মৃত্যুবরণ করেন, ১১ই জুন ৩১৮৭ জন রোগী শনাক্ত হয় মারা যান ৩৭ জন। ১৪ই জুন রোগী শনাক্ত ৪ হাজার ছাড়ায়। এদিন রোগী শনাক্ত হয় ৪০৩৯ জন। ১৬ই জুন এক দিনে সর্বোচ্চ ৫৩ জনের মৃত্যু হয়। এদিকে মৃত্যু ও আক্রান্ত বাড়ায় এশিয়ায় তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। বিশ্বে এখন বাংলাদেশের অবস্থান ১৭ তম।
বাংলাদেশে যেভাবে বাড়ছে আক্রান্তের হার: মার্চে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর প্রথম কয়েকদিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক অঙ্কের ঘরে। তখন টেস্টের হারও ছিল বেশ কম। পরে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শনাক্তের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়তে থাকে।

প্রথম রোগী শনাক্তের একমাসের মাথায় গত ৯ই এপ্রিল একদিনে শতাধিক ব্যক্তি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। এরও প্রায় একমাস পর গত ১১ই মে একদিনে শনাক্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়ায়। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়ায় গত ২রা জুন। আগামী দিনগুলোতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এবং এভাবেই বাংলাদেশ করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিখরে পৌঁছাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক বেনজির আহমেদ বলেন, জুন মাসের শুরু থেকেই গ্রাফটা সোজা ওপরে উঠছে। এটা সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়তে থাকবে।

বাংলাদেশে পিক টাইম আসবে কবে: যুক্তরাজ্যে করোনা সংক্রমণের পিক টাইম স্থায়ী ছিল প্রায় ৪২ দিন। ইউরোপের আরেক দেশ ইতালিতে পিক টাইম স্থায়ী হয়েছিল আরও কম। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন দ্রুত গতিতে বেড়েছে, তেমনি দ্রুত কমেও গেছে। ইতালিতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছে ধীরে ধীরে নেমে আসা, এর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে দুই মাসের মধ্যে। তবে বাংলাদেশে প্রথম রোগী শনাক্তের তিন মাস পার হলেও এখনও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। দেশে করোনা সংক্রমণ কবে নাগাদ শিখরে পৌঁছাবে সেটাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ।
সুত্র – মানবজমিন

পোস্ট শেয়ার করুন

শেষের ২০ দিনে সব রেকর্ড ভঙ্গ

আপডেটের সময় : ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জুন ২০২০

দেশে করোনা সংক্রমণের ১০৫ দিন পার হয়েছে। এই সময়ে ক্রমেই বেড়েছে সংক্রমণ। তবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সব রেকর্ড হয়েছে সর্বশেষ ২০ দিনে। গত ঈদ-উল ফিতরের আগে বিশেষজ্ঞরা মানুষের যাতায়াতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তারা এও বলেছিলেন, এটি না করলে ঈদের পর পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। পরিস্থিতি এখন অনেকটা তাই হয়েছে। সংক্রমণ শুরুর ১০৩ দিনের মাথায় দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত এক লাখ ছাড়ায়। প্রকোপ শুরুর পর প্রথম ৫০ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৮৭ দিনের মাথায় এরপর তা এক লাখে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ১৬ দিন।

গত ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর মধ্যে রাজধানী ঢাকাতে ৬১ হাজারের ওপরে আক্রান্ত। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরো ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ২৪০ জন। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৭৭৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৪২৫ জনের।

ঈদের পর ২৬শে মে থেকে দ্রত গতিতে বাড়তে থাকতে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। ২৬ শে মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ি আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয় ১১৬৬ জন, মারা যান ২১ জন, পরের দিন ২৭শে জুন শনাক্ত হয় ১৫৪১ জন, মৃত্যু হয় ২২ জনের। ২৮শে মে নতুন রোগী শনাক্ত হয় ২০২৯ জন, মারা যান ১৫ জন, ২৯শে মে রোগী শনাক্ত হয় ২৫২৩ জন, মৃত্যু হয় ২৩ জনের। ৩০শে মে ১৭৬৪ জন রোগী শনাক্ত হয়, মৃত্যু হয় ২৮ জনের। ৩১শে মে ২৫৪৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়, মারা যান ৪০ জন। ১লা মে ২৩৮১ জন রোগী শনাক্ত হয়, মারা যান ২২ জন, ২রা জুন, নতুন রোগী শনাক্ত হয় ২৯১১ জন এবং ৩৭ জনের মৃত্যু হয়। ৩রা জুন ২৬৯৫ রোগী শনাক্ত হয়, ৩৭ জন মারা যান, ১০ই জুন ৩১৯০ জন রোগী শনাক্ত হয় ৩৭ জন মৃত্যুবরণ করেন, ১১ই জুন ৩১৮৭ জন রোগী শনাক্ত হয় মারা যান ৩৭ জন। ১৪ই জুন রোগী শনাক্ত ৪ হাজার ছাড়ায়। এদিন রোগী শনাক্ত হয় ৪০৩৯ জন। ১৬ই জুন এক দিনে সর্বোচ্চ ৫৩ জনের মৃত্যু হয়। এদিকে মৃত্যু ও আক্রান্ত বাড়ায় এশিয়ায় তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। বিশ্বে এখন বাংলাদেশের অবস্থান ১৭ তম।
বাংলাদেশে যেভাবে বাড়ছে আক্রান্তের হার: মার্চে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর প্রথম কয়েকদিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক অঙ্কের ঘরে। তখন টেস্টের হারও ছিল বেশ কম। পরে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শনাক্তের সংখ্যাও ক্রমশ বাড়তে থাকে।

প্রথম রোগী শনাক্তের একমাসের মাথায় গত ৯ই এপ্রিল একদিনে শতাধিক ব্যক্তি করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। এরও প্রায় একমাস পর গত ১১ই মে একদিনে শনাক্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়ায়। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়ায় গত ২রা জুন। আগামী দিনগুলোতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এবং এভাবেই বাংলাদেশ করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিখরে পৌঁছাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক বেনজির আহমেদ বলেন, জুন মাসের শুরু থেকেই গ্রাফটা সোজা ওপরে উঠছে। এটা সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়তে থাকবে।

বাংলাদেশে পিক টাইম আসবে কবে: যুক্তরাজ্যে করোনা সংক্রমণের পিক টাইম স্থায়ী ছিল প্রায় ৪২ দিন। ইউরোপের আরেক দেশ ইতালিতে পিক টাইম স্থায়ী হয়েছিল আরও কম। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন দ্রুত গতিতে বেড়েছে, তেমনি দ্রুত কমেও গেছে। ইতালিতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছে ধীরে ধীরে নেমে আসা, এর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে দুই মাসের মধ্যে। তবে বাংলাদেশে প্রথম রোগী শনাক্তের তিন মাস পার হলেও এখনও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। দেশে করোনা সংক্রমণ কবে নাগাদ শিখরে পৌঁছাবে সেটাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ।
সুত্র – মানবজমিন