ঢাকা , বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
কুলাউড়া বিএনপির দীর্ঘ যুগ পর কোন্দলের অবসান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার আবু জাহেলদের ব্যার্থ গুপ্ত হত্যা পরিকল্পনার মধ্যে দিয়েই যেভাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হিজরত জীবনের শুরু হয় তারেক রহমানের উপস্থাপিত ৩১ দফা’র লিফলেট বিতরন করলো পর্তুগাল সেচ্চাসেবক দল ইতালির তরিনোতে জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্রাম্মণবাড়ীয়া জেলা সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হলে আমরা সারা দুনিয়া জ্বালিয়ে দেব,মিলানের সেমিনারে বললেন পিনাকী ভট্রাচার্য পর্তুগাল জাসাস’র নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা

শিল্পকলায় মাসব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেটের সময় : ০১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৭
  • / ১২৬২ টাইম ভিউ

বাঙালির প্রাণপ্রিয় নেতার ছবি দেয়াল জুড়ে। অতি পরিচিত কিন্তু একেকজন শিল্পীর চোখে বঙ্গবন্ধু নানামাত্রায় উদ্ভাসিত। কোথাও তাঁর দৃপ্ত ভঙ্গিমা, কোথাও তিনি চিন্তামগ্ন, কোনো কোনো ক্যানভাসে তার অতি পরিচিত ছবিগুলোকেই ক্যানভাসে আঁকা হয়েছে। নির্ভীক, নির্লোভ ব্যক্তিত্বের একজন মানুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ছিলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। ক্যানভাসে সেই ব্যক্তিত্বেরই প্রতিফলন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে গতকাল শুরু হয়েছে ‘শিল্পের আলোয় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী। প্রদর্শনীতে নবীন-প্রবীণ শিল্পীদের ৭৫টি শিল্পকর্ম এবং ৫০টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে।

‘বঙ্গবন্ধুকে আমরা নতুনভাবে জানতে পারছি। বিশেষ করে তার ডায়েরি বের হওয়ার পর তার ভাবনাকে যেমন ধরতে পারছি। তেমনি মানুষ বঙ্গবন্ধুর রূপও প্রকাশ পাচ্ছে। তখন বঙ্গবন্ধুর ছবির প্রদর্শনীও নতুনভাবে হাজির হয়। তাকে নতুন আলোয় দেখার উপলক্ষ পাই।’ বলছিলেন প্রদর্শনী দেখতে আসা বেসরকারি অফিসের চাকরিজীবী ফারজানা হোসেন।

মাসব্যাপী প্রদর্শনী উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে আলোচনা, পাঠ ও পর্যালোচনা ও নাট্যালেখ্যর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান, মঞ্চসারথী আতাউর রহমান, কবি নির্মলেন্দু গুণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য নাসরিন আহমাদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

উদ্বোধনী আলোচনা শেষে শিল্পকলা একাডেমি ও পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ‘আমাদের শিল্পযাত্রা’ শিরোনামে বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত গ্রন্থাবলীর পাঠ ও পর্যালোচনা এবং শিল্প নির্মাণ কর্মসূচির সূচনা করা হয়।

সাংস্কৃতিক পর্বে ‘দুখিনী বাংলা, জননী বাংলা’ গানের সঙ্গে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পকলা একাডেমি রেপার্টরী নৃত্যদল। কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ এবং একক আবৃত্তি করেন ডালিয়া আহমেদ ও জয়ন্ত চট্টপাধ্যায়।

সবশেষে লিয়াকত আলী লাকীর গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক লোক নাট্যদলের নাট্যালেখ্য ‘মুজিব মানে মুক্তি’ মঞ্চস্থ হয়। নাটকটিতে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ধারাবাহিক ইতিহাসের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর, যৌবন, মহান সংগ্রামী জীবন ও মহাপ্রয়াণ ক্রমান্বয়ে সন্নিবেশিত হয়েছে। পাক-হানাদারদের সহযোগী যুদ্ধাপরাধীদের হিংস্র চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে নাটকটিতে।

পোস্ট শেয়ার করুন

শিল্পকলায় মাসব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী

আপডেটের সময় : ০১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালির প্রাণপ্রিয় নেতার ছবি দেয়াল জুড়ে। অতি পরিচিত কিন্তু একেকজন শিল্পীর চোখে বঙ্গবন্ধু নানামাত্রায় উদ্ভাসিত। কোথাও তাঁর দৃপ্ত ভঙ্গিমা, কোথাও তিনি চিন্তামগ্ন, কোনো কোনো ক্যানভাসে তার অতি পরিচিত ছবিগুলোকেই ক্যানভাসে আঁকা হয়েছে। নির্ভীক, নির্লোভ ব্যক্তিত্বের একজন মানুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ছিলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। ক্যানভাসে সেই ব্যক্তিত্বেরই প্রতিফলন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে গতকাল শুরু হয়েছে ‘শিল্পের আলোয় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী। প্রদর্শনীতে নবীন-প্রবীণ শিল্পীদের ৭৫টি শিল্পকর্ম এবং ৫০টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে।

‘বঙ্গবন্ধুকে আমরা নতুনভাবে জানতে পারছি। বিশেষ করে তার ডায়েরি বের হওয়ার পর তার ভাবনাকে যেমন ধরতে পারছি। তেমনি মানুষ বঙ্গবন্ধুর রূপও প্রকাশ পাচ্ছে। তখন বঙ্গবন্ধুর ছবির প্রদর্শনীও নতুনভাবে হাজির হয়। তাকে নতুন আলোয় দেখার উপলক্ষ পাই।’ বলছিলেন প্রদর্শনী দেখতে আসা বেসরকারি অফিসের চাকরিজীবী ফারজানা হোসেন।

মাসব্যাপী প্রদর্শনী উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে আলোচনা, পাঠ ও পর্যালোচনা ও নাট্যালেখ্যর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান, মঞ্চসারথী আতাউর রহমান, কবি নির্মলেন্দু গুণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য নাসরিন আহমাদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

উদ্বোধনী আলোচনা শেষে শিল্পকলা একাডেমি ও পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ‘আমাদের শিল্পযাত্রা’ শিরোনামে বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত গ্রন্থাবলীর পাঠ ও পর্যালোচনা এবং শিল্প নির্মাণ কর্মসূচির সূচনা করা হয়।

সাংস্কৃতিক পর্বে ‘দুখিনী বাংলা, জননী বাংলা’ গানের সঙ্গে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পকলা একাডেমি রেপার্টরী নৃত্যদল। কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ এবং একক আবৃত্তি করেন ডালিয়া আহমেদ ও জয়ন্ত চট্টপাধ্যায়।

সবশেষে লিয়াকত আলী লাকীর গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক লোক নাট্যদলের নাট্যালেখ্য ‘মুজিব মানে মুক্তি’ মঞ্চস্থ হয়। নাটকটিতে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ধারাবাহিক ইতিহাসের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর, যৌবন, মহান সংগ্রামী জীবন ও মহাপ্রয়াণ ক্রমান্বয়ে সন্নিবেশিত হয়েছে। পাক-হানাদারদের সহযোগী যুদ্ধাপরাধীদের হিংস্র চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে নাটকটিতে।