ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আপডেট :
অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপদে ফেলতেবিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত আ’লীগ গ্রিন সিলেট ট্রাভেলসের আয়োজনে বাংলাদেশে পর্তুগাল দূতাবাস/কনসুলেট চেয়ে খোলা চিঠি স্বৈরাচার সরকার পতনের পর যুক্তরাজ্যে ফিরছেন সিলেট আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি পর্তুগাল শাখার উদ্যোগে বিএনপির ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত! বন্যার্ত মানুষের ত্রান তহবিলের জন্যে ৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘোষণা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বেজা শাখার কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিমানের নতুন চেয়ারম্যান কুলাউড়ার আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও ২৪ কোটা আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল পর্তুগালে রাজনগর প্রবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ পর্তুগাল বিএনপি’র আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মাহফিল সম্পন্ন বিমূর্ত সব মুর্হুতরা, আমার মা’য়ের সাথের শেষ শনিবার – শাহারুল কিবরিয়া

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সময়সীমা আরও বাড়ল

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১
  • / ৫৯৭ টাইম ভিউ

চলমান লকডাউনের মেয়াদ ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে রোববার (৬ জুন) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ফলে ১৩ জুন খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কবে খুলবে এ নিয়ে আবারও দেখা দিয়েছে অনিশ্চিয়তা।
কোভিডের কারণে এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় নানা কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
এই প্রেক্ষাপটে গত ২৬ মে ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ১৩ জুন থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়টি নির্ভর করছে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ওপর।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিধিনিষেধ বাড়ার কারণে ঘোষিত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হচ্ছে না। পরবর্তীকালে আলোচনা করে সময় জানানো হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য করোনা সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নামা জরুরি। কিন্তু রোববার সরকার চলমান লকডাউন আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এরপর দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। দীর্ঘ ছুটির কারণে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে।
চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। পরে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। তবে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল ঈদ পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পরে ২৪ মে থেকে গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয় এবং পরে ৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত আরও এক সপ্তাহের লকডাউন বাড়ানো হয়। বেশ কিছুদিন ধরে দেশে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী এবং মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় এবার আরেক দফা বিধিনিষেধ বাড়ল।

পোস্ট শেয়ার করুন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সময়সীমা আরও বাড়ল

আপডেটের সময় : ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১

চলমান লকডাউনের মেয়াদ ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে রোববার (৬ জুন) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ফলে ১৩ জুন খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কবে খুলবে এ নিয়ে আবারও দেখা দিয়েছে অনিশ্চিয়তা।
কোভিডের কারণে এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় নানা কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
এই প্রেক্ষাপটে গত ২৬ মে ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ১৩ জুন থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়টি নির্ভর করছে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ওপর।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিধিনিষেধ বাড়ার কারণে ঘোষিত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হচ্ছে না। পরবর্তীকালে আলোচনা করে সময় জানানো হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য করোনা সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নামা জরুরি। কিন্তু রোববার সরকার চলমান লকডাউন আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এরপর দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। দীর্ঘ ছুটির কারণে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে।
চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। পরে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। তবে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল ঈদ পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পরে ২৪ মে থেকে গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয় এবং পরে ৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত আরও এক সপ্তাহের লকডাউন বাড়ানো হয়। বেশ কিছুদিন ধরে দেশে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী এবং মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় এবার আরেক দফা বিধিনিষেধ বাড়ল।